Thu, Nov 21, 2024

Have a Nice Day

0 comments 0 views
🕗: 13 minutes

      মাহিদুল ইসলাম আল মাহদী

আমি আপনাদের কে সুন্দর ও শিক্ষানীয় স্থান সমূহের ইতিহাস লেখে দিলাম,

দুনিয়াতে রহস্যের শেষ নেই, সুদূর প্রাচীনযুগ থেকেই রহস্য পৃথিবীর মানুষকে করেছে রোমাঞ্চিত,ভিত,উৎসাহী আর তাদের মধ্যে যারা গবেষণার অ্যাডভেঞ্চারে নেমে পড়েছে এসব রহস্যভেদে তারা এখনও এসব রহস্যের পেছনের কথা বের করতে পারেন নি, আবার কিছু ক্ষেত্রে আংশিক পারলেও পরিপূর্ণ তৃপ্তি আসেনি কখনও,এমনই কিছু রহস্যময় জায়গার কথন আজকের এই পোস্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম

 

 

ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী

‘ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী’ এন্টার্কটিকার বরফ ও তুষারের মধ্যস্থলে অবস্থিত। বিশ্বের সবচেয়ে গোপন জায়া। এই জনমানবহীন উপত্যকাটি বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমির একটি। প্রতিবছর এখানে মাত্র ৪ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। স্থানটি মেরুঅঞ্চলের বরফে ঢাকা থাকার কথা হলেও এটা সম্পূর্ণ বরফশূন্য ও খালি। এখানে কিছু শৈবাল দেখা গেলেও কোন গাছপালা নেই। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী উপগ্রহের এই স্থানটির অদ্ভূত মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের পরিবেশের সাথে,

 

 

মাউন্ট রোরাইমা

পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। এটা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত। আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চলে এটি অবস্থিত। যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও বিমান রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছে। যার রহস্য আজও অজানা। অনেকে মনে করেন ঐ সকল অন্তর্ধানের কারণ নিছক দূর্ঘটনা। যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক কোন শক্তি,

 

 

ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়া

পৃথিবীর এক বিস্ময় স্থান। এখানের পাথরগুলো আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় নিজে নিজেই স্থান পরিবর্তন করে। পাথরগুলিকে চলমান অবস্থায় কেউ কখনো দেখেনি, তবুও পাতলা কাদার স্তরে রেখে যাওয়া ছাপ থেকে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তন নিশ্চিত হওয়া যায়। কিছু কিছু পাথরের কয়েকশ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন হয়, এই ভারি ভারি পাথরগুলো কিভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়, সে রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। পাথরের ট্রেইলে রেখে যাওয়া সূক্ষ্ম ছাপ থেকে বোঝা যায় পাথরগুলো এমন সময়ে স্থান পরিবর্তন করে যখন উপত্যকায় পাতলা কাদামাটির আস্তরণ থাকে। মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর দ্বারা পাথরের স্থান পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আশেপাশের কাদায় তাদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়া, ডেথ ভ্যালি-তে এমন বিশ্বয়কর ঘটনাটি বিশেষজ্ঞদের নজরে আসে ১৯৪৮ সালে। বিজ্ঞানীরা আজও পাথরের চলার ভিন্নতার কারণ রহস্য উম্মোচন করতে পারেন নি,

 

 

নরকের দরজা

তুর্কেমেনিস্তানের ডারভায শহরে এটি অবস্হিত। এটি একটি জ্বলন্ত গর্ত। জ্বলন্ত জায়গাটি ‘নরকের দরজা’ নামে পরিচিত। ১৯৭১ সাল থেকে জায়গাটি অবিরত দাউ দাউ করে জ্বলছে। ১৯৭১ সালে এখানে গ্যাস খনির সন্ধান মেলে। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে বিষাক্ত গ্যাসের ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন যার পরিমান ছিল সীমিত। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, এই গ্যাস জ্বালিয়ে শেষ করা হবে ফলে এর বিষাক্ততা ছড়ানোর সুযোগ পাবে না। এরপর এখানে গর্ত করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু গবেষকদের অবাক করে দিয়ে তা এখনও অর্থাৎ ৪০ বছর ধরে একাধারে জ্বলছে,

 

 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল

পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। এটা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত। আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চলে এটি অবস্থিত। যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও বিমান রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছে। যার রহস্য আজও অজানা। অনেকে মনে করেন ঐ সকল অন্তর্ধানের কারণ নিছক দূর্ঘটনা। যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক কোন শক্তি,

 

