Thu, Nov 21, 2024

Have a Nice Day

0 comments 0 views
🕗: 7 minutes

লেখকঃ– মাহিদুল ইসলাম আল্ মাহ্দী
লেখার তারিখঃ– ০৯১১২০২০ ইংরেজি

কিছু কিছু মানুষের ভালোবাসা হলো আকাশে থাকা তাঁরার মতো, তাঁরা পাশাপাশি থাকার পরেও কাউকে স্পর্শ করতে পারে না, শুধুই ভালোবাসে বয়ে চলে নিঃস্বার্থভাবে অন্যকে আলোকিত করতে। পারস্পরিক কাছে থাকা সত্তেও নিয়তি কিছু কিছু মানুষদের ভালোবাসার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে দেন। পরিস্থিতি তাঁদের ভালোবাসার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে দিয়ে যায় এক অজানা ব্যথা যে ব্যথার কোনো ঔষধ নেই- বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন নেই, শুধু ভিতরে আহাকার আর আর্তনাদ এবং বুকের বাম পাশে ছিমছিম ব্যথা অনুভব হওয়া ছাড়া, যে ব্যথার কষ্ট কখনো কাউকে মুখ বুজে বলা যায় না, নিরবে সহ্য করা ছাড়া।

যাঁদের ভালোবাসা প্রকৃতির কাছে হেরে যায় সময়ের সাথে সাথে ভালোবাসার গল্পেরও পরিবর্তন ঘটে, লিখতে হয় বিচ্ছেদের গল্প, যে গল্প চাই না কোনো ভালোবাসার মানুষটির জীবনে ঘটে যাক, আর লিখতে হয় হাজারো লেখক সেই জীবন নিয়ে ভালোবাসার গল্প।

নয়ন একটা মেয়েকে প্রচন্ড ভালোবাসতো মেয়েটির নাম ছিলো বৃষ্টি, আর মেয়েটিও নয়নকে ভালোবেসে ছিলো, যখন মেয়েটির বিয়ে হতে চলছিলো বাবার চয়েসে অন্য ছেলেটির সাথে, তখন নয়ন সেই মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য নিজের পরিবারকে বললো আমি বৃষ্টিকে ভালোবাসি, পরিবার কিছু বললো না, কারণ ছেলেটি ছিলো বেকার, কিন্তু নয়নের পরিবার আর্থিক ভাবে সচ্ছল ছিলো, আর এই দিকে বৃষ্টি পরিবারের কথায় নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে পাওয়ার চেষ্টা না করে নিজের বাবার কথা মতো অন্য ছেলেটির সাথে বিয়ে হলো! নয়ন সেই কষ্ট ও যন্ত্রণা নীরবে সহ্য করে নিস্তব্ধ হয়ে প্রতিটা দিন আর্তনাদে পাড় করছিলো একাকী, বৃষ্টির বিয়ের কিছু দিন পর ছেলেটি চলে যায় ইউরোপের একটি দেশে সেখানে দীর্ঘ চার বছর ধরে বসবাস করছিল, আর বৃষ্টির বিয়ের এক বছর পর তাঁর স্বামী হঠাৎ করে ব্রেইন স্ট্রোকে মারা গেলো, বৃষ্টির একটি মেয়েও হয়ে ছিলো যাঁর বয়স চলছিলো তিন বছর, নয়ন ইউরোপে থাকাকালীন সময় বৃষ্টির সাথে অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলো কিন্তু যোগাযোগ করতে পারেনি, তারপরে ফেইসবুকে বৃষ্টির সাথে নয়নের ফেইসবুক আইডি দিয়ে দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফ্রেন্ডরিকোয়েষ্ট দিয়ে! বৃষ্টি নয়নের আইডি থেকে আসা সেই ফ্রেন্ডরিকোয়েষ্ট দেখে তাঁকে ফেইসবুকে ব্লক করে দিলো। তারপরেও নয়ন মেয়েটিকে ভালোবেসে চলছিলো এবং বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলো, কিন্তু ব্যর্থ! অবশেষে নয়ন অন্য একটা আইডি দিয়ে বৃষ্টির সাথে যোগাযোগ করলো বৃষ্টি কথা বললো মেসেজে, এবং বৃষ্টির ঠিকানা জানার পর নয়ন- বৃষ্টিকে এক পলক কাছ থেকে দেখার জন্য তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে একবার-শুধু একবার দেখার জন্য ইউরোপ থেকে দেশে চলে আসলো এক সপ্তাহের ভিতরে, ছেলেটি জানে তাঁর স্বামী মারা গেছে দূর থেকে খোঁজ খবর নিতো তাঁর বান্ধবীর কাছ থেকে, এবং একটা মেয়েও আছে তা জানার পরেও পাগলের মতো নয়ন সেই মেয়েটিকে ভালোবেসে চলছিলো, ইউরোপে তাঁর কাটানো চার বছর ছিলো খুব কষ্টের ও যন্ত্রণার, ভালোবাসার মানুষটির স্মৃতিগুলো নয়নকে খুব কষ্ট দিতো৷ এবং একাকী নয়ন বৃষ্টির সাথে কাটানো স্মৃতি মনে করে অজরে কান্না করতো।

