the truth author

Age Doesn’t Matters

লেখকঃ– মাহিদুল ইসলাম আল্ মাহ্দী
লেখার তারিখঃ– ১২১১২০২০ ইংরেজি

সমাজ আমরা এই ভাবে গঠন করেছি, সমাজ ব্যবস্থা আমাদেরকে মানসিক ও সামাজিকভাবে বন্দি করে রেখেছে। সমাজ আমাদের বাক-স্বাধীনতা টাও কেড়ে নিয়েছে, আবার এই সমাজ তৈরি করেছে আমাদেরও পূর্ব পুরুষেরা। আমরা ফিরে আসি সেই শত বছরের গড়া এই অমানবিক সমাজ ও চিন্তাভাবনা থেকে। বর্তমান সমাজ আমাদের এটাই বলে যে তুমি বিয়ে করো তোমার থেকে কম বয়সি মেয়েকে, কম বয়সী মেয়েদের পৃথিবীতে অনেকেই বিয়ে করে, তাই তাঁদের নিয়ে এখন লিখছি না। আমি লিখছি সেই সম্পর্ক নিয়ে যে সম্পর্ক টা একটা ছেলের তাঁর থেকে বড়ো বয়সি মেয়েটির সাথে। যে সম্পর্কটা আমাদের সমাজ মেনে নিতে পারে না, পৃথিবী এবং প্রকৃতি ও পরিবার মেনে নিলেও অনেক সময় সমাজ মেনে নিতে পারে না, সমাজের মানুষেরা সেই সম্পর্ক ও বিয়ে নিয়ে কটু কথা ও খারাপ চিন্তাভাবনা করতে ও বলতে থাকে এবং চলতে থাকে লোকালয়ে সমাগম করে সমালোচনা, যে তাদেরই মাথা ব্যথা সম্পর্ক ও বিয়ে নিয়ে, সমাজ হালাল সম্পর্ক কে সমর্থন করতে পারে না।
প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসার কাছে বয়স কোনো পার্থক্য ও বয়সের ব্যবধানে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়-না।

প্রকৃত প্রেম অন্ধভাবে ভালোবাসতে পারে প্রেমিকাকে! প্রেম নাকি পৃথিবীর সব কিছুই করতে অনুপ্রেরণা জোগায় প্রেমিকার কাছ থেকে! হয়তো এটাই সত্যি। কারণ একজন ছেলে যখন কাউকে সত্যিকারের ভালোবাসে, তখন সে চেহারা, গায়ের রং, এমনকি বয়সের ব্যাপারটাও গ্রাহ্য করে না, এবং সে কখনো বুঝতে চায়’না মেয়েটি তাঁর থেকে বয়সে বড়, এটাই প্রেমিকের চোখে প্রেম! প্রেম জাত ধর্ম বর্ণ গোত্র ও বয়সের উপর নির্ভর করে চলে না।
প্রেম নির্ভর করে সম্পূর্ণ দুটি মানুষের মনের মিলের মধ্যে ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে এবং একে অপরের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস, ভালোবাসা ও ভালো আচরণে মাধ্যমে।
সেই প্রেম গড়ে ওঠতে পারে তাঁর থেকে বড় বয়সি মেয়েটির সাথে সেটা আমাদের সমাজ ব্যবস্থা অস্বাভাবিক মনে করে, বিয়ে কিংবা প্রেম যাই হোক্ না কেনো। আমাদের সমাজে মেয়েরা তাঁর চেয়ে বয়সে বড় ছেলেকে বিয়ে করবে, এটাই স্বাভাবিক মনে করে।
তাই বলে কি ব্যতিক্রম হয় না ও হতে পারে না? সমাজ আমরা গঠন করেছি! সেই সমাজ কি এখন আমাদের নিয়ম করে নিয়েছে? সেই সমাজ কি আমাদের বাক-স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে? আমরা কি কখনো সেই সমাজের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাহির হতে পারি না? আমরা কি সব সময় ও সব দিক থেকেই কি নারীদের অবঙ্গা করতে থাকবো? এই সমাজ নারীদের দ্বারা সুসংগঠিত হয়েছে কিন্তু সেই সমাজ কেনো নারীকে সম্মান দিতে পারে না? এই সমাজে নারীরা কবে সম্মান পাবে? আমাদের পূর্ব পুরুষের গড়া সেই শত বছর আগের কুসংস্কার সমাজ থেকে কি নারীরা কখনো মুক্ত হবে? তাঁরা কি সুন্দরজীবন গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতে পারে না তাঁর ভালো লাগার মানুষটির সাথে বয়সে ছোট হওয়ার ব্যবধানের কারণে কি তাঁর চাহিদার মৃত্যু হতে হবে? আমাদের কুসংস্কার সমাজের জন্য অনেক ভালোবাসার এই ভাবে মৃত্যু ও বিচ্ছেদ ঘটে।
একজন ছেলে তাঁর চেয়ে বড় বয়সের মেয়েটির প্রেমে পড়তেই পারে, মেয়েটিকে ভালোবাসতেই পারে, বিয়েও করতে পারে। কিন্তু মেয়ে বয়সে বড় হওয়ার কারণে সম্পর্ক আমাদের সমাজ ও পরিবার সহজে মেনে নিতে চায় না। ফলে তাঁদের যেতে হয় অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে। শুনতে হয় অসংখ্য কটু কথা, সইতে হয় হাজারো লাঞ্ছনা ও অপমান। বয়সের পার্থক্যের কারণে মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দেয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও। কী করে কাটিয়ে উঠবেন এসব? ভালোবাসায় বয়সটা কোনো ব্যাপার নয় অবশ্যই, তবে এই সব সমস্যা কাটিয়ে সফল ভাবে সংসার করতে পারে কয়জন? এর জন্য প্রয়োজন একে অপরের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস আর অসীম ভালোবাসা।