 

আওকিঘারা

আওকিঘারা জঙ্গলটি জাপানের একটি রহস্যময় ভয়ংকর ভূখণ্ড। এটা জাপানের ফুজি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর স্থানজুড়ে অবস্থিত এই জঙ্গলটি । কোঁকড়ানো ও মোচড়ানো গাছ পালায় পূর্ণ। গোটা এলাকাটি ভূতপ্রেতের অবাধ বিচরণ ভূমি বলে স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্থানটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আত্মহত্যার স্থান হিসেবে পরিচিত। পঞ্চাশের দশক থেকে এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক লোক এখানে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কেহই জানেনা মানুষ আত্মহত্যার জন্য কেনইবা এই স্থানটিকেই বেছে নেয়,

 

 

চুম্বক পাহাড়

কেবল নামেই নয়, কাজেও এই চুম্বক পাহাড়টি। নিউ ব্রুান্সউইকের মনচটনের এই চুম্বক পাহাড়টি নিজের যথার্থতার প্রমাণ দিয়েছে। ১৯৩০ সালে হঠাৎ করে আবিষ্কার করা হয় যে এই পাহাড়টির আশপাশ দিয়ে কোন গাড়ি গেলে সেটায় কিছু গড়বড় দেখা যায়। বিশেষ করে সেই গাড়িটা যদি এর ওপর দিয়ে পার হতে যায় তাহলে কোনরকম ধাক্কা ছাড়াই পেছনের দিকে কোন এক অদৃশ্য আকর্ষণে গড়িয়ে যেতে থাকে সেটি। প্রথমটায় বেশ অবাক হয়ে যায় সবাই এই অদ্ভূত ব্যাপার দেখে। তবে দ্রুতই গবেষণা শুরু হয়। নানা মানুষ নানারকম মতামত দিতে শুরু করে। এবং একটা সময় গিয়ে সবাই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, এই পাহাড়ের আশেপাশে রয়েছে কোন বিশাল আকারের চুম্বক। লৌহ নির্মিত কোন পদার্থ এর পাশে থাকলেই তাই সেটাকে নিজের দিকে টানে সে। তবে এরপর থেকে এখন অব্দি অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও খুঁজে বের করা যায়নি সেই চুম্বকটিকে,

 

 

মগুইচেং

চীনের ঝিনজিয়াং অঞ্চলের একটি মরুভূমি হচ্ছে মগুইচেং। এর আক্ষরিক অর্থ শয়তানের নগরী। স্থানটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত ও জনশূন্য। অনেক অদ্ভূত ঘটনা এখানে ঘটে বলে লোকজন জানিয়েছেন। দর্শনার্থীরা এই স্থানে রহস্যময় আওয়াজ, বিষন্ন সুর ও গিটারের মৃদু ধ্বনি, বাচ্চাদের কান্না এবং বাঘের গর্জন’ শুনতে পেয়েছেন বলে দাবি করেন। এসব শব্দের কোন উৎসের সন্ধান আজো কেউ পাননি,

 

 

খুনি হ্রদ

খুনি হ্রদ’ বা killer lake এর অবস্থান ক্যামেরুনে। এর আসল নাম NYOS হলেও স্থানীয় ভাবে এটা খুনি হ্রদ নামেই পরিচিত। হ্রদটি একটি মৃৎ আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের পাশে অবস্থিত। এটা লাভায় পরিপূর্ণ থাকলেও এর উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় পানি এবং এর মধ্য থেকে নির্গত হয় কার্বন–ডাই-অক্সাইড। খুনি হ্রদ নাম হওয়ার পেছনে এর মূল কাহিনী হচ্ছে ১৯৮৬ সালের দিকে এই হ্রদের মধ্য থেকে কার্বন–ডাই-অক্সাইড এর বিশাল বুদবুদ বের হয় যা সালফার এবং হাইড্রজেনের সাথে মিশে বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। এর পর হ্রদের চারপাশের ২৩ কিঃ মিঃ জুড়ে ছড়িয়ে পরে এই গ্যাস। আর এই গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে প্রায় ১৭০০ লোক এবং ৩৫০০ গবাদি পশু মারা যায়। এর পর থেকেই এর হ্রদের নাম হয় খুনি হ্রদ,

 

 

