পুরুষেরা যৌবন বয়সে আবেগপ্রবণ হয়ে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে ভুল করে ফেলে, যে ভুল বার্ধক্যে উপনীত হলে এই কথা ভেবে নিজেকে অপরাধী মনে করে, ছেলে মেয়েদের সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসাটা তাঁকে আর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান ঔ স্নেহ টাও, কিন্তু বেশিরভাগ প্রেমিক মনে করে ভালোবাসা টা মানে উপভোগ করা এবং পার্কে বেড়ানো।
প্রেমিকের প্রতি মনের বাসনা কামনা পূর্ণ করার পর ছেলেরা ভানা খুঁজে কিভাবে মেয়ের থেকে পৃথক হওয়া যায়, এবং বিভিন্ন অঝর মেয়ের সামনে তুলে ধরে স্বার্থ হাসিল হওয়ার পর পৃথক হওয়ার জন্য, তখন মেয়েটি হয়ে যায় অসহায় এবং নিজের কাছে নিজেই অপরাধী! নিজে এখন কি করবে চোখে পথ দেখছে না আর, অসহায় হয়ে বিবর্ণ ভাবে ছেলের কথা শুনতে হচ্ছে, নিজের সতীত্ব ছেলের কাছে অর্পণ করার পর শেষ মূহুর্তে ছেলের এই প্রতিদান মেয়ের জন্য হয়, তখন মেয়েটি হয়ে যায় নিরুপায়! কেউ এই কষ্ট ও বিশ্বাসে আঘাত ও যন্ত্রণা পাবার পর নিজেই নিজেকে হত্যা করে? আবার কেউ নতুন করে বাঁচতে শিখে, যাঁরা বাঁচতে শিখে তাঁরা ছেলেদের প্রতি ঘৃণা নিয়েই বেঁচে থাকে, একজন ছেলের অপরাধের জন্য এবং মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করার জন্য সব ছেলেদের অপরাধী হতে হয়, এবং ঘৃণিত হতে হয়।
যতদিন এই মেয়ে বেঁচে থাকবে স্বামীর খেয়ানত কারী হিসেবে বেঁচে থাকবে, ও ছেলেদের প্রতি ঘৃণা নিয়েই বেঁচে থাকবে।
আমরা ছেলেরা এই মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে একটা মেয়ের সতীত্ব নষ্ট করি এবং মেয়েটি যার স্ত্রী হবে তাঁর আমানত টাও নষ্ট করি।
আমরা এরকম টা করার পর আমরা কিভাবে আশা করি সতীসাদ্ধী নারী পাওয়ার।
চলুন চলে যাই মূল কথায়!
ভাইটি ছিলো একটু অসুস্থ সব সময় বৃষ্টি ভাইয়ের এবং পরিবারের মা-বাবা সবার খেয়াল রাখতো
বৃষ্টির যখন বয়স বারো বছর! তখন বোন চলে যায় বিত্তশালী পরিবারের ছেলের হাত ধরে পরিবারকে চাপের সম্মুখীন করে, বিত্তশালী পরিবারের লোকজন বৃষ্টির বাবার কাছ থেকে যৌতুক দাবী করে, অবশেষে বৃষ্টির বাবা মেয়ের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে যৌতুক প্রধান করে সুদের টাকার মাধমে।
যৌতুকের টাকার ঋণ শেষ হতে না হতে মারা যায় একটা দুর্ঘটনায় বৃষ্টির ছোট বোন।
তখন বৃষ্টির পরিবার হয়ে যায় নিরুপায় এবং অসহায়, বড়ো দুই ভাই বিয়ের পর তাঁদের সংসার নিয়ে পৃথক হয়ে যায়, মা-বাবা ভাই বোনদের খোঁজ খবর না নিয়ে তাঁরা ব্যস্ত তাঁকে তাঁদের সংসার নিয়ে।
