Tue, Dec 3, 2024

Have a Nice Day

0 comments 0 views
🕗: 13 minutes

জীবন যুদ্ধে দিহান (ছদ্মনাম) ছিল একটি ছেলে! যে কখনো কারোর মন্দ এবং কারোর ক্ষতি করার মতো ছেলে ছিল না। এবং দিহানের মন মানসিকতা সব সময় একটা সুন্দর সমাজ ও সুন্দর প্রকৃতি গঠনে কাজ করতো! সে তাঁর শিক্ষা থেকে সুশিক্ষা রিসার্চ করে অর্জন করার চেষ্টা করে! যাতে তাঁর দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি না হয় সে দিকে সে খেয়াল করে চলতো। এবং দিহানের কর্মের দ্বারা যাতে সমাজ, রাষ্ট্র, ও ধর্ম প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে দিকে দিহানের খেয়াল থাকতো অন্যতম।

 

কারণ আজ কাল মানুষের ভুল গুলো ধরার মতো মানুষের সংখ্যা খুবই কম! সবাই মানুষের ভুল গুলো দেখলে তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা এবং তাঁর কর্ম সমাজ, রাষ্ট্র এবং ধর্ম দিয়েই বিচার করতে শুরু করে। সেটা মোটেই কাম্য নয়।

 

সম্মানিত ব্যক্তির সম্মান নেই! মেধাহীন ব্যক্তির অধীনে আজ মেধাবীরা কাজ করছে। শিক্ষার মর্যাদা বাস্তবে থাকলেও সুশিক্ষিত ব্যক্তির মর্যাদা বাস্তবে নেই, এটাই চলছে আজ সমাজে। যখন সমাজ এবং রাষ্ট্র থেকে শিক্ষিত ও মেধাবীদের মূল্য করা হয় না এবং ক্ষমতা ও ক্ষমতাহীনদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি এবং সবলদের নির্যাতন হয় দূর্বলদের উপর। আর রাষ্ট্র বিচারের বিলম্বে যখন অপরাধ সৃষ্টি করে সেখানেই কিবা বলার থাকে।

 

দিহান ছিলো শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতিতদের মধ্যে একজন। সে যখন একবুক ব্যথা নিয়ে নিজ দেশ ত্যাগ করে শরণার্থী জীবন বেঁচে নিলো! জীবন যুদ্ধে অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল দিহানের! কখনো নিজ দেশের মানুষের মাধ্যমে কখনো ভিন্ন দেশের মানুষের হিংস্র মানসিকতার মাধ্যমে। কিন্ত কখনো দিহান হাল ছাড়েনি। কিন্তু দিহান নিজেকে যখনি জীবন যুদ্ধে পরাজিত ভেবে মন ভেঙ্গে থাকতো। তখনি দিহান পৃথিবীর পরাজিত থেকে সফল হওয়া বড় বড় মনিষিদের জীবনের গল্প পড়তে থাকতো এবং তা থেকে মনিষিদের ব্যর্থতা থেকে সফল হওয়ার গল্প পড়ে দিহান সে নিজেই নিজের মধ্যে অনুপ্রেরণা সন্চয় করার চেষ্টা করতো।

 

কারণ দিহান জানতো এই পৃথিবীতে সবাই সফল মানুষের গল্প পড়ে, কেউ ব্যর্থ মানুষদের অনুপ্রাণিত করতে আসে না, জীবন যুদ্ধে সফল করার জন্য।

 

তাই দিহান সে নিজের ব্যর্থতাতে নিজের মধ্যে অনুপ্রেরণা দিতো কখনো বই পড়ে, কখনো ব্যর্থ মানুষদের সফলতার গল্প পড়ে এবং কখনো তাঁর থেকে আরো জীবন যুদ্ধে পরাজিত মানুষদের অসহায়ত্ব দেখে, আমি সেই অসহায় মানুষ থেকে ভালো আছি এই ভেবে দিহান নিজেকে সান্তনা দিয়ে বেঁচে থাকার পথ খোঁজে বের করতো। দিহান যেহেতু বই পড়তে এবং লেখালেখি করতে ভালোবাসে তাই সে সেই ভাবে নিজেকে নিজের মধ্যে অনুপ্রেরণা দিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন খুজে পেত। দিহান নিজের বাক-স্বাধীনতা ও সত্য তুলে ধরতো লেখার মধ্যে দিয়ে। দিহান সে কখনো স্বাধীনতাহীন ও পরাধীনতার শিকলে বন্দি হয়ে জীবনে বাচঁতে চায় না। দিহান সে চায় মুক্ত স্বাধীনতা এবং বৈষম্য হীন জীবন, যাতে মানুষের পৃথিবীতে মানুষ তাঁদের অধিকার ভোগ করতে পারে এবং স্বাধীন ভাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে! সুন্দর-অসুন্দর, ধনী-গরীব, ক্ষমতা-ক্ষমতাহীন এবং পরিশেষে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে মানুষের পরিচয় যেনো একটাই হয়! আর সেটা হলো তাঁর পরিচয় মানুষ।