শ্বেত মরুভুমি

শ্বেত মরুভূমি নাম শুনলেই মনে হয় কাল্পনিক কিছু। কিন্তু বাস্তবে এই শ্বেত মরুভূমির দেখা মিলে মিশরের ফারাফ্রা মরূদ্যানে। চোখ ধাঁধানো এই মরুভূমির ইতিহাস থেকে জানা যায় যে পূর্ব সাহারা মরুভূমি যখন পানির নিচে ডুবে ছিল তখন তার একটি অংশে খড়িমাটি জমতে থাকে। আস্তে আস্তে এই জায়গাটি যখন সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে চলে আসে তখন ওই জমে থাকা খড়িমাটি শ্বেত মরুভূমির সৃষ্টি করে,

 

 

পামুক্কালা

পামুক্কালা দেখে অনেকের বরফের পাহাড় বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটা বরফ নয়। এই পাহাড় বা ঝর্না সৃষ্টি হয়েছে স্ফটিকের মত ক্যালসিয়াম থেকে। পামুক্কালার অবস্থান তুরস্কে। তুর্কি ভাষা থেকে অনুবাদ করলে পামুক্কালার অর্থ দাড়ায় তুলো। ইতিহাস থেকে জানা যায় পামুক্কালার সৃষ্টি হয়েছে ১০০০ বছর আগে। ১০০০ বছর আগে তুরস্কের দিঞ্জিল অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প সংগঠিত হয়। আর ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট ফাটল থেকে বের হয়ে আসে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ পানি। তারপর যুগে যুগে এই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ পানির প্রবাহ রূপ নেয় শ্বেত ঝর্নার পাহাড়ে,

 

 

শ্যাম্পেন লেক

নামে যাই থাকুক, মোটেও শ্যাম্পেন দিয়ে পরিপূর্ণ লেক নয় এটা। এই লেকটি Newzeland এর Wai-O-Tapu তে অবস্থিত। Wai-O-Tapu জায়গাটি আবার রুটুরুয়া তে অবস্থিত। মাউরি ভাষা থেকে অনুবাদ করলে জানা যায় Wai-O-Tapu এর অর্থ হচ্ছে পবিত্র পানি অথবা রঙিন পানি আর রুটুরুয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে কাহুমাতামমিও, যে ছিল লর্ড মারিওর চাচা যিনি এই অঞ্চলটি আবিষ্কার করেছেন। ছবিতে কমলা রঙের যে অংশটুকু দেখা যাচ্ছে এটা হলো গ্রাফাইড এর বিশাল ভাণ্ডার আর শ্যাম্পেনের মত বুদবুদ আকারে যে গ্যাস বের হচ্ছে তা হলো কার্বন-ডাই-অক্সাইড। এর জন্যে এই লেকটির নাম শ্যাম্পেন লেক,

 

 

বিয়ার লেক আরোরা

বিয়ার লেক এর অবস্থান আলাস্কায়। এখানে আরোরা(Aurora) শব্দের অর্থ হচ্ছে বিয়ার লেক আকাশে মনোরম রঙিন আলোর খেলা। এটাকে উত্তরের আলোও বলা হয়। প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি এই বিয়ার লেক আরোরা।বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করে যে, সূর্য বায়ুর সাথে যখন পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সংঘর্ষ ঘটে তখনই এই রহস্যময় এই আলো খেলার সৃষ্টি হয়,

 

 

ঈগলহক নেক

প্রকৃতির আরেক বিস্ময় হল তাসমানিয়ার ঈগলহক নেক। ঈগলহক নেক হছে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট খুব সরু ভূমি বা রাস্তা যা দুটি আলাদা ভূখণ্ড কে এক করেছে। স্থানীয় ভাবে এটি ‘নেক’ নামে পরিচিত। ভূতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক দুটি দিক দিয়েই ঈগলহক নেক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ব্রিটিশ নির্বাসিত বন্দীরা পোর্ট আর্থার কারাগার থেকে পালানোর সময় ঈগলহক নেক ব্যবহার করত। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্রিটিশরা ১৮৩০ সালে ঈগলহক নেক এ ভয়ংকর কিছু কুকুর পাহারা বসায়। আর এই স্থানটি ই পৃথিবীর বিখ্যাত ‘Bog Line’ নামে পরিচিত,

 

 

শুকাত্রা দ্বীপ

শুকাত্রা দ্বীপ ইয়েমেনে অবস্থিত। দ্বীপ হিসেবে শুকাত্রা দ্বীপ যত আকর্ষণীয় তার চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হচ্ছে এর গাছপালা। দ্বীপ টি লম্বায় ১২০ কীঃ মিঃ লম্বা এবং প্রস্থে ৪০ কি: মিঃ লম্বা। এই দ্বীপের গাছ পালাগুলোও বেশ অদ্ভুত। এই দ্বীপের সবচাইতে অদ্ভুত গাছ হচ্ছে ড্রাগন ব্লাড ট্রি। ছাতার মত দেখতে এই গাছ থেকেই রাবার লাগানো হয়। আরেকটি অদ্ভুত গাছের নাম হচ্ছে ‘Desert Rose’ অথবা মরুভূমির গোলাপ। এই দ্বীপ এ প্রায় ৭০০ রকমের গাছপালা রয়েছে,