আর এই দিকে ছোট বোন বৃষ্টি অসুস্থ ভাই আর মা-বাবা কে নিয়ে সংসার গড়ে তোলার স্বপ্ন ও চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বাবা চলে যায় বাহিরা দেশে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে, তখন পরিবারে চার জন থেকে তিন জন হয়ে গেলো বাবা বাহিরা দেশে চলে যাওয়াতে।
ছোট বৃষ্টি বড়ো হতে না হতে পরিবার থেকে অনেক চাঁপ সহ্য করতে হয়েছে, ভাই বোনদের স্বার্থপরতার জন্য, এবং সব সময় অসুস্থ ভাই ও মা-বাবাকে নিয়ে চিন্তা করতে হয়েছে, কারণ মা-বাবা ছাড়া বৃষ্টিকে দেখার মতো কেউ নেই এবং ভাই যিনি দেখবেন তিনি অসুস্থ ছিলেন, তাই সব সময় চিন্তা করতো মা-বাবার কিছু হলে আমি ভাইকে নিয়ে কোথায় যাবো কিভাবে সংসার চালাবো।
১৪ বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে বাড়িতে মায়ের সাথে সংসারের কাজে সহযোগিতা করে বৃষ্টি, এবং অসুস্থ ভাইয়ের দেখাশোনা করে।
বৃষ্টি দেখতে খুবি সুন্দর ও ভালো গুণাগুণের ছিলো, তাই বড়ো বোনের স্বামী বৃষ্টিকে দেখে ধীরে ধীরে তার প্রতি আকৃষ্ট হতে লাগলো, অবশেষে একদিন বৃষ্টিকে প্রস্তাব করলো, কিন্তু বৃষ্টি ভদ্র ও নম্র স্বভাবের মেয়ে ছিলো, তাই তাঁর প্রস্তাবে রাগ না করে তাঁর বড়ো বোনের স্মামীকে বুঝিয়ে বললো? আমার সাথে যদি আপনি কিছু করতে চাঁন তবে আমার বোন আপনার কাছ থেকে ইসলামের দৃষ্টিতে তালাক হয়ে যাবে, আর যে বোন আপনাকে ভালোবেসে পরিবারের মায়া মমতা মা-বাবা কে ত্যাগ করে আপনার হাত ধরে চলে যায়, সে বোনের ভালোবাসা এবং বিশ্বাসে আপনি কি করে আঘাত করতে পারেন, এই রকম ভাবে বড়ো বোনের স্মামীকে সে বোঝাতে লাগলো, কিন্তু অবশেষে একদিন বড়ো বোনের স্মামী তাঁর ভুল বুঝতে পারলো।
কিন্তু তাঁর পরেও শেষ নয়😭
বৃষ্টির তালতু ভাই বৃষ্টিকে দেখে সেও ধীরে ধীরে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতে লাগলো, এবং বৃষ্টিকে সে তাঁর মনের কথাটা বললো, বৃষ্টি তাঁতেও রাজি হলো না, তাঁর তালতু ভাই বিত্তশালী পরিবারের ছেলে এলাকার মধ্যে তাঁদের দাপট ছিলো বড়ো।
সে বৃষ্টিকে অনেক বোঝালো এবং প্রলোভন দেখালো? ভয় দেখালো কিন্তু তাঁতেও বৃষ্টি রাজি হলো না, বৃষ্টি ছিলো মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে যার বর্তমানে মা আর এক ভাই ছিলো ভাইটি ছিলো অসুস্থ, আর বাবা হলো বাহিরা দেশে।
বৃষ্টির যখন বয়স ১৪ বছর! একদিন বৃষ্টির মা বৃষ্টির অসুস্থ ভাইকে নিয়ে ডক্টরে চলে গেলেন, বৃষ্টিকে একা বাড়িতে রেখে, আর এই খবর বৃষ্টির তালতু ভাই শুনে, বৃষ্টির বাড়ি তে আসলো এবং গেটে দাঁড়িয়ে থাকলো, বললো তোমার আম্মু কোথায়, বৃষ্টি জবাব দিলো? আম্মু ভাইকে নিয়ে ডক্টরে চলে গেছেন, তখন তালতু ভাই বললো আমি আসছিলাম ঐ (যে কোনো একটা প্রয়োজনের কথা বৃষ্টিকে বললো তালা খোলার জন্য) প্রয়োজনে গেটের তালা খুলো? বৃষ্টি গেটের তালা খুললো এবং বাড়িতে রুমে বসালো এবং নাস্তা তৈরি করে তালতু ভাইকে দিলো, তালতু ভাই নাস্তা খেলো।