 

দিহান যখন জীবন যুদ্ধে পাড়ি দিয়ে গ্রিসে আসলো। এবং সেখানে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বসবাস শুরু করলো।

 

গ্রিসে আসার কয়েক মাস পর দিহান গ্রিস সরকার কর্তৃক একটি থাকার আবাসস্থলে বসবাসের অনুমতি পেল।

 

দিহান সেখানে গেলো। এবং সেই থাকার আবাসস্থল ছিলো গ্রিসের এথ্যানসের মধ্যে। সেখানে প্রথম দিন দিহান যাওয়ার পর! সেখানে সামাজিক কর্মী, আইনজীবী সহ আবাসস্থলে থাকা সকল কর্মীদের সাথে দিহানের  প্রথম দিন পরিচয় হলো। এবং সেখানে আবাসস্থলে থাকার নিয়ম গুলো সামাজিক কর্মী বললেন। দিহান আবাসস্থলে থাকার নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করতে থাকলো।

 

দিহান যেহেতু প্রথম সেখানে তাই সবার সাথে সামাজিক কর্মী এবং আবাসস্থলে থাকা সকল স্টাপদের সাথে ভালো ভাবে মিশতে থাকলো। দিহান  যেহেতু কখনো এই ভাবে গ্রিক সরকার কর্তৃক সাহায্য পাবে ভাবেনি তাই তাঁদের সাহায্য ও আন্তরিকতা পেয়ে সে খুব খুশি এবং তাঁর জীবন যুদ্ধে ভালোভাবে জীবন উপলব্ধি করতে লাগলো। এবং এথ্যান্সের একটি স্কুলে দিহানের সামাজিক কর্মী সোফিয়া (নাম সোফিয়া) সে তাঁকে ভর্তি করে দিলেন স্কুলে। এবং দিহান সে স্কুলে গিয়ে গ্রিসের ভাষা ও লেখা শিখতে লাগলো।

 

এক সময় যখন দিহান বুঝতে পারলো এখানকার সামাজিক কর্মী, মনোবিজ্ঞানী এবং আবাসস্থলে থাকা কর্মী গুলো তারা হয়তো আমাদের ভালো ভাবে মেনে নিতে পারছে না, তারা শুধু আমাদের সঙ্গে বাহ্যিক হাসিমুখে কথা বলছে, এবং আমাদের জন্য কাজ করছে, তাঁদের চাকুরি এবং অর্থের জন্য।

 

সামাজিক কর্মী, মনোবিজ্ঞানী, এবং আবাসস্থলে থাকা সকল কর্মী গুলো যে গুলো কাজ করছে আমাদের জন্য সেটা তাঁদের বাহ্যিক দৃশ্য থেকে মন থেকে নয়। তাই এটা দিহান উপলব্ধি করার পর ধীরে ধীরে তাঁদের থেকে দূরত্ব সৃষ্টি হতে লাগলো। দিহানের মনে একটি প্রশ্ন জেগে উঠলো? যেখানে বৈষম্যহীন থাকার কথা-সেখানেই হতে হচ্ছে বৈষম্যেরস্বীকার? যেখানে মানবতা শিক্ষা নেওয়ার কথা-সেখানেই নিজ চোখে দেখতে হচ্ছে মানবতা ভূলুণ্ঠিত। কারণ দিহান ছিলো গ্রিসে শরণার্থী! দিহান ছিলো অন্য ধর্মের, জাতের এবং দেখতে তাঁদের মতো সাদা/সুন্দর নয়। হয়তো তাঁর জন্য দিহান সহ অন্যদেরও হতে হচ্ছে বৈষম্যের স্বীকার।

 

দিহান খুব সহজে মানুষের সাথে কথা বলে বুঝতে পারতো এই মানুষটি কেমন এবং তাঁর চিন্তা ভাবনা কেমন। যেহেতু মানুষকে ওজন করে বলা যায় না সে কেমন। মানুষের সাথে কথা বলে এবং তাঁর আচরণ ও অঙ্গভগ্ঘিতে বুঝার চেষ্টা করতে হয় সে কেমন। তারপরেও মানুষ চেনা বড়ই কঠিন।

 

দিহান সে মানুষের বাহ্যিক হাসি ও বাহ্যিক সুন্দর কথা বলার আড়ালে এই মানুষটির অন্তর থেকে এই হাসি এবং এই কথা আসতেছে কি? আর না শুধু মুখের বাহ্যিক হাসি আর সুন্দর কথাগুলো আসতেছে যা আমাকে ভালো রাখার জন্য সেটা দিহান বিবেচনা ও ফ্লো করতে শুরু করতো তাঁদের সঙ্গে কথা বলার মধ্যে দিয়ে। এটাই ছিলো দিহানের একটি গুণ। যা দিহান জীবন যুদ্ধ থেকে শিখে নিয়েছিলো এই গুণটা।

 

