হতে হবে আশাবাদী মানুষ
লেখকঃ- মাহিদুল ইসলাম আল মাহদী
লেখার তারিখঃ- ২৪-০৫-২০২১ ইংরেজি
আমি বিভিন্ন ধরণের লেখা লিখেছি এবং যাঁর মধ্য অনলাইনে জনপ্রিয় হলো আমার উপদেশ মূলক লেখা এবং শিক্ষানীয় লেখা গুলো।
আজ আমি আশাবাদ/আশাবাদী এবং নৈরাশ্যবাদ/হতাশাবাদী সম্পর্কে কিছু আলোচনা করবো।
আশাবাদ শব্দটির ইংরেজি হলো “Optimism” এর পারিভাষিক শব্দ। অপ্টিমিজম শব্দটি এসেছে ল্যাটিন “Optimum” থেকে। অপ্টিমাম যাঁর অর্থ হলো সর্বোত্তম।
নৈরাশাবাদ যাঁর ইংরেজি শব্দ হলো “Pessimism”! পেসিমিজম শব্দটি এসেছে গ্রিকের পেসিমাস থেকে যাঁর অর্থ নিকৃষ্টতম।
আশাবাদী যাঁর ইংরেজি শব্দ হলো “Optimist” (অপ্টিমিস্ট)।
হতাশাবাদী যাঁর ইংরেজি শব্দ হলো “Pessimist” (পেসিমিস্ট)।
আশাবাদ এবং নৈরাশ্যবাদ প্রত্যেক মানুষের মধ্যে বিস্তার করে থাকে।
মানুষ জন্ম হওয়ার পর থেকে শুরু করে জীবন লাভ করার পর মানুষ আশার মাধ্যমে বেঁচে থাকে। যাঁর জন্য মানুষকে আশাবাদী মানুষ বলি।
আচ্ছা! পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ আছে যাঁর মধ্যে কোনো আশা নেই? নেই কোনো স্বপ্ন? হ্যাঁ অবশ্যই আছে! কিন্তু তাঁরা হয় বোকা আর না হয় মাতাল। কিন্তু তাঁরাও কোনো না কোনো আশায় বেঁচে থাকে এই পৃথিবীতে যা আমরা হয়তো জানি না।
পৃথিবীতে সব মানুষই কোনো না কোনো আশার মাধ্যমে বেঁচে থাকে, তাই মানুষকে আশাবাদী মানুষ বলা হয়।
যখন একটা শিশু মায়ের গর্বে থাকে! তখন তাঁর পিতা মাতা এই শিশুটিকে নিয়ে কত নানা কল্পনা জল্পনা করেন! সে পৃথিবীতে আশার পর কি করবে-না করবে।
যখন শিশুটি পৃথিবীতে আশে তখন পিতা-মাতা সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করেন, বড় করার চেষ্টা করেন ধীরে ধীরে। এবং শিশুটি যখন বুঝতে শুরু করে তখন সে স্কুলে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হয়। এবং আশা করে থাকে আমি বড় হয়ে পড়াশুনা শেষ করে ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার, সাইনটিস্ট, ব্যাংকার, দার্শনিক বিজনেসম্যান ইত্যাদি হবো এবং অনেকেই আরো অনেক কিছু ভাবে এবং আশা করতে শুরু করে। এই আশা নিয়ে স্বপ্ন দেখে এবং সেই সাথে চেষ্টা করে থাকে।
অথচ সে জানে না তাঁর জীবন কি সেই স্বপ্ন পর্যন্ত থাকবে? কিন্তু সে আশা করে থাকে একটা দীর্ঘায়ু জীবনের! এবং সুন্দর ভবিষ্যতের। আশাবাদী মানুষের মধ্যে অন্য মানুষ থেকে আলাদা মনোবল থাকতে দেখা যায়! যে আমি পাড়বো, আমাকে পারতে হবে, আমাকে করতে হবে, সেটা তাঁদের মধ্যে থাকতে দেখা যায়।