স্ত্রীর বয়স স্বামীর চেয়ে অনেকটাই বেশি। এটা কি দুজনের বোঝাপড়ায় খমতি তৈরি করতে পারে? বয়সে ছোট স্বামীর সাধ-আহ্লাদের সঙ্গে কি স্ত্রী তাল মেলাতে পারেন? স্ত্রী তো স্বামীর বেশ আগেই বুড়িয়ে যাবেন, তখন কী হবে? বয়সের ব্যবধান থেকে স্ত্রী-স্বামীর মানসিক-শারীরিক ব্যবধানও কি বাড়তে থাকে?

স্ত্রী বয়সে বড় হলেই যে সময়ের চেয়ে পিছিয়ে থাকবেন তা নয়, তবে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলে দাম্পত্যে বয়স কোনো বড় কথা নয়। বয়সের ব্যবধান অনেক, কিন্তু দাম্পত্য জীবন সুখের—এমন উদাহরণ কম নেই।

মনে হয়ে গেলো ইংরেজ লেখক শেক্সপিয়রের কথা–
“শেক্সপিয়র কে একজন জিজ্ঞেস করলো “তুমি বিয়ে করেছ তোমার চেয়ে বেশি বয়সের একটি মেয়েকে। তোমার লজ্জা করেনা। ” শেক্সপিয়র তাঁকে একটি ক্যালেন্ডার এনে দেখালেন আর বললেন “আপনি বলতে পারবেন সপ্তাহের সাতটি দিনের মধ্যে কোনটা যুবক আর কোনটা বৃদ্ধ? ” আসলে ভালবাসার কোন বয়স হয়না,,আপনি যে কাউকেই ভালবাসতে পারেন”

আমার লেখা–

“ভালোবাসা বয়সে তো বাধা নয়, বিশ্বাসেই তো আশা, জীবন জীবনের জন্য হয়ে কেনোও পার্থক্য হয় সমাজের চোখে তোমারই সেই ভালোবাসা”

“যে যাকে ভালোবাসে তাঁর কাছে বয়স কোনো বাঁধা নয়”

সুখী দাম্পত্য জীবনের পেছনে বয়সের ফারাক কোনো বাধা নয়; মনের মিল আর পারস্পরিক বোঝাপড়াই আসল।

রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম একজন আদর্শ স্বামী ছিলেন। এছাড়াও তিনি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেরই আদর্শ। আমরা নবী করি সাল্লাল্লাহু ওয়া-সাল্লামের দাম্পত্য জীবনে তাঁকে ফলো করি— এবং বুঝতে শিখে তাহলে বয়সের এ পার্থক্য আমাদের জীবনে নেতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলবে না, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ওনার বয়স ছিলো যখন পঁচিশ বছর তখন তিনি চল্লিশ বছরের নারী হযরত খাদিজা (রাঃ) আনহাকে বিয়ে করলেন।

রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম তো বলেন নি-যে তুমি তোমার থেকে বড় বয়সের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না। কিন্তু সমাজ কেনো এটা মেনে নিতে পারে না, সমাজের মানুষের উপর কি অন্য কোনো গ্রহের অহি নাজিল হয়েছে- বয়সে বড় মেয়ে বিয়ে করলে গোনাহ হবে? সমাজ কেনো ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ করছে এবং নারীর চাহিদা টাও। কুসংস্কার সমাজ থেকে চলুন আমরা বাহির হয়ে আসি আমরা ফিরে যাই সেই সমাজে যে সমাজ ব্যক্তির ভালো লাগা ভালোবাসা ও পরস্পর বোঝা পড়াকে সমর্থন করবে। কুসংস্কার সমাজের বিলুপ্তি হোক্ ধ্বংস হোক্  সেই সমাজের চিন্তাভাবনা।

কম বয়সি মেয়েকে বিয়ে করে যে সুখী থাকবে এমন টা কোথাও লেখা আছে? তোমার থেকে বয়সে বড় নারীকে বিয়ে করে তুমি সুখে থাকবে এমনটাও কোথাও লেখা নেই!

আমার চিন্তাভাবনা ও জ্ঞান বলে! ভালোবাসা সবার প্রতি জন্ম নেয় না, যে কেউ হুট্ করে যে কারোর প্রেমে পড়তে পারে এবং যে কোনো বয়সের মানুষটির সাথে সম্পর্ক করতে পারে, বয়সে বড় কিংবা ছোট। তাঁর কাছে ভালোবাসাটাই মুখ্য হয়ে থাকে বয়স জাত ধর্ম বর্ণ ও গোত্র মুখ্য হয় না। আর ভালোবাসার মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, ভালো চিন্তা ভাবনা সম্মান শ্রদ্ধা ও ভালো আচরণ সম্পর্কের মধ্যে থাকলে যে কোনো বয়সের সম্পর্ক হলেও দাম্পত্যজীবন সুখের হয়। সেখানে বয়স কোনো পার্থক্য নয়।

সমাজে এটাই প্রচলিত হয়েছে তোমার থেকে পনের বছরের ছোট মেয়েকে তুমি বিয়ে করলে সমাজ তোমাকে বাহ্ বাহ্ করে, আবার তোমার থেকে তিন/চার বছরের বড় মেয়েকে বিয়ে করলে সমাজ তোমার সম্পর্ক ও বিয়ে নিয়ে কত কথা বলে, সমাজের নারীবিদ্বেষী সমাজের মানুষেরা তা তাঁরা মেনে নিতেই চায় না, সমাজ মনে করে নারীরা ভোগের বস্তু তাই তাঁদের ভালোবাসার চাহিদা ও ব্যক্তি নারীর চাহিদা নেই-বয়সে ছোট হলে থাকে ভালোবাসার।
তোমার থেকে বয়সে বড় নারীর সাথে ব্যভিচার করতে পারো কিন্তু বিয়ে তোমার থেকে বয়সে ছোট মেয়েকেই করতে হবে এটাই কি সমাজ।

মনে রেখো সমাজের কুসংস্কার প্রচলিত ও সমর্থিত মানুষেরা মনের মিল ছাড়া “না ভালোবাসা” আর না শারীরিক সম্পর্ক কোনো টাই মনের তৃপ্তি বয়ে আনতে পারে না। যতটা তৃপ্তি মনের মিল ও ভালোবাসার মাধ্যমে অর্জন করা হয়।

বয়স বেশি হলেই যে কেউ সময়ের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে, এমন তো কোনো কথা নেই। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর বয়স ও অবস্থান বা বয়সের ব্যবধান কখনো বিবেচ্য হতে পারে না,
পারস্পরিক সমঝোতা, বিশ্বাস আর বোঝাপড়াতেই একটি দাম্পত্য সম্পর্ক ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এবং সম্পর্ক মজবুত হয়।

