Thu, Nov 21, 2024

Have a Nice Day

0 comments 0 views
🕗: 7 minutes

পৃথিবীতে মানুষ নিত্যদিন জীবন সংগ্রামে লড়াই করছে!

লড়াই করছে শান্তির আশায়

এবং লড়াই করছে এই পৃথিবীটাও।

সব মানুষ শান্তির পক্ষে কিন্ত সবাই শান্তি নিজের মধ্যে জাগ্রত করার চেষ্টা করছে না! যাঁর জন্য মানুষ পদে পদে জীবন সংগ্রামে সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য যুদ্ধ করছে।

কেউ কেউ নিজ দেশ ত্যাগ করে শান্তি খুঁজছে! ভাষা ও নিজ সংস্কৃতিকে ত্যাগ করে লড়াই করছে শান্তির জন্য।

কিন্ত এই পৃথিবীটা জানে!

এই পৃথিবীতে বসবাস করা কোনো মানুষই কখনো শান্তিতে ছিলো না! কখনো অতীতে আর কখনো বর্তমানে আর কখনো ভবিষ্যতেও হবে না।

পৃথিবীতে সভ্যতা ক্রমবিকাশের সাথে সাথে এই পৃথিবীতে মানুষের জীবন সংগ্রামের লড়াইটাও বাড়ছে প্রতিদিন।

মানুষ কখনো কোনো যুগেই শান্তিতে ছিল না! তবে অতীতে মানুষের কর্মকান্ড প্রকাশ পেত কম আর এখন প্রকাশ পায় বেশী এটাই পার্থক্য।

চারিদিকে জীবন সংগ্রামে আর মানুষের চোখের আর্তনাদ অবিরাম চলছে।

সমাজের প্রতিটি কোণায় কোণায় মানুষের জীবন সংগ্রামের দাগ আজ স্পষ্ট।

মানুষ কি খুঁজছে?

মানুষ কিসের জন্য লড়াই করছে?

মানুষ কিসের জন্য মরছে এবং মারছে?

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এই বিশ্ব কখনো খুঁজে পাবে না।

কারণ এই বিশ্ব আর এই বিশ্বের বসবাসকারী মানুষ শান্তি খুঁজলেও এই শান্তি কিভাবে নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে সেটা নিয়ে তারা কাজ করছে না।

সবাই শান্তি দেখতে আগ্রহী কিন্ত কেউ শান্তি নিজের মধ্যে জাগ্রত করতে ও তা সমাজে আলোর মতো প্রকাশ করতে আগ্রহী নয় যে আলো সমাজে ও পৃথিবীতে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিবে।

এই কঠিন পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষ এক একটি যুদ্ধা! এবং তাঁর বিপরীত শব্দ যদি হয় তাহলে এই পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষ এক একটি অশান্তির বীজবপন কারী।

প্রতিটি অন্ধকার রাত শেষে মানুষ যেমন দিনের সুন্দর আলো উপভোগ করতে আগ্রহী ঠিক তেমনি এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষেরা অন্ধকার সমাজ ও যোগ থেকে সুন্দর পরিপূর্ণ ও শান্তিময় দিন দেখার সংগ্রামে যুদ্ধে লড়াই করতেছে।

তবে কি এই লড়াই কখনো শেষ হবে? প্রশ্ন ভবিষ্যত আসা মানুষদের কাছেই রেখে গেলাম।

পৃথিবী আজ ক্লান্ত ও সঙ্গে মানুষও জীবন সংগ্রামে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত।

তবে মানুষ নিজেকে ছন্ন ছাড়া হয়েও গড়ে তুলছে এবং সমস্ত বাধা বিপত্তি ভেঙ্গে করেছে ছন্ন ভিন্ন।

কারণ সব কিছুর শেষে আমরা মানুষ!

তাই আমরা এই পৃথিবী নয় শুধু মহাকাশ যেতেও দ্বিধাবোধ করি না।

আমরা মানুষ!

তাই আমরা এই শুধু পৃথিবীর রাজত্ব ও ক্ষমতার জন্য লড়াই করতে পারি না।

আমরা লড়াই করবো এই মহাকাশ নিয়ে সেটির ভবিষ্যত মালিক কে হবে?।

মঙ্গল গ্রহের রাজত্বের জন্য আজ এই পৃথিবীতে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক লড়াই চলছে তবে ভবিষ্যত আধুনিক অস্ত্রের লড়াই চলবে তা সহজেই অনুমেয়।

কারণ আমরা মানুষ!