নয়ন দেশে আসার পরের দিনও ছুটে চললো মেয়েটির ঠিকানায়, মেয়েটির বাসার সামনে বললো দাড়োয়ান কে, আপনি বলেন আপনার মেডাম কে আমি তাঁর সাথে দেখা করতে চাঁই, তখন দাড়োয়ান বললো আপনার নাম কি? নয়ন দাড়োয়ান কে বললো তুমি যাও গিয়ে বলো একজন লোক এসেছে আপনার সাথে দেখা করতে চায়, আমি তাঁকে সারপ্রাইজ দিতে চাঁই, কারণ সে আমার খুব পরিচিত, আমি দেশের বাহিরে ছিলাম চার বছর যাঁর জন্য দেখা হয়নি! তুমি গিয়ে বলো যাও- তখন দাড়োয়ান গিয়ে বৃষ্টি কে বললো মেডাম আপনার সাথে একজন লোক দেখা করতে চায়, অনুমতি পাওয়ার পর নয়ন বৃষ্টির বাসাতে গেলো! বাসার দর্জা খুলে নয়ন বললো মেডাম ভিতরে আসতে পারি, বৃষ্টি হতবাক্ হয়ে সামনে তাঁকিয়ে দাঁড়িয়ে বললো আপনি? আপনি কবে দেশে আসছেন? আর আমার ঠিকানা জানলেন কি করে? নয়ন জবাবে বললো হ্যাঁ আমি! আর আমি তোমাকে আমার আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছিলাম, তুমি ব্লক করেছ কিন্তু কেনো? তাঁরপর আমি অন্য একটা আইডি থেকে যোগাযোগ করার পর তোমার ঠিকানা জানার পর একমুহূর্ত দেরি না করে চলে আসলাম দেশে, তোমাকে এক নজর দেখবো বলে, একবার সামনা সামনি কথা বলবো বলে!
বৃষ্টি নয়নের কথা গুলো শুনে আর এখনো তাঁর ভালোবাসার গভীরতা দেখে বৃষ্টির চোখের কোণে জল চলে আসলো, বৃষ্টি বললো আমি তোমাকে কেনো ব্লক করেছি জানো নয়ন? চাই না তোমাকে আমি কষ্ট দিতে, চাই না তুমি আমার দ্বারা কখনো কষ্ট পাও। কারণ আমি তোমাকে কষ্ট দিয়েছি আমি তোমার কাছে অপরাধী, তুমি আমাকে ভালোবেসেছিলে, কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম ঠিকই কিন্তু তোমাকে পাওয়ার জন্য সেই চেষ্টা করিনি, কারণ আমি ছিলাম ভাগ্য বিশ্বাসী। তখন নয়ন বললো! পরিস্থিতি ও নিয়তি আমাকে তোমার হতে দেয়নি আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম তোমাকে পাওয়ার জন্য, বিয়ে করার জন্য, কিন্তু সেই সময় আমার ছিলো অক্ষমতা, যাঁর জন্য আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারিনি।
কিন্তু বৃষ্টি আমি এই দীর্ঘ চার বছর তোমাকে ভেবে ভেবে আমি খুব ক্লান্ত আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না, যখন জেনেছি তোমার এই ঠিকানা তখনই আমি চলে আসছি তোমার কাছে, কারণ আমি তোমাকে এখনো ভালোবাসি, বৃষ্টি নয়নকে বললো তুমি কি পাগল হয়েছ? পৃথিবীতে এতো মেয়ে থাকতে কেনো এখনো আমাকে ভালোবাসো? আমি এখন একজন বিবাহিত মেয়ে তুমি জানো এবং তোমার সেটাও এখন জানা উচিত্ আমি একজন তিন বছরের মেয়ের মা!
নয়ন বৃষ্টির কথা শুনে চার বছরের কষ্ট ও যন্ত্রণাকে আড়াল করে হাসি মাখা মুখে বললো ভালোবাসা কখনো বিবাহ ও একজন সন্তানের জননী ভেবে দূরে যায় না। ভালোবাসা পৃথিবীতে একজনের মনে সবার জন্য জন্ম নেয় না, ভালোবাসা হলো দুঃখের সময় যে তোমার সবকিছুই যেনেই তোমাকে ভালোবেসে হাতটি ধরে সেটাই ভালোবাসা! আর আমি জানি তোমার স্বামী মারা গেছে বিয়ের একবছর পরও, আর আমি সেটাও জানি তোমার একটা তিন বছরের মেয়ে আছে যাঁর নাম মীম। আমি সব কিছু জেনেই বলেছি আমি তোমাকে এখনো ভালোবাসি!