এখন হঠাৎ তালতু ভাই উচ্চকণ্ঠে বলে উঠলো, এখন তুমি আর আমি তোমাদের বাড়িতে, আমি যা বলবো তোমাকে তাই শুনতে হবে, আর যদি না শুনো তাহলে আমি চিৎকার করবো, এবং আশেপাশের লোকজন এসে দেখবে, তোমাকে আর আমাকে আশেপাশের লোকজন এই একা ঘরে দেখতে পেলে তাঁরা কি ভাববে একটু তো অনুভব করতে পারছো, তখন তোমাকে কি কেউ আর বিয়ে করবে।
আমি ছেলে! আমি একটা না অনেক টা বিয়ে করতে পারবো, যা তুমি পারবে না, তখন হয়ে যাবে তুমি অসহায়, তুমি আমার কথা না শুনলে তোমার বোনকে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে ডিভোর্স করার চেষ্টা করবো, বিভিন্ন ভাবে বৃষ্টির সাথে এই একা ঘরে কথা বলে ব্ল্যাকমেল করতে লাগলো।
মেয়েটি তাঁর তালতু ভাইয়ের কথা নিস্তব্ধ ভাবে শুনতে লাগলো এবং অঝোরে চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে শুরু হলো? অসহায় বৃষ্টি নিজের সম্মান ও সতীত্বের কথা মনে মনে ভাবতে লাগলো, কিন্তু কি করবে এই একাকিত্ব ঘরে খুবি অসহায় নিজেকে মনে করা ছাড়া আর কিছু করার ছিলো না তাঁর, আর মনে মনে ভাবলো যদি তাঁকে গেটের তালা খুলে বাড়িতে প্রবেশ না করাতাম! বিশ্বাস করে তাঁর কথা গুলো শুনে, তখন সে আজ আমার সম্মান ও ইজ্জতে প্রভাব ফেলতো না, আমি সব সময় নিজেকে এবং অন্যান্যদের নিজের বাবা-ভাইয়ের সমতুল্য মনে করি, এবং মানুষদের প্রতি বিশ্বাস করি নিজেকে যে রকম ভাবে করি।
কিন্তু আজ এই একাকিত্ব ঘরে হয়তো আমাকে তাঁর কথা শুনতে হবে আর না হয় আমার আত্মহত্যা করতে হবে, কিন্তু আমি তাঁকে দেখি আমার শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত বোঝানোর।
বৃষ্টি তাঁর তালতু ভাইকে বোঝাতে লাগলো! এবং বললো; দেখো আমি ছোট থাকাকালীন সময়ে আমার বড়ো বোন আপনার ভাইয়ের হাত ধরে চলে গেছে পরিবারকে চাঁপের সম্মুখীন করে, আর ভাই দুইজন তাঁদের সংসার নিয়ে ব্যস্ত, আর ছোট বোন তাঁর বয়স যখন চার পাঁচ বছরের ছিলো তখন সেও দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে এই সুন্দর পৃথিবী ত্যাগ করে, আর ভাই যিনি আছেন তিনি অসুস্থ আর বাবা জীবিকা এবং পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য প্রবাসে জীবন কাটাচ্ছেন অর্থের জন্য।
আর আমার বর্তমান বয়সটা ছিলো পড়াশোনার বান্ধবীদের সাথে ক্লাসে যাওয়ার এবং বেড়ানোর, কিন্তু সব কিছু স্বপ্ন আশা আকাঙ্ক্ষা নিমেষেই ধ্বংস হয়ে গেলো, পরিস্থিতি এবং সময় সব কিছু পাল্টে দিলো,
এখন আমি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে মায়ের সাথে সংসারে সাহায্য করি, কিন্তু এখন আমার সংসারে সাহায্য করার বয়স ছিলো না, ছিলো পড়াশোনার বয়স।