দিহানের জীবন যুদ্ধে ব্যর্থতা ও কষ্টে বলতে কোনো শব্দ নেই যা আছে তা সবই শিক্ষা।

 

কারণ দিহান একসময় বুঝতে পেরেছিল, সুন্দর হাসি আর কথা বলা সুন্দর হলেও সব মানুষের অন্তর কিন্ত সুন্দর হয় না। তাই দিহান সেই সময় থেকে মানুষের বাহ্যিক মুখের হাসি ও কথা বলার আড়ালে দিহান তাঁর অন্তর দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁদের অন্তর উপলদ্ধি করতে থাকতো।

 

দিহান গ্রিসের আবাসস্থলে থাকা সামাজিক কর্মী, মনোবিজ্ঞানী, এবং আবাসস্থলে থাকা কর্মীদের মধ্যে বৈষম্য দেখতে পেয়ে তাঁদের থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করলো। এবং এই বৈষম্য দিহানকে কষ্ট দিতো। কিন্ত দিহান সেটা বলতে চাইলেও বলা হয়নি! কারণ দিহান ছিলো একজন অভিবাসী।

 

দিহান এই আবাসস্থলে থাকার কয়েক মাস পর নতুন একজন মেয়ে আসলো এখানে কাজ করতে। নাম ছিলো তাঁর আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη)।

 

দিহান আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) প্রথমে দেখলো এবং কিছু ভাবলো না। কিন্ত যখন আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) সে দিহানের মতো আরো অভিবাসীদের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলতেছে এবং তাঁর হাসি এবং কথা গুলো তাঁর মন থেকে মুক্তভাবে আসতেছে। তখন দিহান ভাবলো আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) এই মেয়েটি আরো অন্যান্য এখানের বাসস্থনে থাকা কর্মী, সামাজিক কর্মী ও মনোবিজ্ঞানী থেকে অনেক আলাদা। যেহেতু দিহান একটু লাজুক ছিলো তাই সে যে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে লজ্জাবোধ করতো। তাই দিহান আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) সাথে নিজ থেকে কথা বলতো না। আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) যেহেতু এখানকার বাসস্থানের নতুন কর্মী তাই সে সবার সাথে হাসি খুশি মন খুলে কথা বলতো সেটা দিহানের কাছে ভালো লাগতো। আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) দিহানের সাথেও হাসি খুশি কথা বলতো। এই ভাবে দিহান আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) কথাবার্তায় এবং তাঁর হাসি গুলো দেখে যখন বুঝতে পারলো আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) সে তাঁর মন থেকে কথা গুলো বলে এবং আমাদের সাথে হাসে তখন দিহান আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) বিশ্বাস করলো জীবনের কঠিন মুহূর্তে থেকেও।

 

সপ্তাহে শনিবার আর রবিবার। এই দু দিন আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) দিহানের থাকার বাসস্থানে কাজ করতো! কারণ আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) গ্রিসের এথ্যানসের একটি ভার্সিটিতে পড়াশোনা করে তাঁর জন্য। ভার্সিটি বন্ধের দিন আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) দিহানের থাকার বাসস্থানে চাকুরি করতো।

 

সপ্তাহে দু দিন যখন আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) সাথে দিহানের কথা হতো। কখনো খাওয়ার রুমে আবার কখনো Sitting রুমে। যখন আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) সকালে কাজে আসতো তখন আরো অন্যান্য বিল্ডিংয়ে থাকা বাসস্থানে অভিবাসীদের সকালে রুমে গিয়ে তাঁদের দেখতো। এবং সঙ্গে দিহানের রুমে গিয়েও আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) তাঁকে দেখতো। এবং দিহানকে প্রায় সময় সকালকে আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) বলতো তুমি ফ্রেশ হয়ে Sitting রুমে নীচে আসিও আমরা গল্প করবো। কারণ দিহান তিন তলাতে থাকতো তাঁর জন্য আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) নিচে আসার কথা বলতো।

 

এই ভাবে দিহান আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) ভালো ও বিশ্বাস করতে শুরু করলো। মাঝে মধ্যে আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) দিহানকে জিজ্ঞেস করতো তোমার কেমন লাগে এখানে থাকতে? তখন দিহান উত্তর দিতো এখানে ভালো লাগে না থাকতে।

 

আগেলিকিঃ (Αγγελική Χατζημανώλη) কিন্ত কেনো?

দিহানঃ জানি না কেনো! তবে আমি এখান থেকে চলে যাবো অন্য কোনো দেশে।

আগেলিকিঃ (Αγγελική Χατζημανώλη) কোন দেশে যাবে তুমি?

দিহান জানি না কোন দেশে যাবো তবে এখান থেকে চলে যাবো।

আগেলিকিঃ (Αγγελική Χατζημανώλη) যেখানে যাও তোমার Instagram থাকলে আমাদের যোগাযোগ হবে?