আমরা শান্তির জন্য অশান্তি তৈরি করবো!

এবং তা থেকে শান্তি খুঁজবো।

কারণ আমরা মানুষ।

এই মানুষের পৃথিবীতে জীবন সংগ্রামে যুদ্ধের মধ্যে বাস্তব সাক্ষীর একটি নাম যোগ হবে আর সেটি হচ্ছে “দিহান”!

দিহান যখন নিজ মাতৃভূমি থেকে হাজারো প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে নিজ দেশ ও ভাষা ত্যাগ করে ইউরোপের একটি দেশে এসে আশ্রয় প্রার্থী হলো। তখন দেখলো এই মানুষের পৃথিবীতে আশ্রয় নিতে হলে কতধরণের প্রশ্নের সম্মুখীন ও বৈষম্যের সম্মুখীন হতে হয় তা একজন আশ্রয় প্রার্থীই ভালোই জানেন।

পৃথিবীতে মানুষ আছে যাঁর জন্য মানুষের তৈরী আইন ও রাষ্ট্রের সংবিধান গুরুত্বপূর্ণ।

পৃথিবীতে মানুষ আছে যাঁর জন্য এই পৃথিবীতে ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ।

যদি এই পৃথিবীতে মানুষই না থাকে তবে কি কখনো ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ হবে আর না পৃথিবীর আইন ও সংবিধান?।

ধর্মের জন্য যুদ্ধ করি ধর্মের জন্য মানুষে মানুষে বৈষম্য ও সংঘাত।

আইন ও সংবিধান অধিকাংশ সময় ক্ষমতাহীনদের জন্য তৈরি ও তা প্রতিষ্ঠিত করা হয়।

কারণ আইন ও সংবিধান তো ক্ষমতাবানরাই তৈরি করেছিল।

তবে মানুষে মানুষে বৈষম্য ও ধর্মে ধর্মে সংঘাতে আমরা না যেয়ে আমরা প্রতিষ্টা করি সাম্যতার এক পৃথিবী।

দিহান যখন ইউরোপের একটি দেশে আসলো শান্তির আশায় তাঁকে ইউরোপের নির্দিষ্ট একটি দেশ থেকে কয়েক মাসের অস্থায়ী থাকার বৈধতা পেপার দেওয়া হলো এবং তাঁর এই কয়েক মাস তার এসাইলেম আবেদন চলাকালীন সময়ে সে সরকারী থাকা ও খাবারের সহযোগিতা ও নির্দিষ্ট কিছু টাকা পাবে যেটি দিয়ে তাঁর পকেট খরচ চলবে এবং সব ধরণের চিকিৎসা ও ঔষধ ফ্রি নিতে পারবে। যেটি একজন আশ্রয়হীন মানুষের অধিকার সে প্রথমে তা ভোগ করতে পারবে তাঁর আশ্রয় আবেদন খারিজ হওয়ার আগ পর্যন্ত।

যখন দিহান আসলো সে সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে লাগলো! তবে সব সময় রুমের মধ্যে একাকী তাঁর ভালো লাগতো না- বলতে গেলে ডিপ্রেশনে থাকতো! এবং মানুষের সাথেও তাঁর মিশতে ভালো লাগতো না। কারণ সে ছিল মানুষ থেকেই আঘাত প্রাপ্ত ও নির্যাতিত তাই আর মানুষের সমাগমে তাঁর যেতে ভালো লাগতো না।

তাই দিহান ভাবলো আমি একটা কাজ খুঁজি এই দেশে কাজ করবো। এবং ভাবলো আমি কখনো জীবনে কাজ করিনি তো কি কাজ করবো এবং কোনো কাজ পারিও না।

তারপরেও একাকীত্ব থেকে ভালো থাকতে ভিন্ন কোনো দেশের মানুষের সাথে কাজ করতে আগ্রহী মনোভাব নিয়ে সে ভাবতে লাগলো।

যখন দিহান একটি কাজের ইন্টারভিউয়ের জন্য অ্যাপয়েটমেন্ট পেলো। তখন সেই দিন সকাল সাড়ে দশটার দিকে সেখানে গেলো এবং যেতে একটু দেরী হওয়াতে তাঁর বস তাঁকে মেসেজ করলো দেরি কেনো? সে বললো আমি আসতেছি কিছু কারণে দেরি হলো।

যখন সে রেস্টুরেন্টে গেলো কারণ সে এই দেশের ভাষা জানে না গুগল Translate এর মাধ্যমে দিহানের বস ও দিহান কথোপকথন করতে লাগলো।

বস: তোমার নাম কি?