আপনি আমাকে এই একাকিত্ব ঘরে চাইলেই যে ভাবে ইচ্ছা সে ভাবে কথা বলতে পারেন আমার ইজ্জত লঙ্ঘন করতে পারেন! আমার কিছু করার নেই। আপনার কথা শোনা ছাড়া, কিন্তু আমি অসহায়, আপনার ঘরে আমার মতো বোন আছে সেও একটা স্বামীর ঘর করবে এবং তাঁর সম্মান ও সতীত্ব হলো তাঁর স্বামীর আমানত, ঠিক এই রুপ আমার সম্মান ও সতীত্ব হলো আমার স্বামীর আমানত, এই একাকিত্ব ঘরে আপনি আর আমি ছাড়া আর কেউ নেই আর কেউ দেখবে না, তবে আল্লাহ্ একজন সব কিছু দেখেন, অসহায় মজলুমের সমতুল্য আর যাঁরা অসহায়দের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করে, আল্লাহ্ তাঁদের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেন,
আপনি আমার সম্মান ও সতীত্ব নষ্ট করার ধরুণ কাল কিয়ামতের দিন কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি ভোগ করতে হবে! এবং দুনিয়ার জীবনেও শাস্তি ভোগ করতে হবে, যে শাস্তি সামান্য উপভোগের জন্য আপনাকে ভোগ করতে হবে, যা সহ্য করার বাহিরে।
বৃষ্টি মেয়েটি ছেলের কাছে এই একাকিত্ব ঘরে সম্মান ও ইজ্জত রক্ষা করার জন্য যা যা করার এবং বলার সব করলো! কিন্তু নিষ্টুর তালতু ভাই তাঁর কথা শুনলো না, তাঁকে ব্লাকমেল ও ভয় দেখিয়ে অবশেষে বৃষ্টির সম্মান ও সতীত্বে আঘাত করলো, বৃষ্টির মনে বুক ভরা আর্তনাদ আর চোখে অশ্রুভরা জল নিয়ে কষ্টার্জিত দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মুখ দিয়ে আল্লাহকে ডেকে বললো? এই একাকিত্ব ঘরে আপনি ছাড়া আর কেউ নেই সঠিক বিচার করার, আমি যতদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকবো আমার সম্মান ও সতীত্বের বিচারের অপেক্ষায় থাকবো এবং পরকাল পর্যন্তও, আপনি বিচার করবেন আমার স্মামীর আমানতের খেয়ানত কারী এই নিষ্ঠুর চরিত্রের মন-মানসিকতার মানুষের, আপনি বিচার করবেন মায়ের জাতিদের সাথে নিষ্ঠুর ও অমানবিক নির্যাতন ও আচরণের।
মেয়েরা হলো অসহায় এবং দুর্বল, তাঁদের শেষ মূহুর্তে নির্যাতিত হওয়ার পর, আল্লাহ্ তা’য়ালা’র কাছে এই ভাবে বিচার দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার থেকে না।
এই রকম ভাবে প্রতিদিন হয়তো অনেক ছেলেরা অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করে ব্লাকমেল করে কিংবা মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ও ভয় দেখিয়ে, সম্পর্ক করে মিথ্যা ভালোবাসা দেখিয়ে ইজ্জত হরণ করে, যাঁর কিছু তাঁর অন্তরে নেই।
বিত্তশালী পরিবারের ছেলেদের কাছে এবং ক্ষমতাশীল পরিবারের ছেলেদের কাছে একটা মেয়ের ইজ্জত ও সম্মান নষ্ট করা কিছু ব্যাপার না, কারণ তাঁদের অর্থ ও ক্ষমতার দাপট আছে বলে।