 

 

Boiling Mud, New Zealand

নিউজিল্যান্ডের Rotorua য় অবস্হিত Taupo লেকে ফুটন্ত কাঁদা-মাটি দেখতে পাওয়া যায়। গবেষকদের ধারনা মতে, নদী ও লেকের পানি নির্দিষ্ট এই জায়গার উত্তপ্ত পাথরের উপরে প্রবাহিত হয় বলে এই অবস্হার সৃষ্টি হয়েছে। তাই ব্যতিক্রমধর্মী এই জায়গাটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষন,

 

 

Don Juan Pond

জায়গাটি এ্যান্টার্টিকায় অবস্হিত। অত্যন্ত লবনাক্ত পানির কারনে জায়গাটি রহস্য সৃষ্টি করেছে। ১৯৬১ সালে জায়গাটি আবিস্কৃত হয়। এই পুকুরের পানি সমুদ্রের পানি থেকে ১৮ গুন বেশী লবনাক্ত। পুকুরটির দৈর্ঘ্য মাত্র ৩০০ ফুট, প্রস্হ ১০০ ফুট এবং গভীরতা .১০ মিটার। এই জায়গার তাপমাত্রা -৩০ ডিগ্রী কমে গেলেও অতি লবনাক্তার জন্য এই পুকুরের পানি কখনও সম্পূর্ন জমে যায় না,

 

 

ইষ্টার দ্বীপ

ইষ্টার দ্বীপ (Easter Island) যার আরেক নাম “রাপা নুই” (Rapa Nui), এর অবস্থান তাহিতির সমুদ্র তীর হতে ২০০০ মাইল দূরে। এই দ্বীপে আদিবাসীদের নাম “পলিনেশিয়ান” (Polynesian)। যারা এই দ্বীপে আসে ৪০০ থেকে ৬০০ খ্রীষ্টপূর্বে। এই দ্বীপের রহস্য হচ্ছে এখানে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তি। এই মূর্তি গুলির নাম “মুয়াই” (Moai)। সব থেকে বড় মুয়াইয়ের উচ্চতা ৩৩ ফুট এবং এর ওজন ৮২ টন। এই মূর্তির গুলির আকৃতি কিছুটা অন্য রকম। এদের মাথা গুলি অনেক বড়। ধারনা করা হয় এখানকার লোকেরা অনেক আগেই অন্যগ্রহের লোকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং তাদের উপসনার জন্য এই গুলি তৈরি করা হয়। সব থেকে অবাক করার বিষয় ৮৮৭ টি মোয়াইয়র কোনটারই চেহারা আরেক্টির সাথে মিলে না। অগ্নিয়গীরি থেকে নির্গত ছাই (Tuff) থেকে ৫৭ টি মুয়াই তৈরি করা হয়েছে, Basalt দিয়ে ১৩টি মোয়াই তৈরি করা হয়েছে, লাল রঙের Scoria ১৭ টি তৈরি করা হয়েছে, Trachyte দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ২২টি মোয়াই। ৮৮৭ টি মোয়াইয়ের মধ্যে ৩৯৪টি মুয়াই সম্পূর্ন ভাবে তৈরি করা হয় নাই। এছাড়াও অনেকের মতে বছরের কোন এক নির্দিষ্ট সময়ে এই মূর্তি গুলি থেকে শব্দের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে জলপনা আর কল্পনার কোন শেষ নেই। এই মুয়াই নিয়ে না হয় আরেক দিন বিস্তারিত আলোচনা করব। আর এই ইষ্টার দ্বীপ সম্পর্কে আরো জানতে “রহস্যে ঘেরা ইস্টার দ্বীপ” লেখা পড়তে পারেন,

 

 