দিহানঃ আচ্ছা! আমার Instagram আছে একদিন দিবো আপনাকে।

আগেলিকিঃ (Αγγελική Χατζημανώλη) যখন তুমি এখান থেকে চলে যাবে তখন কথা হবে! কারণ এখানকার বাসস্থানে সামাজিক কর্মী ও এখানকার বসের কিছু নিয়ম আছে তাঁর জন্য।

দিহানঃ আচ্ছা! সমস্যা নেই।

 

মাঝে মধ্যে আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) বলতো আমরা একদিন বাহিরে যাবো ঘুরবো কফি খাবো। কিন্ত দিহান সেটা শুনতো কখনো দিহান সেটা চাইতো না। আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) সাথে বাহিরে যাবে আর কফি খাবে। দিহান তাঁর ক্যাটাগরি মাথায় রেখেই চলতো কারণ দিহান ভাবতো আমি একজন অভিবাসী হয়ে কিভাবে গ্রিক মেয়ের সাথে বাহিরে যাবো ঘুরবো এবং কফি খাওয়ার কথা চিন্তা করি। সে কখনো এই কথা চিন্তা করতো না।

 

এই ভাবে আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) ও দিহানের মধ্যে কথোপকথন চলে যখন আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) কাজে আসে শনিবার আর রবিবারে সপ্তাহে দু দিন। এই দুদিন তাঁদের মধ্যে শুধু কথা হতো। এই ভাবে দিহান আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) আন্তরিকতা ও দেখাশোনা এবং কথাবার্তা শুনে আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) বিশ্বাস করতে শুরু করলো।

 

একদিন দিহান তাঁর Instagram একাউন্ট ইউজার নেম একটি পাতায় লিখে ভাবছিলো আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) দেবে। কিন্ত সেই দিন এসে দেখে আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) কাজ থেকে চলে গেছে। আবার এক সপ্তাহ পরে সে কাজে আসবে।

দিহান এই সপ্তাহ আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) জন্য এই Instagram একাউন্টের ইউজার নেম লিখে অপেক্ষা করতে লাগলো। আর দিহান ভাবলো যে কোনো সময় আমি এই দেশ থেকে চলে যাবো! কিন্তু যদি সঠিক সময় আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) এখানে না পাই তাহলে তো সে তো আর আমাকে পাবে না। তাঁর জন্য দিহান তাঁর Instagram একাউন্টের ইউজার নেম লিখে তাঁকে আগে দেওয়ার চেষ্টা করে।

আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) এক সপ্তাহ পর আবার আসলো কাজে! সকালে আগের মতো আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) দিহানের রুমে গিলো এবং দিহানকে বললো! আমি নীচে আছি যদি তুমি চাও তাহলে আসতে পারো! আমরা কথা বলবো। দিহান কিছু সময় পর নিচে গেলো এবং তারা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে লাগলো। এক সময় দিহানের কথা উঠলো।

আগেলিকিঃ (Αγγελική Χατζημανώλη) তুমি কেমন আছো?

দিহান আমি ভালো আছি! আর তুমি?

আগেলিকিঃ (Αγγελική Χατζημανώλη) তুমি কখন যাবে এই দেশ থেকে অন্য দেশে?

দিহানঃ মনে মনে ভাবলো! যেহেতু আমি আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) বিশ্বাস করি তাই তাঁকে সব সত্যি বলে দেই। তাই দিহান আগেলিকিকে বললো (Αγγελική Χατζημανώλη) সব সত্য বললো দিহান কিভাবে এই দেশ থেকে অন্য দেশে যাবে। এবং দিহান ইতিমধ্যে কয়েক বার যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্ত দিহান যেতে পারেনি।

দিহান মন খুলে জীবন যুদ্ধে কঠিন পরিস্থিতিতে থেকেও নির্দ্বিধায় আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) বিশ্বাস করে সত্যটা বলেছিলো। দিহানের এই সত্যটা বলার ধরুন তাঁর অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে সেটা জেনেও দিহান আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη)সত্যটা বলেছিলো।

 

কারণ দিহান জানে প্রতোকটা মানুষকে বিশ্বাস করা তাঁর মৌলিক অধিকার। যতক্ষণ না সে মানুষটি তোমার বিশ্বাস ভঙ্গ না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে মানুষটি তোমার বিশ্বাসের যোগ্যতা ও অধিকার রয়েছে।

মনে রেখো সবাই সবাইকে বিশ্বাস করতে পারে না! এবং সবাই সবার বিশ্বাসের যোগ্য হতে পারে না।

 

তাই বিশ্বাসের মর্যাদা জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করার চেষ্টা করুন।

এবং দিহানের এক সপ্তাহ আগের লেখা Instagram একাউন্টের ইউজার নেম এই লেখাটি আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) হাতে দিয়েছিলো। আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) হঠাৎ দিহানের Instagram একাউন্টের ইউজার নেম এই লেখাটি দেখে বিস্মিত হলো। সেটাই ভেবেছিল দিহান। এবং দিহানের কাছে সেটা খারাপ লেগে ছিলো। যে আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) সব সময় সবার সাথে হাসি খুশি কথা বলে সে আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) বিস্মিত হলো! সেটাই প্রশ্ন ছিলো আমার মনে?