স্ত্রী বা প্রেমিকা যখন বয়সে বড় হন তখন প্রথমেই যে ব্যাপারটির মুখোমুখি হতে হয় লোকজনের নিন্দা। হতে হয় কিছু মানুষ ও সমাজের অবজ্ঞার স্বীকার, হেয় করে অনেকেই। অনেকে পুরুষটিকে এমন কথাও বলে যে, সে বয়সে বড় নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে বা বিয়ে করে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করেছে। যা হাস্যকর কারণ! তাঁরা নারীবিদ্বেষী পুরুষদেরই একজন। যাঁরা কি’না ব্যভিচার সমর্থন করে কিন্তু বিয়ে কে সমর্থন করতে পারে না, ব্যভিচার করার থেকে ভালোবাসা ও সম্পর্ক যেই বয়সের সাথে হয় না কোনো দাম্পত্য জীবনে আবদ্ধ হন যদি মনের মিল থাকে তবে! যে যাই বলুক না কেন, এটা মনে রাখবেন যে আপনাদের ভালোবাসাই আপনাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আর এই শক্তি পরাস্ত করে দিতে পারে সব কিছুকেই। তাই লোকের কথায় কান না দিয়ে একে অপরের প্রতি আস্থা রাখুন।

বন্ধুরা তোমার থেকে বড় বয়সি মেয়েকে বিয়ে করার ধরুণ তোমাকে নিয়ে ঠাট্টা মস্করা করলে তাঁদের কে ত্যাগ করাই শ্রেয়, যে বন্ধুরা তোমার পাশে থাকবে তাঁদের নিয়েই থাকাটাই শ্রেয়।
যখন আপনজনরা তোমাকে মানসিক সাহস দেওয়ার ক্ষেত্রে উপহাস করবে তাঁদের কে ত্যাগ করে নিজের ভালোবাসাকে নিয়ে মনে সাহস নিয়ে এগিয়ে চলুন পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। ভেঙ্গে না পড়ে একে অন্যকে ভালোবাসুন, একমাত্র ভালোবাসাই পারে মানসিক চাপ ও অস্বস্থি থেকে তোমাকে স্বস্তি দিতে।

সঙ্গিনীর বেশি বয়স নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি থাকে পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা এ সম্পর্কের ব্যাপারে কোনো ধরনের সহযোগিতাই করেন না। খুব কম পরিবারই আছে যারা এমন বিয়ে সহজেই মেনে নেয়। আমাদের সমাজের পরিবারগুলো এখনো গতানুগতিক সম্পর্কের বাইরে বেরোতে পারেনি। তাই পরিবারের সদস্যরা যে সমস্যা করবে, এটাই স্বাভাবিক।
পরিবার যে সহযোগিতা করবে না, বিয়ের সময়েই এটা মাথায় রাখুন। তাহলে কষ্ট কম পাবেন। পরিবারে চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করুন যে আপনারা একে অপরকে কতখানি চান। এক সময় না এক সময় পরিবার মেনে নেবেই। পরে ধীরে ধীরে পারিবারিক সব সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।

সমাজ ও বন্ধুবান্ধব কেউ তোমাকে ও তোমার জীবন সুন্দর করতে সহায়তা করবে না, নিজের জীবন নিজেকেই গড়ে তুলতে হবে, নিজের জীবনের ভালো লাগা মন্দ লাগা নিজেকেই বুঝতে হবে, আর সম্পর্ক ও দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকার মূল তোমার থেকে বড় কিংবা ছোট সেটা নয় ৩/৪ বছরের ব্যবধান বড় মেয়ে সেটা মুখ্য নয়, মূখ্য হলো সেটা যেটা তুমি তাঁকে বুঝতে হবে, ভালো ভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে। সম্মান-শ্রদ্ধা-ভালো আচরণ, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও শিষ্টাচার ও একে অপরের দাম্পত্য জীবনে সুখী রাখতে পারে। এই গুলো যদি একে অপরের ভালোবাসার মধ্যে থাকে তবে যেই বয়সের সম্পর্ক হোক্ সুখে থাকবে,
অসুস্থ সমাজকে সেটা জানিয়ে দাও, সম্পর্কের চোখে কখনো টাকা পয়সা ধনী গরীব সুন্দর অসুন্দর ছোট বড়ো স্বাস্থ্যবান হালকা সেটা কখনো ব্যবধান সৃষ্টি করে না। সম্পর্কের মধ্যে একে অন্যকে বোঝাপড়ার মধ্যে দাম্পত্য সুখের ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। বয়সের ব্যবধানে নয়। মনের উপলব্ধি ও বোঝার মাধ্যমে আমাদের দাম্পত্য সংসার সুখের হয়।

সমাপ্ত

ধন্যবাদ সবাইকে লেখা গুলো পড়ার জন্য শেয়ার করার জন্য

Exit mobile version