El Dorado এর উত্সর্গ

El Dorado হচ্ছে “মুইছা” (Muisca) সম্প্রদায়ের নেতার পদবি। এদের বসবাস ছিল ১০০০ থেকে ১৫৩৮ খ্রীষ্টপূর্বে সময়কালে বর্তমান কলম্বিয়ায়। কোন সম্প্রদায়ের নেতা মানে অনেক ক্ষমতা কিন্তু এই মুইছা সম্প্রদায়ের নেতার এই ক্ষমতা কেমন ছিল জানি না তবে নেতাদের নিজেদের উতসর্গ করা লাগত দেবতাদের নামে। উতসর্গের পূর্বে তারা প্রথমে সম্পূর্ন শরীর সোনা দিয়ে পরিপূর্ন করবে (যতটা সম্ভব সোনার অলংকার পরবে), পরে সোনার গুড়া বা বালি দিয়ে সম্পূর্ন শরীর সোনালি রঙ করবে এর পর হৃদের পানিতে ঝাপিয়ে পরে নিজের জীবন উতসর্গ করবে। আর সোনার ওজনের কারনে তার দেহ কোন দিব ভেসে উঠত না,

 

 

বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল

এই বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে যে কত রহস্য লুকিয়ে আছে তার কোন অভাব নেই। আজ আপনাদের তেমনি এক রহস্যের কথা বলি। তবে আপনারা কি জানেন এই বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল কোন ঘটনার মধ্যে দিয়ে বিশ্ব বাসিদের নজর কেড়েছিল? আজ আপনাদের সেই ঘটনাই বলব। সালটা ১৯৪৫, সার্জেন্ট হাওয়েল থমসন (Sgt. Howell Thompson) তার কমান্ডে থাকা ২৭টি যুদ্ধ বিমান নিয়ে এই বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল দিয়ে উড়ে যাবার সময় গায়েব হয়ে যান। ২৭টি প্লেনেরই কোন হদীসই পাওয়া যায় নাই। এরপর থেকেই রহস্যের শুরু হয় এই বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে। অনেকে বলে ঘূর্নিঝড় বা পাইলটদের কোন ত্রুটির কারনে এই ঘটনা ঘটছে। কিন্তু রসহ্য মোদিদের দাবি এক সাথে ২৭ টা প্লেন গায়েব হওয়ার পিছনে ঘূর্নিঝড় বা পাইলটদের দোষের সম্ভাবনা থাকতে পারে না। নিশ্চই লুকিয়ে আছে অন্য কোন রহস্য। “বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে যত কথা” লেখাটা পড়লে এই রহস্যে ঘেরা বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে ভাল একটা ধারনা পাবেন,

 

 

ইনকাদের হারিয়ে যাওয়া শহর

২০১২ সালের সব থেকে বড় আলোচনার বিষয় বস্তু কি ছিল মনে আছে? আচ্ছা আমি একটু মনে করিয়ে দেই। ওই যে মায়া সভ্যতায় ২০১২ এর পরে আর কোন দিন লেখা ছিল না। তাদের ধারনা ছিল ২০১২ এর পরে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এ নিয়ে কত কথা, কত আলোচনা, কত কিছুই না হল। সে সময় যে কত যুক্তি না দেওয়া হয়েছিল তা “২০১২ এবং ইসলাম তথা ১৪৩৩ আরো কিছু অজানা তথ্য” লেখাটি পড়লে বুঝে যাবেন। অবশ্য এই বিষয় গুলিকে খোলাসা করে “সুমেরীয়দের কাল্পনিক গ্রহ নিবিরু, কিয়ামত আর অন্যান্য বিতর্ক” এই লেখার মধ্যে বিস্তারিত বলেছিলাম। সে যাই হোক, হারিয়ে যাওয়া এই শহর নিয়ে আগেই লেখা দিয়েছি, তাই আর কিছু দিলাম না। আপনারা “ইনকাদের হারিয়ে যাওয়া শহর” লেখাটা পড়লে বিস্তর ধারনা পাবেন আর এই শহরে লোকদের সভ্যতা সম্পর্কে “মায়া সভ্যতা” লেখাটিতে বিস্তর আলোচনা করা আছে,

 

 

মায়ান্দের মন্দির

যে মায়া সভ্যতা বা মায়ানদের ক্যালেন্ডার নিয়ে এর কথা তাদের এই মন্দির নিয়ে রহস্য থাকবে না তা কি হয় বলুন? মায়ান্দের মন্দিরের মধ্যে সারি সারি মাথার খুলি দিয়ে সাজানো দেওয়া আছে। যা নিয়ে অনেক গবেষনাই হয়েছে কিছু যারা গবেষন করেছেন তার তেমন কোন তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করে নাই। কেন করে নাই আর গবেষনায় তারা কি পেয়েছে তা আজো রহস্যে ঘেরা,

 

 