যখন দিহান আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) তাঁর Instagram একাউন্টের ইউজার নেম দেয়! তখন দিহান বলেছিল আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη),! আমি কখনো তোমাকে আগে মেসেজ করবো না ইন্সটাগ্রামে! কারণ আমি এই ধরণের ছেলে না। আর আমি কাউকে মেসেজ করে বিরক্ত করা ভালো পাই না, যেহেতু আমি ভালো খারাপ বোঝার ক্ষমতা রাখি তাঁর জন্য। তারপর আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) বলেছে ভালো ছেলে তুমি।

যাই হোক আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) না চাইতে চেয়েও দিহানের Instagram একাউন্টের ইউজার নেম তাঁর মোবাইলে তুলে দিহানকে ফ্লো করলো। দিহান ফ্লো Accept করলো। যেহেতু দিহান বুঝেছিলো আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) মনের অবস্থা তাঁর জন্য দিহান দু দিন পর আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) ফ্লো দিহানের Instagram ফ্লোয়ার থেকে ডিলিট করে দেয়। তারপর দিহান ভাবলো আমি আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) আমার Instagram একাউন্ট থেকে ডিলিট করায় যদি আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) কিছু মনে করে তাঁর জন্য দিহান আবার আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) তাঁর Instagram একাউন্টে রিকোয়েস্ট পাঠায়, এবং আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) সেটা Accept করে।

এক সপ্তাহ পর আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) আবার কাজে আসলো তখন দিহানের সাথে কথা

হলো।

আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) দিহানকে বললো? তোমার ইন্সটাগ্রামে যদি এখানকার বাসস্থানের কোনো কর্মী ফ্রেন্ড থাকে আর তারা যদি চিনে আমাকে তাহলে আমার সমস্যা হবে। দিহান যেহেতু আগেই বলেছিলো এখানের বাসস্থানের কোনো কর্মী তাঁর ইন্সটাগ্রামে জয়েন নেই। শুধু দুজন দিহানের সাবেক শিক্ষক ছিলো তারা বর্তমানে ইটালিতে আছে, আর এছাড়া কেউ নেই তাঁর ইন্সটাগ্রামে জয়েন। সেক্ষেত্রে আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) আবার একই কথা বলাটা ছিলো একটা কারণ! দিহানের থেকে Instagram থেকে Unfollower হওয়ার।

দিহান বললো কোনো সমস্যা না। যেহেতু দিহান সেটা আগেই বুঝে ছিলো। আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) বললো যখন তুমি এখান থেকে অন্যদেশে চলে যাবে তখন আমরা কথা বলবো। দিহান তাও বললো কোনো সমস্যা না।

কারণ দিহান জানে সে নিজেকে কেমন।

দিহান একজন অভিবাসী হয়েছিলো পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে।

অনেক ধৈর্য্য ও নম্রতার ধরুন দিহান বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের সাথে বসবাস করতো একি বাসস্থানে, অনেকের প্রতিহিংসা ও খারাপ আচরণের স্বীকার হলেও দিহান কখনো প্রতিবাদ করতো না তাঁদের সাথে। কারণ দিহান চায়না প্রতিবাদ করার ধরুন সেই সব অভিবাসীদের হিংস্রতার স্বীকার সে হোক তাঁর জন্য সে সব কিছু সহ্য করে নিজের মতো সেখানে বসবাস করতে থাকতো।

একদিন দিহানের করোনা পজিটিভ ছিলো এবং সঙ্গে মরক্কোর একটা ছেলের ও করোনা পজেটিভ ছিলো।

মরক্কোর ছেলে সহ দিহান সাত দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলো, সাত দিনের মধ্যে তিন থেকে চারবার দিহানের সামাজিক কর্মী সোফিয়া তাঁদের সঙ্গে রুমের দরজার সামন থেকে এসে তাঁদের জিজ্ঞেস করতেন। (Τι κάνεις κορώνες) এর বাংলা অর্থ “কি করো তোমরা করোনা”। আমাদের করোনা পজেটিভ হওয়ার সাথে সাথে আমাদের নিজেদের নামটাও পরিবর্তন হয়ে করোনা নাম ছিলো। তিনি হয়তো আমাদের সঙ্গে মজা করে জিজ্ঞেস করতেন এইভাবে! কিন্ত তখন করোনা পজিটিভ হয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় এই ব্যবহার একজন সমাজকর্মী থেকে আশা করেনি দিহান।

এতে মানবতা ও সমাজকর্মীর নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে মনে?

যে সমাজকর্মী সোফিয়া দোভাষীর মাধ্যমে দিহানের সঙ্গে কথা বলে ছিলেন! এবং সেই দিন দিহান সেই দোভাষীর মাধ্যমে কথা বলতে একটু অন্যরকম অনুভব করেছিলো!