দিহান: বললো আমার নাম দিহান!

বস: তুমি কোন দেশ থেকে এসেছ?

দিহান: তাঁর দেশের নাম বললো!

বস: তোমার এই দেশে বৈধ্যতার পেপার আছে?

দিহান: হ্যা আছে! তবে তা অস্থায়ী!

বস: তোমার কাজের পারমিশন আছে?

দিহান: না নেই কারণ আমি নতুন এসেছি এই দেশে!

বস: তাহলে কাজে রাখা সম্ভব না, কারণ তোমার কাজের অনুমতি নেই!

দিহান: হ্যা! আমার কাজের অনুমতি নেই তবে আমি কাজ করতে আগ্রহী যদি আপনি আমাকে কাজ দেন তবে সেটি আমার জন্য ভালো হবে।

বস: কথা শুনে বললো আর দিহানের দিকে তাকিয়ে বললো তুমি কি আজ এখন থেকে কাজে লাগতে চাও?

দিহান: হ্যা আপনি বললে আমি এখন থেকে কাজে লাগতে চাই।

বস: দিহানকে কিভাবে কাজ করতে হবে সেটি দেখিয়ে দিলো।

দিহান: প্রথম দিন কাজ করলো।

বস: কাজ শেষে তাঁকে তাঁর কাজের পারিশ্রমিক দিলো।

দিহান: বললো না লাগবে না! তবে তাঁর বস তাঁকে বললো টাকা নাও জীবনে বেঁচে থাকার জন্য টাকা প্রয়োজন। তখন দিহান টাকাটি নিলো সাড়ে তিন ঘন্টার কাজ ছিলো দিহানের। যেহেতু দিহান কোনো কাজ পারে না তাই সে প্রথমে থালাবাসন ও কিচেন রুম পরিষ্কার করার কাজের দায়িত্ব নিল।

বস: তুমি কি আবার কালকে আসবে?

দিহান: হ্যা! আসবো।

 

এই ভাবে চলতে লাগলো তাঁদের তিন মাস। সে তাঁদের থেকে দিহান স্নেহও পেয়েছিল।

তবে দিহানের বস ভাবলো যেহেতু দিহান সে কাজ পারে না তাই দিহানকে কোনো স্কুলে কাজ শেখার জন্য ভর্তি করি এতে করে সে কাজ শিখবে ও ভাষাও শিখতে পারবে।

যেমন ভাবা তেমন কাজ! দিহানকে তাঁর বস ভর্তি করলো স্কুলে কাজ শেখার জন্য যেহেতু দিহানের কাজের পারমিশন চলে আসবে। কিন্ত স্কুলে ভর্তি হলো ঠিকই কাজ শেখার জন্য দিহানের ক্লাস ছিলো ০৫ সেপ্টেম্বর এবং স্কুল থেকে স্কুলের যাবতীয় বই, পোষাক, জুতা ও কাজ শেখার যন্ত্র সবই আনলো কিন্ত কাজের পারমিশন দিহান না পাওয়াতে স্কুলে কাজ শেখার সেটি সম্ভব হয়ে উঠেনি। সব কিছু আবার স্কুলে ফেরত দিয়ে দিলো দিহান তাঁর বসের মাধ্যমে।

 

দিহান কখনো তাঁর জীবনে কাজ করেনি তাই তাঁর জীবনের প্রথম কাজটা ছিলো স্বপ্নময়। কাজ যাই হোক সে এই কাজ নিয়ে খুশি ছিলো। কাজের ডিউটির আগে সে কাজে যেতো কারণ সে ভাবতো কখনো সময় ধরে কাজ করা ও কাজ শেষ করা সেটা একজন বসের জন্য কষ্টকর।

দিহান সব কিছু অনুভব করতো কারণ দিহানের নিজ দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো তাঁর জন্য সে সেটি অনুভব ও বুঝতে পারতো।