একটা ছেলে কতটুকু ভালোবাসতে পারলে এই রকমটা একটা মেয়েকে ভালোবাসতে চায় সব কিছু জানার পরেও নিঃস্বার্থভাবে? কিভাবে ভালোবাসলে–মেয়েটিকে সুখে রাখার জন্য নিজের জীবনের সব ত্যাগ স্বীকার করতে চায়? একটা ছেলে কিভাবে ভালোবাসলে মেয়টির বিয়ের চার বছরের পরও এখন থাকে সুখে রাখার চেষ্টা করে এই একাকী মূহুর্তে, ভেবে দেখুন।
বৃষ্টি বললো আমি তোমাকে তোমার কষ্টের দিন উপহার দিয়েছি আমি তোমার ভালোবাসার যোগ্য না, আমি অপরাধী তোমার কাছে, আমাকে আমার মতো থাকতে দাও, আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবো কিন্তু কখনো তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না, কারণ এখন চাই না তুমি আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে ভবিষ্যতে তুমি কষ্ট পাও, এখন আবেগে কথা বলছো, আমি সংসার করেছি আমি জানি সেই কষ্ট, যখন তুমি আমার মেয়েকে দেখবে তখনই তোমার পুরনো অতীত মনে হবে আর তখন তুমি নিজেই কষ্ট পাবে, এখন এই রকম বলছো ভবিষ্যতে এই রকম টা বলবে-না আমি জানি, কারণ আমি নিজেই সেটা মানবো না। তুমি এখন স্টাবলিশ হয়েছ এখন তুমি আর বেকার নও, আমি চাঁই তুমি অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করো! সুখী থাকো! নয়ন বললো আমি কখনো তোমাকে বলেছি তুমি অপরাধী, আমি কখনো বলেছি তুমি বিবাহিত ও সন্তানের মা!
আমি কখনো বলেছি! আমি এখন স্টাবলিশ হয়েছি এখন অন্য মেয়েকে বিয়ে করবো! আমি তো সব সময়ও স্টাবলিশ ছিলাম কিন্তু নিজের পায়ে এখন দাঁড়িয়েছি, এখন আমি বেকার ছেলে নই! এটাই পার্থক্য আমার কাছে!
কিন্তু তুমি আমার কাছে সেই চার বছর আগের বৃষ্টিই আছো এখনো!
আর সত্যিকারের ভালোবাসা হাজার টা কারণ থাকা সত্তেও কাছে থাকার চেষ্টা করে, সত্যিকারের ভালোবাসার কাছে- “না” কোনো বয়স আর “না” কোনো কারণই বাঁধা হয়, কারণ সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষরা চেষ্টা করতে থাকে ভালোবাসার মানুষটিকে পাওয়ার জন্য।
বৃষ্টি জানো তুমি! ইউরোপের মানুষ গুলো তাঁরা ভাগ্য বিশ্বাসী না, তাঁরা কর্মের দ্বারা ভাগ্যে বিশ্বাসী। তোমার মতো তাঁরা কর্মহীন চেষ্টায় ভাগ্য বিশ্বাস করে না!
যদি তুমি সেই দিন চেষ্টা করতে তাহলে আমি সেই চার বছর একাকী যন্ত্রণায় অপেক্ষাহীন কাটাতাম না, আর আজ তুমি সেই জীবনের কঠিন মুহূর্তে আসতে না। জীবনে চলতে গেলে একজন ভালোবাসার ভালো মানুষটির প্রয়োজন হয়, যে তোমাকে সব সময় আগলে রাখবে, আমি তোমার সব কিছুই জেনেই আজও ভালোবাসি এখনো বিয়ে করতে চাঁই তোমাকে হৃদয়ে আশ্রয় দেবো বলে!