তখন সমাজকর্মী সোফিয়া বুঝেছিল! দিহান সেই দোভাষীর মাধ্যমে কথা বলতে সাচ্ছন্দবোধ করছে না! তখন দোভাষী আর দিহানের মিটিং শেষে সমাজকর্মী সোফিয়া দিহানকে বলেলেন! আমরা পরবর্তী মিটিংয়ে অন্য দোভাষীর মাধ্যমে তোমার সাথে কথা বলবো। তখন খুব ভালো লেগেছিল আমার সমাজকর্মী সোফিয়া আমার মনের অনুভূতি বোঝার জন্য। কিন্ত দিহান করোনা পজিটিভ থাকাকালীন সময়ে তাঁর সমাজকর্মীর কথা গুলো দিহানকে আঘাত করেছিলো। যখন দিহানের কোয়ারেন্টাইন সাত দিন শেষ হয়ে বাহির হলো। তখন দিহান শুনতে পেল তাঁর সমাজকর্মী সোফিয়ার করোনা পজেটিভ! সে কোয়ারেন্টাইনে আছে এখন। তখন দিহানের শুনে খারাপ লেগেছিলো! সব কিছুর শেষে তাঁর সমাজকর্মীর অনেক কিছু ভালো গুণ রয়েছে। আর দিহান ভাবলো তাঁর মনে কি সত্যি কষ্ট লেগেছিলো? যাঁর ধরুন আমার কোয়ারেন্টাইন শেষ হতে না হতে আমার সমাজকর্মীর ও করোনা পজেটিভ হলো। যাই হোক পরিশেষে তাঁর সমাজকর্মীর সুস্থতার জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করলো।

সোফিয়ার “করোনা পজিটিভ” থাকাকালীন সময়ে দিহান তাঁর সমাজকর্মী সোফিয়ার সাথে ফোনে আলাপ করলো। দিহান তাঁর সমাজকর্মীর শরীরের খোঁজ খবর নিলো। এবং দিহান তাঁর সমাজ কর্মীকে মজা করে বললো! (Τι κάνεις κορώνες) “কি করো তুমি করোনা” এই কথা শুনে সোফিয়া হেসে বললো! আমি আগে মজা করে বলেছিলাম তোমাকে এই কথা। যাই হোক দিহানের সমাজ কর্মী সোফিয়া দিহানের কথা শুনে কিছু বুঝতে পেরেছিলো।

সেই সময় আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) কাজের দিন চলে আসলো। আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) এসে যখন শুনতে পেল আমার করোনা পজেটিভ। তখন সে আমাকে এবং মরক্কোর এই ছেলেকে দেখতে আসে! এবং সে খারাপ অনুভব করেছিলো আমাদের জন্য। কারণ আমাদের করোনা পজেটিভ! যদিও আমরা সুস্থ আছি।

আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) বলেছে সেই সময় রুমের দরজার সামন থেকে! দিহান আমি আসতে চাই তোমাদের কাছে। কিন্ত আসতে পারতেছিনা তোমরা অসুস্থ। যখন সুস্থ হয়ে বাহিরে আসবে তখন আমরা কথা বলবো আর কফি খাবো।

দিহান যেহেতু “করোনা ভাইরাসে” আক্রান্ত যদিও সে সুস্থবোধ করছে তারপরে সে চায়নি কোনো বাসস্থানের কর্মী তাঁদের কাছে আসুক। কারণ ভাইরাস যেহেতু দেখা যায় না, আর সবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমান হয় না, তাই দিহান সবার থেকে একাকি থাকা পছন্দ করতো। যদিও সেখানের বাসস্থানে থাকা কর্মী গুলো দিহানের রুমে খাবার ও প্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়ে সাহায্য করতো।

কেউ ইচ্ছা করে অসুস্থ হতে চায় না। অসুস্থতা সৃষ্টিকর্তার একটা নিয়ামত। তাই দিহান সুস্থতায়-অসুস্থতায়, কষ্টে এবং সুখে ধৈর্য্য ধরে থাকতো! এবং ইশ্বরের কাছে প্রার্থনার মাধ্যমে তাঁর জীবনে শান্তি চাইতো।

যেহেতু দিহান বুঝতে পেরেছিলো। কষ্ট আর সুখ সবার জীবনে দীর্ঘস্থায়ী থাকে না। তাই সে কষ্টের মুহূর্তে ধৈর্য্য ধারণ করে সুখের জন্য ইশ্বরের নিকট প্রার্থনা ও চেষ্টা করতো।

দিহানের কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার পর আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) আসলো আবার তাঁর কাজের ডিউটির দিনে। দিহান আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) বললো। আমাকে কম্পিউটারের কিবোর্ড আর কম্পিউটারের ওয়াইফাই কেবল দিতে পারবেন। আমি একটু সেটিকে কাজ করবো। যেহেতু বাসস্থানে থাকা সকল অভিবাসীদের মন-মানসিকতা সমান হয় না। তাই বাসস্থানে থাকা কর্মী গুলো সব গুলো তাঁদের দায়িত্বে রাখে। যখন যাঁর দরকার হয় তাঁদের থেকে চেয়ে নেয়। দিহান ও চাইলো। আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) সে বললো অবশ্যই আমি দিতেছি এই গুলো।

আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) কম্পিউটারের কিবোর্ড ও ওয়াইফাই কেবল দিহানকে দেওয়ার পর দিহান কম্পিউটারে কাজ করতে থাকলো।

যেহেতু দিহান খুব ভালো লেখে এবং তাঁর অনেক লেখা গুগলে আছে সেটা শুধু আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) জানে।

একটুপর আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) আসলো কম্পিউটার রুমে। দিহানকে বললো আমি তোমার সাথে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করতে চাই। তুমি কি আমাকে অনুমতি দেবে? দিহান যেহেতু একটু লাজুক ছিলো। সে বললো আচ্ছা অনুমতি দিলাম।

আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) দিহানকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করলো। যেহেতু দিহান কোনো সময়ও মন থেকে এবং বাসস্থানে থাকা কোনো মেয়ে কর্মী কারোর শরীরে স্পর্শ ও আলিঙ্গন করতে চাইতো না।

তবে আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) সাথে সে কথা বলতো এবং তাঁকে সবচেয়ে বেশী বিশ্বাস করতো। এবং দিহান আগেলিকিকে (Αγγελική Χατζημανώλη) একদিন বলেছিলো! যদি তুমি আমার বিশ্বাস কখনো ভঙ্গ করো তাহলে আমি আর কখনো কোনো ইউরোপিয়ান মেয়েদের চলার পথে বিশ্বাস করবো না! এর জন্য দায়ী তুমি থাকবে। সে বললো তুমি বিশ্বাস করো কখনো কাউকে কিছু বলবো না তোমার বিশ্বাস সম্পর্কে।

আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) দিহানকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করার পর। তারপাশের চেয়ারে আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) বসবে এবং সেটারও অনুমতি চায় দিহানের থেকে। দিহান বললো অবশ্যই বসেন আপনি।

আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) যেহেতু দেখলো সে তাঁর ব্লগে আছে। তখন সে দিহানকে বললো আমি তোমার আর্টিকেল একটা পড়বো। দিহান বললো আচ্ছা।

দিহানের ব্লগে কম্পিউটারে আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) আর্টিকেল লেখা একটা পড়লো। এবং দিহানকে বললো আমার জন্য তুমি কি লেখেছ? দিহান বললো কিছু লেখিনি।

দিহান বললো আচ্ছা একদিন লেখবো তোমার সম্পর্কে।

যেহেতু দিহান কখনো নিজের পার্সোনাল ও লাইফস্টাইল নিয়ে লেখালেখি পছন্দ করতো না। কিন্ত আগেলিকির (Αγγελική Χατζημανώλη) কথায় তাঁর জন্য একটি লেখা লিখলো।

দিহান লিখলো আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) সম্পর্কে আমি জানি তুমি এখানকার সবার থেকে একদম আলাদা। তোমার শিক্ষার মধ্যে সুশিক্ষা আমি দেখতে পেয়েছি। দেখতে পেয়েছি নৈতিকতা এবং মানুষের প্রতি সমান সম্মান ও মর্যাদার চিন্তা। তুমি পড়াশোনা করতেছ তুমি তোমার জীবনে অনেক বড় হও। কিন্ত কখনো এই মানুষের পৃথিবীতে মানুষেকে নিয়ে নিজের মধ্যে এবং সমাজের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি না করো।

মানুষ কখনো এই পৃথিবীরতে ক্ষুধার অভাবে মারা যায় না। মানুষ এই পৃথিবীতে মারা যায় দুশ্চিন্তা, বৈষম্যেরস্বীকার ও মানুষের অধিকার থেকে মানুষ যখন বঞ্চিত হয় তখন সে টেনশনে মারা যায়।

তাই এমন কোনো কাজ করো না আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη) যাঁর জন্য তুমি মানুষের কষ্টের কারণ হও। মানুষ গুলো যদি কষ্ট পেয়ে Uh শব্দটা বলে সেটাও তোমার জীবনকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। মসজিদ, মন্দির, গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করা লাগবে না। এই Uh শব্দটা তোমাকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। কারণ সৃষ্টিকর্তা সব কিছু দেখেন এবং তিনি সব কিছু জানেন।

কেনো আমরা মানুষকে নিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করি এই পৃথিবীতে? তুমি কি দেখতে পাওনি! তোমার পূর্ববর্তী পুরুষ তারা সবাই মারা গেছে। এবং বর্তমানে যাঁরা এই পৃথিবীতে আছে ক্ষমতাবান ও ক্ষমতাহীন সুন্দর-অসুন্দর তাঁরা সবাই মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে।

কেউ কখনো মানুষের পৃথিবীতে দীর্ঘস্থায়ী জীবন নিয়ে যায়নি। সবাই খালি হাতে জন্ম নিয়ে আবার সবাই খালি হাতে মৃত্যুবরণ করছে। তা কি দেখনি?

