কবিতা
মানুষ হিসেবে পরিচিত হই, ধর্ম থাকুক নিজ অন্তরে।
আমাদের মধ্যে মতবিরোধ, মানুষ কিন্ত একই।
বিশ্বাস করি একি ইশ্বরে, ধর্ম পালন করি ভিন্নমতে।
মানুষ হিসেবে পরিচিত হই, ধর্ম থাকুক নিজ অন্তরে।
ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি, হিংসা, বিদ্বেষ, খুন রাহাজানি,!
ধর্ম বলে নিজ বিশ্বাসে থাকুক ধর্ম–
সম্মান করো অন্য ধর্মের বাণী।
মানবে মানবে দণ্ড আজ, ধর্মের দোহাই দিয়ে,
নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছে মানুষ ধর্মকে পালন করে।
ধর্ম দিয়ে মানুষ বিচার, বলেনিতো ধর্ম কভু।
“নরহত্যা, ব্যাবিচার, পাপ করোনা”,
বিভিন্ন ধর্মে শাস্ত্রে বলেছে প্রভু।
জীবনে যে বলেনি প্রভুর বাণী,
প্রভু বন্ধ করেনি তাঁর তৃষ্ণা ক্ষুধার পানি।
স্রষ্টার সৃষ্টির আলো বাতাস বয়ে বেরায়, গির্জা, মসজিদ পৃথিবীর প্রান্তরে।
বন্ধ হয়নি কেনো সৃষ্টির আলো বাতাস?
মসজিদ, মন্দিরে, গির্জায় যাওয়াতে।
সৃষ্টির আলো বাতাস সীমাবদ্ধ নয় শুধু ধর্ম পরিচয়ে উপভোগ করার মাঝে–।
সৃষ্টির আলো বাতাস সকল ধর্ম অধর্মের মানুষ ঘিরে-
বয়ে বেরায় পৃথিবী জুড়ে।
যেখানে মানুষের পৃথিবীতে ইশ্বরের সাম্যতা–
সেখানে আমরা মানুষ হয়ে করছি কেনো ধর্ম নিয়ে অমানবিকতা।
ধর্ম জাতি বর্ণ দিয়ে করছে ধর্মান্ধরা দেশে বিভেদ!
খুজে দেখো ওরা ধর্মের নামে আত্মসাৎ করছে ক্ষুধার্থদের রিজেক।
ওরা দেখেও দেখেনা, বুঝেও বুঝে না!
ধর্ম দিয়ে বৈষম্য করছে জাতিও দেশ।
সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু দিয়ে করছে ধর্মের নামে দেশে বিবেদ।
ওরা মানুষ নয়, ওরা মানুষ রুপি শয়তান।
তাঁদের জন্য আজ পৃথিবীতে ধর্ম দিয়ে হচ্ছে মানুষ বিচার।
তারা মানুষ রুপি বিষাক্ত জানুয়ার।
তাঁদের মেরে করো সব শেষ।
মুক্ত হোক বৈষম্যমুক্ত এই সুন্দর পৃথিবী স্বদেশ।
পৃথিবী জুড়ে আছে যত ধর্ম আজ, আছে যত জাতিও গুত্র।
আছে তাঁদের অনেক প্রথা,
সঙ্গে আছে ধর্ম নেতা।
নিজ ধর্মকে উঁচু করে, করছে অন্য ধর্মকে গালিমাখা কথা।
তারাই আবার ধর্মীয় নেতা!