দিহানের মধ্য মনুষ্যত্ব ও মানবতা সব সময় কাজ করতো তাই সে হাজার আঘাত প্রাপ্ত হলেও জনসম্মুখে সে হাসিমুখে থাকার চেষ্টা করতো।

 

দিহানের বস তাঁকে প্রতিদিন তাঁর কাজের টাকা দিতো অথবা দু দিন চার দিন মিলিয়ে এক সঙ্গে তাঁকে কাজের টাকা দিতো। কোনো কোনো সময় তাঁর বস টাকা হিসাব থেকে বেশি দিলেও সে সেটি পরিবর্তিতে বলে তাঁর বসকে দিয়ে দিতো।

 

১০-০৬- থেকে দিহানের টাকা তাঁর বস তাঁকে দিচ্ছে না। এর মধ্যে তাঁর বস দিহানকে স্কুলে ভর্তি ও দিহানের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছিলো তাই দিহান তাঁর কাজের টাকার কথা বলতে লজ্জাবোধ করতো! কারণ সে দেখলো তাঁর বস তাঁর জন্য কিছু করার চেষ্টা করতেছে। এই ভাবে চলতে লাগলো তিন মাস দিহান কোনো টাকা তাঁর বসের থেকে পেলো না। আর দিহানও টাকা খুঁজতে লজ্জাবোধ করলো।

 

যখন দিহানের টাকা প্রয়োজন হলো তখন দিহান বললো তাঁর বসকে মেসেজ দিয়ে ও তাঁর কাজের হিসাব দিয়ে Whatsapp এ। আমার টাকা ১৫০০ ইউরো লাগবে কিছু প্রয়োজন আছে আমার। তাঁর বস দিহানের কাজের হিসাব দেখে বললো তুমি কতটাকা কাজের টোটাল অনুরোধ করছো?

তখন দিহান বললো আমি কখনো আপনাকে বলিনি কত টাকা দিবেন তবে সেটা আপনার ইচ্ছা! তবে আমার ১৫০০ টাকার প্রয়োজন আছে। এইভাবে দিহান তাঁর বসের প্রতি আনুগত্য ছিলো।

এর মধ্যে দিহানের বাবা বললেন দিহানকে কাজের ব্যাপারে তোমার বস কি টাকা দিতেছে ঠিক মতো তো সে বললো তিন মাস ধরে কোনো টাকা পাইনি কিন্ত দিহানের বাবা বললো! তাহলে তোমার বস কি টাকা দিবে এক সঙ্গে দিহান বাবাকে তাঁর বসের প্রতি বিশ্বাস রেখে বললো হ্যা তিনি দিবেন আর তিনি খুব ভালো! তিনি কখনো আমার কাজের টাকার প্রতি লোভ করবে না।

দিহানের কথা শুনে দিহানের বাবা বললেন আচ্ছা তাহলে ভালো।

যখন দিহানের টাকা প্রয়োজন হলো আর বললো তখন ২৪-০৯- তাঁর বস তাঁকে ২০০ টাকা হাতে দিয়ে বলে এই নাও তোমার টাকা তখন দিহান কি বলবে! দিহান বললো আমি বলেছিলাম আমার ১৫০০ টাকার দরকার কিন্ত তাঁর বস বললো ব্যবসা নেই এতো টাকা দেওয়া সম্ভব না। আমি বললাম আপনি না হলে সামনের সপ্তাহে ১০০০ টাকা দেন আমাকে, দিহানের বস বলে সেটা সম্ভব না। প্রত্যেক সপ্তাহে তোমার কাজের টাকা আগের মতো দেবো। কিন্ত কখনো বলেননি আমার তিন মাসের টাকা সে দিবে।

দিহান কি বলবে আর বুক বড়া আর্তনাদ নিয়ে যে দেশে শান্তির জন্য আসলো সেখানে সে বিশ্বাস করে সেখানেই নির্যাতিত হলো বিশ্বাসের।

তখন দিহান তাঁর বসকে কিছু না বলে বুক বড়া আর্তনাদ ও চোখ মূখে কষ্টের স্পষ্ট চাপ নিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসলো।

আর পথিমধ্যে রাস্তায় ভাবতে ভাবতে রুমে আসলো। আমার তিন টা মাসের কঠোর পরিশ্রম ও এইকাজের জন্য তিনটা মাসে বেশিরভাগ সময় বাস আসতো একঘন্টা দেরি করে তাই দিহান তাঁর রুম থেকে পায়ে হেঁটে কাজে আসতো!