বৃষ্টি বললো তুমি কি আমাকে “করুনা” দেখাচ্ছো আমার পরিস্থিতি দেখে যাঁর জন্য বলছো ভালোবাসার কথা, আমার তোমার ভালোবাসার দরকার নেই, আমি এই একাকীই থাকবো জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত, আমি চাই না তোমার জীবন নষ্ট করতে তুমি অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করে নাও! নয়ন বললো আমি সব সময় চেয়েছি ভালোবেসে তোমার ছায়া হতে “করুনা” বা দয়ালুর মাধ্যমে ছিলো না আমার ভালোবাসা।
আর তোমাকে বলেছি কখনো? তোমাকে বিয়ে করলে আমার জীবন নষ্ট হবে? এখনোই কি তুমি সেটা ভাবো- সমাজ কি বলে আশেপাশের মানুষ কি ভাবে, কি বলবে তা মনে করো! বর্তমান সমাজ কারোর ভালো চায় যা তুমি ভাবছো? আর বর্তমানের মানুষেরা যাঁরা ভার্চুয়ালের মৃত্যু প্রাণী অধিকাংশেরই মস্তিষ্ক মৃত! আমি সেই সমাজ নিয়ে ভাবি না কে কি বলে না বলে, আমি সেই সব মানুষ নিয়ে ভাবি না, যাঁরা খারাপ পরিস্থিতিতে হাততালি দেয়।

আমার ভালোবাসা কোনো সমাজের কাছে প্রশ্নবিদ্ব না- আর না কোনো মানুষের কাছে জবাবদিহি।
আমি শুধু তোমাকে ভালোবেসে আগলে রাখতে চাই পৃথিবীর সব কিছু থেকে, এবং আমার হৃদয়ের সেই ক্ষতটুকুর নিরাময় চাঁই তোমাকে কাছে পেয়ে।

বৃষ্টি কেঁদে জড়িয়ে ধরে বললো এতো ভালোবাসো এখনো আমায়, সত্যি তোমার মতো ছেলে হয় না যে আমার সব কিছু জেনেও আমার প্রতি ঘৃণা না করে এখনো ভালোবাসে, আচ্ছা আমার মেয়ের মীম তাঁরও পিতার মর্যাদা দিতে হবে! যদি তাঁকে পিতার মর্যাদা না দাও তাহলে আমিও তোমার হবো না। কারণ এখনকার সব ত্যাগ আমার মেয়ের জন্য যাঁর জন্য তোমাকে চাইনি। আমি চেয়েছি তুমি অন্য কাউকে নিয়েই সুখী থাকো আর আমি আমার মেয়েকে নিয়ে এই পৃথিবীতে সুখে থাকার চেষ্টা করবো, নয়ন বললো আমি মীমের একজন ভালো পিতাসস্রী হবো, তোমার মতো তাঁর সাথেও দুষ্টুমি করবো। কিন্তু আমি চাই তুমি সেই চার বছর আগের বৃষ্টি হও আর আমি সেই চার বছর আগের নয়ন, যাতে আমরা সব কিছু ভুলেও ভালোবাসাকে জয় করতে পারি, আর চলতে পারি সেই ভালোবাসার গন্তব্যে। এই পৃথিবীতে।

ভালোবাসা এমন হওয়া চাই! হাজারো প্রতিবন্ধকতা ভালোবাসার মানুষদের যেনো পৃথক করতে না পারে।
যে ছেলে তোমার সব কিছুই জানার পরও তোমাকে ভালোবাসে সে কখনো তোমাকে কষ্ট দিবে না, সে একমাত্রই যে কি’না তোমাকেই ভালোবাসে।
অনেক সময় আমরা বিভিন্ন অজুহাত ও পরিস্থিতি দেখিয়ে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটাই, কিন্তু কখন তাঁর ভালোবাসার মূল্য বুঝি জানো? যখন তাঁর জায়গায় অন্য কেউ চলে আসে তখন বুঝি সেই ভালোবাসার মূল্য।
মানুষ এক অদ্ভুত প্রাণী যাঁদের গল্প কখনো শেষ হবে না, কালের পরিবর্তনে তাঁরা পরিবর্তন হয়ে যায়, আর গল্প তাঁদের হয়ে যায় সেই পরিবর্তনের। আমরা ভালোবাসার ব্যবধান তখনই বুঝতে সক্ষম হই যখন আমরা অন্য কাউকে নিয়ে সংসার করি, তখন দু’জনের মধ্যে ভালোবাসার পার্থক্য বোঝা যায়। একজনের ভালোবাসায় কখনো বোঝা যায় না ও গুরুত্বটাও থাকে না সেই ভালোবাসার প্রতি। গুরুত্ব তখনই তাঁকে যখন না চাইতে চাইলেও অনেক সময় তাঁকে হারিয়ে অন্যোর সঙ্গে সংসারের আবদ্ধ হয়ে থাকতে হয়, গুরুত্ব তখনই তাঁকে যখন সে তোমার ভালোবাসা থেকে নির্বাসিত হয়ে যায়। ভালোবাসার গুরুত্ব সেই সময় টায় থাকে– যখন দু’জন মানুষ জীবনে আসার পরেও সেই প্রথম ভালোবাসাকে আবারো চাও একটু আগের মতো ভালোবাসতে একটু কাছে গিয়ে বলতে আমি সরি আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, আমি এখন তোমাকে আমার জীবনে চাঁই সেই আগের মতো হয়ে। আমার ভুল গুলো ক্ষমা করে। কিন্তু নিয়তি আর সেই দিন হয়তো তোমার কাছে দিবে নি, কারণ তুমি সময় ও ভালোবাসার সঠিক মর্যাদা দাও নি, তাই আমিও সরি আর লিখতে পারলাম না।