বিবেদ সৃষ্টি করে- করাচ্ছে ধর্ম যুদ্ধ নেতা।
তাঁদের ধর্মীয় উগ্রতায় মানুষ মরে,
তারাই হয় আজ ধর্মীয় নেতা।
ধর্ম শিক্ষায় নেই কোনো উগ্রতা আর পাপ
ধর্ম শিক্ষায় আছে শুধু মানবপ্রেমের দাম।
পৃথিবীর কল্যাণে আছে যাঁর অবদান
সে যেই ধর্মের হোক
ইশ্বরের কাছে সে বেহেস্তি নওজোয়ান।
ধর্ম দিয়ে ধর্মীয় নেতা যদি মানুষে মানুষে বিবেদ সৃষ্টি করে।
সে নেতা কখনো স্বর্গ পাবে না-
যাবে নরকেরি দোয়ারে।
বলছো তুমি ধর্মের ভুলি
যাওনা মসজিদে মন্দিরে গির্জায় তুমি।
আছো তুমি ধর্ম বিশ্বাসীদের মাঝে বাজাতে গণ্ডগোল।
দেশে তালিকা সাজাও আস্তিক নাস্তিকের প্রতিদিন।
অথচ নিজেই নাস্তিক হয়ে তালিকা লিখছো নিত্যদিন।
ধর্মীয় নাস্তিক তুমি! মানছো না নিজ ধর্মের পবিত্র গ্রন্থের কথা।
যদি মানতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের কথা-
বাজাতে না ধর্ম নিয়ে গণ্ডগোল
মানুষে মানুষে করতে চাইতে না বিভক্ত
ধর্মের নামে অধর্ম করে-
দেশে ধর্ম নিয়ে খুন রাহাজানি হতো না নিত্যদিন।
ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে খাচ্ছে ধর্মদ্রোহীরা
দিন শেষে তারাই হয় আবার ধর্মীয় নেতা।
দেখেও দেখি না, বুঝেও বুঝি না, বলি না কিছু আমি।
লিখে যাই আমি, বলে যাই কলমে,
প্রতিবাদ করি আমি কলমেরি কালিতে।
উগ্রতা থেকে বাহির হয়ে ধর্ম পালন করো নিজ বিশ্বাসে।
আমি মুসলিম হই, খ্রিষ্টান হই, হই ইহুদি, বৌদ্ধ, হিন্দু।
প্রতিজ্ঞা করি সব ধর্মের পবিত্র উপাসনালয়কে সম্মান করে-
ধর্মদ্রোহীরা নয় কোনো ধর্মের,
করছে ধর্মের নামে অধর্ম নিত্যদিন।
তাঁদের নেই কোনো ধর্ম,
যুগে যুগে আসবে এমন মানুষ,
করবে ধর্ম নিয়ে গণ্ডগোল।
ধর্ম থাকবে, ধর্ম রবে, সৃষ্টিরি জগতে-!
মানুষ আসবে, মানুষ যাবে, মৃত্যুরি বিধানে।
ধর্ম নিয়ে খেলা বন্ধ করো আজ
সাম্যতার পৃথিবীতে হোক মানুষেরি বসবাস।
হাতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করি মোরা আজ,!
হিংসা বিদ্বেষ ভুলে–
সব ধর্মের মানুষ হিসেবে পরিচিত হই মোরা ভাই।
সম্মান করো, সম্মান দাও, অন্য ধর্মের ঋষি মনিষী, পাদ্রী, মোল্লাদের।
গৌতম বৌদ্ধ, যিশু খ্রিষ্ট, মুসা, মোহাম্মদ-বলেনি ধর্ম নিয়ে করো বিদ্বেষ।
তবে কেনো আমরা তাঁদের অনুসারী হয়ে করছি পৃথিবীর মাঝে ধর্ম নিয়ে দণ্ড বিবেদ।
সুযোগ সন্ধানী ধর্মীয় নেতা তুমি, করো ধর্মের নামে পবিত্র গ্রন্থের ভুল ব্যাখা।
তাঁর জন্যই আজ পৃথিবীতে ধর্মের নামে হয় উগ্রতা সৃষ্টির কথা।
তৈরি হয়, জঙ্গি, ক্রুসেড, নাইট টেম্পলারের মতো ধর্মীয় হাঙ্গামা সৃষ্টির প্রথা।
চাই না আর ধর্মীয় হাঙ্গামা!
রক্ষা হোক সব প্রাণের অস্তিত্বের।
ভালোবাসা ছড়িয়ে যাক সব ধর্মের মানুষের মাঝে,!
মানুষ হিসেবে পরিচিত হই মোরা একে অন্যের ভাই।
ধর্ম থাকুক নিজ অন্তরে,!
হই মোরা ভাই ভাই।