যাতে তাঁর কাজের সময়ের আগে কাজে যেতে পারে! তাই সে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে যেতো কাজে এবং কাজ থেকে পায়ে হেঁটে আবার রুমে আসতো।

দিহানের কাজে যেতে ও আসতে দশ কিলোমিটার সমপরিমাণ দিহান মাসের বেশিরভাগ দিন পায়ে হেঁটে কষ্ট করে কাজে যেতো।

এবং দিহানের যেহেতু জীবনের প্রথম কাজ ছিলো তাই প্রথমে তাঁর কাজে মাথা ঘুরতো কারণ সে কখনো কষ্টের কাজ করেনি তাঁর জন্য। কিন্ত পরিস্থিতি ও জীবন যুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়াই ছিলো যেনো চব্বিশ বছর বয়সী দিহানের জীবন যুদ্ধের এক সংগ্রাম।

দিহানের মতো হাজারো ছেলেরা এইভাবে বিশ্বাস করে নিজের জীবনের কষ্টের টাকাটা তাঁর বস এক সময় দেয় না। কারণ দিহানের মতো হাজার ছেলেরা জীবন সংগ্রামে লড়াই করছে বেঁচে থাকার জন্য ভালো থাকার জন্য ভিন্ন দেশে! কিন্ত ঐ দেশের নির্দিষ্ট কিছু মানুষেরা তাঁদের ভালো থাকার ও বেঁচে থাকার কাজের কঠোর পরিশ্রমের অর্থ গুলো আত্মসাৎ করতে চায়।

●কারণ দিহান বিদেশি!

●কারণ দিহানের কাজের অনুমতি নেই!

●কারণ দিহানের অবৈধভাবে কাজ করার টাকা আত্মসাতের সে বৈধ্যভাবে বিচার চাইতে পারবে না!

●কারণ দিহান এই দেশের ভাষা ভালো জানে না তাই সে ভালো ভাবে কাউকে কিছু বলতে পারবে না!

জীবন সংগ্রামে জীবনের প্রথম কাজ করা থেকে দিহান ভাবলো নিজ দেশে যেই অবস্থা সভ্য দেশেই একই অবস্থা। আসলে দেশ, সংস্কৃতি, ভাষা ভিন্ন হলেও এই পৃথিবীর ভিতরে অধিকাংশ মানুষের জন্ম হয়েছে অন্যকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।

কারণ পৃথিবীতে অপরাধ ও মানুষের অধিকার হরণ হতে হতে তা আজ বৈধ্য পথে রুপান্তরিত হচ্ছে।

দিহান এমন এক পৃথিবীতে বসবাস করছে যেখানে অপরাধ টাও আজ অপরাধ না সেটা বৈধ্যতার একটা অংশ।

দিহানের মতো লক্ষ মানুষদের পরিশ্রমের অর্থ আত্মসাতের সাথে সাথে তাঁদের বিশ্বাস ও আত্মসাৎ ও হত্যা করা হয়। শুধু পরিশ্রমের অর্থ নয় তাঁদের মানুষদের থেকে বিশ্বাসও হত্যা করা হয়। যা এই পৃথিবীর জন্য সংকটাপন্ন।

ভালো থাকুক ভবিষ্যত পৃথিবী।

ভালো থাকুক সুযোগ সন্ধানী মানুষ গুলো।

জীবন সংগ্রামে লড়ে যাওয়া বীরের জন্যই

সুন্দর হবে একদিন এই পৃথিবী।

ভালো থেকো দিহানের মতো জীবন সংগ্রামে লড়াই করে বেঁচে থাকা হাজারো বিশ্বের সূর্য সন্তানেরা।

ভালো থেকো।

তবে আজ এই পৃথিবীতে দিহানের মতো জীবন যোদ্ধারা ভালো নেই।

সমাপ্ত 

Md Efaz
Web Developer
Narayanganj Bangladesh
I am a dedicated WordPress developer with 4 years of experience on Fiverr. I specialize in developing all kinds of websites and landing pages, ensuring they are professional, responsive, and visually appealing. My goal is to bring your vision to life, whether it's a business site, e-commerce store, portfolio, or any other web solution. Let's work together to create a website that perfectly fits your needs and stands out in today’s digital landscape.
 

Leave a Comment