পেরুর রহস্যময় ন্যাযকা

ন্যাযকা লাইন হলো পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের প্যাম্পা কলোরাডো বা লাল সমতলভূমি নামে পরিচিত এলাকার মাটিতে আঁকা কিছু জীব-জন্তু এবং জ্যামিতিক রেখার সমাহার যাদের ইংরেজীতে geoglyph বলা হয়ে থাকে। ১৯২০ এর দশকের শেষভাগে পেরুর রাজধানী লিমা এবং এর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আরেকিপার মধ্যে বানিজ্যিক ভাবে বিমান চলাচল শুরু হলে ন্যাসকা লাইনগুলি প্রথম ব্যাপকহারে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়। সেই সাথে আর্কিওলজিস্ট, এন্হ্রোপোলজিস্ট সহ প্রাচীণ সভ্যতা সম্পর্কে আগ্রহী সকল মানুষকে এক বিশাল ধাঁধার মধ্যে ফেলে দেয়। ছবিগুলো আন্দিজ পর্বত এবং প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ৩৭ মাইল দূরে সমান্তারালভাবে প্রায় ১৫ মাইল দীর্ঘ ব্যাপী বিস্তৃত। এই লাইনগুলোকে কখনও ইনকাদের রাস্তা, কখনও চাষাবাদের পরিকল্পনা, আবার কখনও পুরনোদিনের ‘হট এয়ার’ বেলুন থেকে উপভোগ করার জন্য আঁকা ছবি হিসাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন এগুলি হচ্ছে ন্যাযকাদের মহাকাশীয় ক্যালেন্ডার। এদের মধ্যে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য ব্যাখ্যাটি হচ্ছে এরিক ভন দানিকেনের ভিনগ্রহবাসীদের বিমান অবতারনার জন্য বানানো এয়ারস্ট্রীপের ব্যাখ্যাটি। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে “পেরুর রহস্যময় ইনকা সভ্যতা” লেখাটি পড়তে পারেন,

 

 

ইজিপ্টের পিরামিড

ইজিপ্টের গিজার পিরামিড। “খাফরি” (Khafre) আর “খুফু” (Khufu) প্রাচীন পিরামিড গুলির মধ্যে দুটি। খুফু সব থেকে বড় আর এটি বানাতে ব্যাবহৃত হয়েছে ২ মিলিয়ন পাথরের টুকরা আর প্রতিটি টুকরার ওজন ৯ টন। পিরামিড গুলি প্রাচীন রাজাদের কবর আর এগুলা তৈরি করা হয় ২৫৫০ খ্রীষ্টপূর্বে,

 

 

স্পিংক্স

ইজিপ্টের আরেক রহস্য স্পিংক্স। এই ভাষ্কর্যের দেহ সিংহের আর মাথা ফেরাউনের (ফেরাউন মিশরের রাজাদের উপাধি)। অনেকে বিশ্বাস করেন এই মাথা রাজা খাফরির (Khafre)। চুনাপাথরের তৈরি এই বিশাল মূর্তি, সময়ের সাথে ধীরে ধীরে ভেঙ্গে পরছে,

 

 

লকনেস দ্বীপের রহস্য

স্কটের লোকমুখের সব থেকে প্রচলিত গল্প। অনেকের মতে লকনেস লেকে দেখতে পাওয়া যায় এই বিশার দেহের প্রানীকে। লোকমুখে শোনা যা এই রহস্যে ঘেরা প্রানী ছোট বাচ্চাদের পিঠে চড়াবার লোভ দেখিয়ে পানির নিচে নিয়ে হারিয়ে যায়। ১৯৩৩ সালে প্রথম দাবি ওঠে এই রহস্যের প্রানী দেখার। এর পরে কেউ একজন ছবি তুলে ফেলে। যদিও অনেকের দাবি এটি ভূয়া ছবি। এরপর এই ছবি হয়ে ওঠে এই লকনেসের রহস্যে ঘেরা প্রানীর একমাত্র প্রমান এবং ততকালীল সময়ের সংবাদ পত্রের প্রধান সংবাদ,

 

 