এই পৃথিবীতে সবার ক্ষমতা ও অর্থ চিরস্থায়ী নয়, যে অর্থ আছে বলে দাপট দেখাচ্ছো, সে অর্থ তোমার একটা রোগ মুক্ত করার জন্য যথেষ্ট নয়, এবং তোমাকে পরকালের আযাব থেকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
আমরা ছেলেরা একটা মেয়ের ভালোবাসা ও সতীত্ব এবং বিশ্বাস নষ্ট করার আগে একবার হলে ভাবি না কেনো? আমরা কার সাথে এরকম টা করতেছি, যে কিনা জন্মদাত্রী প্রাণী, যে কিনা পৃথিবীতে আসা যত নবী পয়গম্বর-সাহাবী ও ওলীদের এবং বুজুর্গ থেকে নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্ম দিয়েছেন, যাঁদের জন্য আজ আমরা এই সুন্দর পৃথিবীতে এসেছি, যাঁদের কাছ থেকে আমরা হাঁটা শিখেছি কথা শিখেছি, এবং সুন্দর করে বাঁচতে শিখেছি।
যাঁরা আমাদের মা, যাঁরা আমাদের স্ত্রী, যাঁরা আমাদের বোন,যাঁরা আমাদের মেয়ে, যাঁর পদবি ছিলো বিবি হাওয়া সমস্ত মানবের মা- যাঁর পদবি ছিলো বেহেস্তের সর্দারনী মা ফাতেমা, নারীর গর্ভে ধারণ করেছেন অনেক নবী আবার অনেকেরই উম্মত, যখন তোমাদের নিয়ে আমরা খেলা করি, মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তোমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করি ও বিশ্বাস ঘাতকতা করি তোমাদের দেহো নিয়ে? তখন কি আমাদের পুরুষদের মনে হয় না আমি এমন একজনের সাথে এই কাজ করতেছি! যে কিনা নবীদের মা, সমস্ত জাহানে আসা মানবের মা, সে মায়ের জাতি।
আমরা একজন মায়ের জাতি মেয়ের ইজ্জত ও সম্মান নষ্ট করে কি করে আশাকরি সতীসাদ্ধী নারী জীবন সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার?
কি করে আশাকরি অন্যের জীবন নষ্ট করে নিজে সুখি হওয়ার?
কি করে আশাকরি সামান্য উপভোগের জন্য একটা মেয়েকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করে তাঁর জীবনে অন্ধকার ঘনিয়ে নিজে সুখি হওয়ার?
কি করে আশাকরি অন্যের মা- বোন, স্ত্রী, মেয়ের সাথে এরকম টা করে নিজের মা-বোন, স্ত্রী, মেয়েকে ভালো রাখার?
আমরা সবাই নিজের মন-কে কন্ট্রল করে, আমাদের মনের আবেগের বাসনা কামনা ও মৌহ্ থেকে নিজের মন-কে নির্লিপ্ত করি, নির্লিপ্ত করি অশুভ সব চিন্তা ও কুসংস্কারকে।
যদি আমরা আমাদের কর্ম ভালো রাখতে পারি এবং নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখাতে পারি, তবে আমরা এর ভালো ফল এবং অন্যেরা আমাদের পরিবার পরিজনের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখাবে।
তাই আসুন আমরা নারীদের সম্মান করি এবং নিজের পরিবার পরিজনকে অন্যের অশুভ চাওয়া থেকে রক্ষা করি, নিজের ভালো কর্মের ধরুন অন্যের প্রভাব থেকে।
নোটঃ- লেখাটি যদি কারোর জীবনের গল্পের সাথে মিলে যায় তবে আমি দুঃখিত। লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত প্রকাশ করবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।