পরিশেষে আমি একজন অভিবাসী। বর্তমানে এটাই আমার পরিচয়।

আমি চাই না আমাদের প্রতি তোমার আন্তরিকতা ও মমত্ববোধে যাঁদের প্রতি আমাদের নিয়ে বৈষম্য আছে তাঁদের কাছে তুমি খারাপ হও। এবং এখান থেকে তোমার চাকুরি চলে যাক সেটা আমি চাই না।

তাই আমি তোমার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি এবং যতদিন আছি ততদিন পর্যন্ত তোমার থেকে দূরত্ব রাখার চেষ্টা করবো।

তোমার পরিবার ভালো- তাই তুমি ভালো শিক্ষা অর্জন করতে পেরেছ। পরিশেষে দোষ গুণ মিলেই মানুষের জীবন।

আমি তোমার সুন্দর ও সৎ ভবিষ্যত কামনা করছি।

এবং সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করি পরবর্তী জীবনে যদি আমার কখনো জন্য হয়! তখন যেনো একটা সুন্দর পৃথিবীতে আমার জন্য হয়। যেখানে থাকবে না ক্ষমতাবান ও ক্ষমতাহীনদের মধ্যে নির্যাতন! থাকবে না সুন্দর-অসুন্দর ও মানুষের মধ্যে বৈষম্য। এই পৃথিবীতে আমার জন্ম হোক্।

কারণ জীবন যুদ্ধে দিহানের কষ্ট থেকে এই কথা বাহির হয়েছিল। দিহান পৃথিবীর মানুষের বাহ্যিক মুখের অভিনয় ও সবলদের-দূর্বলদের প্রতি অত্যাচার দেখে এই সে কথা বলেছিলো। সে চায় বৈষম্যহীন মানুষের পৃথিবীতে তাঁর জন্য।

পরিশেষে আমি একজন ছেলে। আমি মানুষ। আমার মধ্যে জ্ঞানের ও নৈতিকতার আলো আছে আর তা কখনো আমার কর্মের দ্বারা নিহত করতে চাই না। আমি আমার কর্মের দ্বারা নিজেকে এবং সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টা করাই আমার মানবতা এবং আমার কর্ম।

আমি আমার অতীত ভুলে সুন্দরভাবে আমার অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবো।

আমি তোমার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে তোমার থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করতেছি।

কারণ আমি অভিবাসী।

আমার প্রতি তোমার স্নেহ ও ভালোবাসার যোগ্যতা থাকলেও। আমি অভিবাসী হওয়ার ধরুন তোমার থেকে সেই স্নেহ ও ভালোবাসার যোগ্যতা আমি রাখতে পারি না।

বিশ্বাস করো আমার হৃদয় কখনো খারাপ না। আর আমি অভিবাসী হয়ে যতই বৈষম্য ও নির্যাতনের  স্বীকার হইনা কেনো সেটা হবে আমার বেঁচে থাকার শক্তি ও অনুপ্রেরণা।

পরিশেষে তোমার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে আমি তোমার সম্পর্কে কিছু লিখলাম। এই লেখাটি জানি না তুমি কখনো পড়বে কিনা। যদি কখনো পড়ো তবে কখনো আমার লেখার ধরুন কষ্ট পেয়ে না।

জানি না তুমি আমাকে কতটুকু বিশ্বাস করো। কিন্ত আমি তোমাকেই পুরোটাই বিশ্বাস করেছি। এই বিশ্বাস তোমার প্রতি আমার আমানত।

অন্তর থেকে মানুষের সাথে কথা বলা ও  ভালোবাসাই হোক্ আমাদের জীবনের লক্ষ্য।

গল্প টা এখানেই শেষ।

ভালো থেকো তুমি।

ভালো থাকুক তোমার মন! আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη)।

যদি আমার লেখার ধরুন তুমি কখনো কষ্ট পাও আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। কারণ আমি কলম দিয়ে মিথ্যা লিখে তোমাকে খুশি করতে পারবো না। তাঁর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আগেলিকি (Αγγελική Χατζημανώλη)।

ইতি

একজন অভিবাসী ছেলে দিহান।

নোটঃ- আমি এই গল্পে ছেলেটির ছদ্মনাম ব্যবহার করে গল্প লিখেছি। এবং গল্পের মেয়েটির বাস্তব নাম দিয়ে এই গল্প শুরু করেছি। গল্পটি একজন অভিবাসী ছেলের থেকে নেওয়া।

Md Efaz
Web Developer
Narayanganj Bangladesh
I am a dedicated WordPress developer with 4 years of experience on Fiverr. I specialize in developing all kinds of websites and landing pages, ensuring they are professional, responsive, and visually appealing. My goal is to bring your vision to life, whether it's a business site, e-commerce store, portfolio, or any other web solution. Let's work together to create a website that perfectly fits your needs and stands out in today’s digital landscape.
 

Leave a Comment