এরিয়া ৫১

এরিয়া ৫১, দক্ষিন নেভাদার গ্রুম লেকের উপর অবস্থিত। এই এরিয়া ৫১ প্রথম স্থাপিত হয় ১৯৫৫ সালে। এই এরিয়া ৫১ প্রতিষ্ঠিত করে আমেরিকার বিমান বাহিনী। এখানে তারা বিভিন্ন ধরনের উড়োজাহাজ তৈরি করে। যা সম্পূর্ন ভাবে গোপনে বিভিন্ন ধরনের উরোজাহাজ বানায়। এটি বর্তমান সময়ের সব থেকে গোপন জায়গা। এই এলাকার মধ্যে জনসাধরনের ঢোকা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। এখানকার সিকিউরিটি এমন কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয় যে কেউ যদি ভুল করে ঢুকেও পরে তাকে গ্রেফতার করা হবে না সরাসরি গুলি। এই এলাকার যত রহস্য সম্পর্কে জানতে নিয়ে আরো জানতে “এরিয়া ৫১” লেখাটি পড়তে পারেন,

 

 

সকর্টা

ভারত মহাসাগরের সবচেয়ে বড় দ্বীপটি হচ্ছে সকর্টা। ৪৮০০ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপটি ইয়েমেনের অন্তর্ভুক্ত। অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী দ্বীপটি – পাথর, গাছপালা, এমন কি এখানকার জীবজন্তুও কেমন অদ্ভুত প্রজাতির। তাইতো এই দ্বীপকে The Most Alien-Looking Place on Earth বলা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে বৈচিত্রময় জায়গার মধ্যে এটি অন্যতম,

 

 

ব্রিটেনের স্টোনহেন্জ

ব্রিটেনের উইল্টশায়ারে অবস্হিত দৈত্যাকৃতির এই পাথরখন্ডগুলো পৃথিবীর অন্যতম মহারহস্য কেননা এখনও কোন গবেষক প্রমাণ করা তো দূরের কথা এখনও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন নি যে কে বা কারা এবং কি উদ্দেশ্যে পাথরগুলোকে এখানে এনে এভাবে সাজিয়েছে।তবে তাঁরা নির্ণয় করতে পেরেছেন যে খ্রীস্টের জন্মের ২৫০০ বছর আগে পাথরগুলো এখানে তৈরী হয়েছিল বা বাইরে থেকে আনা হয়েছিল,

 

 

টিয়াহুয়ানাকু(বলিভিয়া)

বলিভিয়ার টিয়াহুয়ানাকু(টিউয়ানাকু নামেও পরিচিত) জায়গাটি রহস্যময় কারণ এর অতিপ্রাচীনতা।হিসাব করে দেখা গেছে এর বয়স সতেরো হাজার বছর।যখন হিন্দু ধর্মের অবতার কৃষ্ঞ এবং খ্রীস্টান,ইসলাম ও ইহুদীদের নবী ইব্রাহিমের আগমন ঘটেনি।এছাড়াও এর পাথুরে প্রযুক্তিও বিস্ময় জাগানিয়া। যেহেতু অতিপ্রাচীন এবং কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে বয়স নির্ধারিত তাই এর পেছনের প্রায় সব কথায়ই রহস্যময়।ধারণা করা হয় যে টিয়াহুয়ানাকু এক ধরণের প্রাচীন সাংস্কৃতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দু ছিল যে সংস্কৃতি ঐ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল,

 

 

কাসপিয়ান সাগরের আশ্চর্য জনক রহস্য

ইউরোপীয় সভ্যতার মাঝে কাস্পিয়ান সাগর, প্রকৃতির এক বিস্ময়কর দান। কাস্পিয়ান সাগর হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম অন্তর্দেশীয় হ্রদ, সুবিশাল এবং রহস্যে ঘেরা এক আজব সাগর, এই হ্রদের সাথে জড়িয়ে আছে হাজার হাজার পৌরাণিক কাহিনি, কাল্পনিক এবং আরও অনেক রহস্যের জন্ম এই কাস্পিয়ান সাগরে। অতি বাস্তব কিছু কাহিনি আছে এখানে যেমন, কাস্পিয়ান সাগরে গেলে দেখা যায় যে হঠাৎ আপনার সামনে দিয়ে কে চলে গেল। বিজ্ঞানীরা এটা বিশ্বাস করেন যে কাস্পিয়ান সাগর এক রহস্যময় চাঁদর দ্বারা আবৃত। এটা অবিশ্বাস করার কোনু উপায় নাই যে এখানে কিছু একটা আছে, যা আপনি সেখানে গেলেই বুঝতে পারবেন। তো চলুন ঘুরে আসা যাক কাস্পিয়ান সাগর,

