স্বাধীনতা চাইনি তো এমন স্বাধীনতা
মাহিদুল ইসলাম আল মাহদী
——————————————————-
স্বাধীনতা চাইনি তো এমন স্বাধীনতা,
স্বাধীনতা দেইনি তো প্রকৃত স্বাধীনতা ।
যে দেশেতে রাত পোহালে শোনা যায় যে মা বোনের আর্তনাদ,
কান্না ছাড়া কি করবে তাঁরা সহ্য করার প্রতিবাদ ।
যে দেশেতে দিনে রাতে ধর্ষিতা হয় মা বোনেরা, প্রতিবাদে মেটে উঠে সহস্র প্রতিবাদী মানুষেরা ।
টাকা ছাড়া হয় না বিচার এই তো মোদের স্বাধীনতা,
স্বাধীনতা চাইনি তো এমন স্বাধীনতা ।
যে দেশেতে দিনে রাতে পড়ে‘ টাকা পয়সা ব্যায় করে চাকুরীর জন্য লাগে টাকা,
সে দেশেতে বিশ বাইশ বছর পড়ে কি করবে তাঁরা ।
যে দেশেতে বিদ্যার নামে চলেছে রাজনীতি,
সে দেশেতে বিদ্যার মানুষ করবে রাহাজানি ।
যে দেশেতে শিক্ষিতরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত,
সে দেশেতে পড়াশোনা করে শিক্ষিত হওয়ার মানে বা কি ঐ দেশে ।
যে দেশেতে রাত্রিকালে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে রাস্তা ঘাটে,
শীতের সময় নেই কোনো কাপড় এই তো দারিদ্রের কারণ,
অনাহারে অকর্মে কাটে জীবন এই তো দেশের নিয়ম ।
স্বাধীনতা চাইনি তো এমন স্বাধীনতা ।
হরতাল অবরোধ গাড়ী বাস পোড়ানো,
রাজপথ কাপানো, দলীয় স্বার্থের কারণ,
অকারণে অস্বার্থে চলে যায় নিরীহ মানুষের জীবন,
এই তো স্বদেশের নিয়ম ।
স্বাধীনতা চাইনি তো এমন স্বাধীনতা ।
যে দেশেতে প্রতিবাদ মুখি হলে পুলিশ লয় পিছু,
সে দেশেতে দিনে রাতে খুন খারাপি ধর্ষণ হলে পুলিশ পায়না তাঁদের পিছু ।
স্বাধীনতা চাইনি তো এমন স্বাধীনতা,
স্বাধীনতা দিয়েছে মনে অনেক দুঃখ ব্যথা ।
সমাপ্ত
পর্ব (২)
লেখকঃ– মাহিদুল ইসলাম আল মাহদী
লেখার তারিখঃ ৩০–১২–২০১৯ ইংরেজি
স্বাধীন দেশে পরাধীনতা, কি হবে এই স্বাধীনতায়,
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে কেনা এই স্বাধীনতা,
ভোগ করছে আজ দেশদ্রোহী সেই সব রক্ত চোষা সন্তানেরা ।
রাজাকারের কাছে জিম্মি আজ মুক্তি যোদ্ধা-তরুণেরা,
স্বাধীনতা বলে ইতিহাস পড়ে পরাধীনতার শেকলে বন্দী মোরা,
এ কেমন স্বাধীনতা?
ত্রিশ লক্ষ শহীদ-দু লক্ষ মা বোনের ইজ্জতে কেনা এই স্বাধীনতা,
বৃথা যেতে দেবে না বর্তমান তরুণ প্রজন্মের যোদ্ধারা ।
জাগ্রত করো মন-জাগ্রত করো বিবেক-নির্ভয়ে নির্দয়ে মুখ খুলে প্রতিবাদী হয়ে পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে স্বাধীনতা রক্ষা করো আজ ।
যোদ্ধ করতে প্রস্তুতি নাও
দুর্নীতি রাহাজানির বিরুদ্ধে,
পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে দিয়ে
প্রকৃত স্বাধীনতা ফিড়িয়ে আনতে ।
জাগ্রত করো জাতির মধ্যে বাঁক স্বাধীনতা,
প্রতিবাদী হয়ে সব ষড়যন্ত্র চিন্ন করে ফিড়িয়ে আনো সেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ।
স্বাধীন হয়েছে দেশ নাকি মানচিত্রে কাগজে কলমে?
প্রকৃত স্বাধীনতা পায়নি জাতি যখন যায় সরকারী কক্ষে।
বিবেক বুদ্ধিকে ঘুমন্ত রেখে অর্থের কাছে বড়ো অসহায় দেশের দায়িত্বশীল চাকুরিজীবীরা,
কত আকুতি কত কান্না-কত আর্থিকতার ঘুষ লাগে সত্য কে সত্য প্রমান করতে ।
ধর্ষন অত্যাচার অন্যায় জুলুমের বিচার পেতে,
কত হেনস্থা হতে হয় প্রশাসনের কাছে,
টাকা ছাড়া হয় না বিচার এই তো দেশের স্বাধীনতা ।
এটাই কি মোদের স্বাধীনতা?
শিক্ষিত হয়ে ভুলে গেছো তুমি সেই রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার কথা?
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও আমি শহীদের রক্তের গন্ধ পাই, গুলির শব্দ শুনতে পাই,
ধর্ষিতা মা বোনের আর্তনাদ আর হাহাকার রক্ত মাখা মুখে চিৎকার করে বাঁচাও ডাক শুনতে পাই ।
ভুলে গেছো তুমি?
ছোট্র শিশুর মা হারা কান্নার ডাক,
বাবা হারা সন্তানের আর্তনাদ ।
শিক্ষিত জাতি ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত করে পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে স্বাধীনতা ফিড়িয়ে দাও,
দেশের সঠিক দায়িত্ব, অসহায়দের সহায় দাও,
সাহায্য করো শেখ মুজিবের স্বপ্নে বিভোর ডিজিটাল বাংলা গড়ার,
দুর্নীতি, ঘোষ, ধর্ষন, রাহাজানি থেকে নির্লিপ্ত হয়ে
স্বাধীনতা ফিড়িয়ে দাও ।
ধন্যবাদ লেখা গুলো পড়ার জন্য