অবশেষে সব ভালোবাসার শেষ কখনো সুন্দর হয় না যেমনটা হয়েছে এই গল্পে।

সমাপ্ত

শিক্ষানীয়ঃ
. যদি ছেলের পরিবার আর্থিক ভাবে সচ্ছল হয় ও ছেলে বর্তমানে বেকার হয় তাহলে দু পরিবারের সম্মতিক্রমে সম্পর্ক মেনে নেওয়া তাহলে উভয়েই ডিপ্রেশন থেকে বেঁচে যায়, ডিপ্রেশন মানুষের জীবন নষ্ট করে না শুধু আয়ুও কমিয়ে দেয়।

বিয়ের পর স্ত্রীর কথা বুঝে সে এমনিতেই কোনো কাজে লাগবে এটাই প্রত্যাশা করা। কারণ একজন স্ত্রী চাইলে স্বামীকে উন্নতশীল করতে সহায়তা করতে পারে অনুপ্রেরণা ও ভালো পরামর্শের দ্বারা।

সমাজ কি বলবে, মানুষ কি বলবে, এই গুলো ভেবে কি হবে? সমাজ ও মানুষ একবেলা না খেয়ে দেখো কেউ কি এসে খোঁজ খবর নেয়।
প্রকৃত ভালোবাসা কখনো হারায় না, প্রকৃত ভালোবাসার কাছে বয়স কোনো পার্থক্য নয়,
আমরা যা বেশী চিন্তা করি সেটা সমাজ ও মানুষ কি বলবে? এটাই অতিরিক্ত সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ।

সঠিক সময়ে ভালোবাসার মানুষটিকে মূল্যায়ন করা, তাঁকে মনের দিক দিয়ে আঘাত না করা, শ্রদ্ধা, সম্মান, ভদ্রতা ও ভালো আচরণ সম্পর্কের মধ্যে থাকা উচিত্। ভালোবাসার মধ্যে এক্সপেক্টটিশন্স ফুল ফিলাপ না হলে এক্সপেক্টটিশন্স অপূর্ণ থেকে যায়, তাই ভালোবাসার মানুষটিকে পাওয়া ও সারা জীবন একত্রিত থাকা সেটা জীবনের সব চাইতে বড়ো প্রাপ্তি।

ভাগোর প্রতি বিশ্বাস না করে কর্মের মাধ্যমে ভাগ্য অর্জন করা চেষ্টা করা, পরিস্থিতি ও অজুহাত ভালোবাসাকে ধ্বংস করে ও সম্পর্কের মধ্য বিচ্ছেদ ঘটায়।

. সম্পর্কে জড়ানোর আগে একে অপরের সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে সম্পর্কে জড়ানোই শ্রেয় মনে করি, যাতে তোমাদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। পরে আবেগে বিষ পান না করা।

. ভালোবাসা নামের অশ্লিলতার মৃত্যু চাঁই।

 

ধন্যবাদ সবাইকে লেখা গুলো পড়ার জন্য শেয়ার করার জন্য

Md Efaz
Web Developer
Narayanganj Bangladesh
I am a dedicated WordPress developer with 4 years of experience on Fiverr. I specialize in developing all kinds of websites and landing pages, ensuring they are professional, responsive, and visually appealing. My goal is to bring your vision to life, whether it's a business site, e-commerce store, portfolio, or any other web solution. Let's work together to create a website that perfectly fits your needs and stands out in today’s digital landscape.
 

Leave a Comment