কাস্পিয়ান সাগরের দিকে একটু থাকান দেখেন সত্যিই অসাধারণ, ১,২০০ কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) দীর্ঘ, ৩২০ কিলোমিটার (২১০ মাইল) প্রশস্ত, এবং প্রায় ৩৭১,০০০ ভূ-পৃষ্ঠ (১৪৩,২০০ বর্গমাইল), এটা জলে ঘেরা পৃথিবীর বৃহত্তম সাগর, এর এক তৃতীয়াংশ জল লবণাক্ত, এটার পশ্চিমে আজারবাইজান এবং পূর্বে তুর্কেমেনিস্তান পর্বতমালা, এর উপকূলে আছে আজারবাইজান, ইরান, কাজাখস্তান, রাশিয়া, এবং তুর্কমেনিস্তান । কাস্পিয়ান তিনটি স্বতন্ত্র অঞ্চল নিয়ে গঠিত তা হলো উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিন কাস্পিয়ান অঞ্চল,

এই গভীরতম হ্রদে আছে মহামূল্যবান মাছ, কারুকার্য পাথর, উচ্চাসন, হেরিং এবং কার্প। এসব চাড়াও অনেক মহামূল্যবান পদার্থ এখানে আছে যার জন্য এই হ্রদকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে মানুষের কাছে। এই সাগরের উপকূলে থাকেন এমন মানুষের ভাষ্য মতে কয়েকদিন পর পর এক ধরনের মানুষ বের হয় এই সমুদ্র উপকূল থেকে, অন্ধকারে দেখতে মনে হয় কোনো একটা কালো পশু যার চুল দীর্ঘকায় চুলের রঙ সবুজ, ঘার মসৃণ যার মধ্যে দিয়ে বের হয় পিচ্চিল এক ধরনের পদার্থ, গন্ধ ও খুব বিকট, দাঁত চিকন চিকন, মুখ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বড়, লম্বা লম্বা আঙ্গুল। এরা বের হলে উপকূলে যত ধরনের মাছ থাকে তাদের দল শুধু সাগরের গভীরের দিকে যেতে থাকে এবং তাদের পিছন পিছন ধাওয়া করতে থাকে এই নাম না জানা পশুগুলো। একটা সময় তারা মাছ ধরে নিয়ে আসে এবং উপকোলে বসে সারা রাত ধরে খায়। এর পরদিন সকাল থেকে প্রায় ৫-৮ দিন পর্যন্ত জেলেরা কোনো মাছ পায় না সাগরে, তার কারন হিসেবে তারা বলেন যে, মাছ হয়তো ভয় পেয়ে সাগরের গভীরে চলে যায়। যেদিন এই অশরীরী গুলা মাছ খায় তার পরের দিন সকালে জেলেরা গিয়ে উপকুলে দেখতে পান শুধু মাছের হাড় গুর পরে আছে অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে এই হাড় গুর কোনু পাখি অথবা কিট পতঙ্গ খাবে তো দুরের কথা ছুয়ে ও দেখেনা।এভাবে অনেক দিন চলার পর জেলেরা মনে করলেন এভাবে তো হবেনা আমরা (জেলেরা) একদিন মাছ না পেলে তাদের ট্যাক্স বেড়ে যায় তার ওপর ৫-৭ দিন, তো তারা চিন্তা করলো, যে রাতে এই অশরীরী সমূহ আসবে সেই রাতে তারা অশরীরীদের মোকাবিলা করবে এটা দেখার জন্য যে এরা আসলে কি, তো কথা মত একদিন এক রাতে এরা (অশরীরী) বের হল এবং জেলেরাও ছুরি, আগ্নেয়াস্র এগুলা নিয়ে বের হল ঐ দিন তারা সমুদ্র উপকোলে বসে সারা রাত পার করে দিল কিন্ত এই অশরীরী গুলা আর উপকোলে ফিরলনা, তারা ভাবতে শুরু করল এরা হয়তো আর আসবেনা, কিন্তু ৩/৪ দিন পর এদের ৪-৫ খুব বেশী জ্বর হলো এবং হসপিটালে ১০-১৫ দিন থাকার পর সবাই মারা গেল। এর পর থেকে এই উপকোল থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ, আজ পর্যন্ত ও নিষিদ্ধ আছে, এর কোনো ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক দিতে পারেন নি,

ধন্যবাদ আপনাদেরকে

Md Efaz
Web Developer
Narayanganj Bangladesh
I am a dedicated WordPress developer with 4 years of experience on Fiverr. I specialize in developing all kinds of websites and landing pages, ensuring they are professional, responsive, and visually appealing. My goal is to bring your vision to life, whether it's a business site, e-commerce store, portfolio, or any other web solution. Let's work together to create a website that perfectly fits your needs and stands out in today’s digital landscape.
 

Leave a Comment