একজন মানুষ যখন বিজনেসম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখে! মানুষ বিভিন্ন ধরণের বিজনেস করতে পারে! সেটা ছোট হোক্ কিংবা বড়। সবার বিজনেস প্ল্যানিং ভিন্ন হলেও বিজনেস নিয়ে চিন্তাভাবনা সবার কিন্তু একই থাকে। আর সেটা মাথায় রেখে তাঁরা বিজনেস শুরু করে। আর সেটি হলো বিজনেসে সাফল্যে অর্জন বা লাভবান হওয়া।
কিন্তু সে জানে না সে এই বিজনেসে কতটুকু সাফল্যে অর্জন বা লাভবান হবে! এবং তাঁর বিজনেস প্লানিং সঠিক কি’না? কিন্তু সে অনুমান এবং আশা নিয়ে বিজনেস শুরু করে ইতিবাচক ধারণার মধ্যে দিয়ে। আর সেটার মাধ্যমে অনেকে সাফল্যে হয়, আবার অনেকে ব্যর্থ হয়ে নতুন ধারণা ও জ্ঞান অর্জন করে থাকে।
আশাবাদী মানুষেরা কখনো হবে না, কখনো পারবো না, এইটা বুঝতে চায় না। যখন নৈরাশ্যবাদ মনের মধ্যে বিস্তার করে তখন তাঁরা এই নৈরাশ্যবাদের প্রতিকূলতা থেকে নিজেকে বেরিয়ে আনার ধীর চেষ্টা করে থাকে। কারণ! নৈরাশ্যবাদ কখনো একজন আশাবাদী মানুষের বন্ধু না। নৈরাশ্যবাদ একজন শক্তিশালী মানুষকে কাপুরুষে এবং একজন প্রতিভাবান মানুষকে অজ্ঞে পরিণত করতে পারে।
তাই একজন আশাবাদী মানুষ কখনো নিজের মধ্যে নৈরাশ্যবাদ এবং হতাশাবাদের জন্ম দিতে চান না। সত্যি বলতে কোনো মানুষও চায় না তাঁর ভিতরে হতাশাবাদের জন্ম হোক। যখন এক প্রকার চেষ্টা করতে করতে সে ব্যর্থ হয় তখন তাঁর মনোবল ভেঙ্গে পরে এবং তাঁর ভিতরে হতাশাবাদের জন্ম হয়।
তবে তাঁকে বুঝতে হবে “একবার না পারিলে দেখো শত বার” এই প্রবাদের কথা গুলো নিজের মধ্যে হতাশার জন্ম দেয় না, এবং দেয় না নৈরাশ্যবাদেরও।
এই কথা মনের মধ্যে আশার জন্ম দেয়! এবং আবারো চেষ্টা করার জন্য বলে। পৃথিবীতে মানুষ তাঁর স্বপ্ন থেকে পুরোপুরি ব্যর্থ হবে এমনটা না। মানুষ কি ব্যর্থ হয়? মানুষ একসময় নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ থেকে মনোবল, চেষ্টা-ধৈর্যহীন হয়ে লক্ষ থেকে পিছিয়ে যায়, তাঁর জন্য আমরা দেখি সে ব্যর্থ। আসলে সে ব্যর্থ না। সে তাঁর চেষ্টা থামিয়ে রেখেছে যাঁর জন্য আমরা দেখি সে ব্যর্থ। তবে অবশ্যই প্রত্যেক ব্যর্থতা থেকে নিশ্চয় মানুষ কিছু না কিছু শিখতে পারে।
যে ব্যর্থতা তোমাকে শেখায় সেটা কিভাবে ব্যর্থতা হয় আমি জানি না।
তুমি কোথায় ব্যর্থ হয়েছ সেটা তোমার জানতে হবে! তোমার চেষ্টার মধ্যে কোথায় কমতি আছে সেটা বুঝতে হবে। তবে তুমিই পারবে তোমার স্বপ্ন পুরোপুরি সফল না করলেও কাছাকাছি যেতে! তবে পুরোপুরি ব্যর্থ হবে সেটা আমি মানি না।
আশাবাদী মানুষরা কি করতে পারে?
অপ্টিমিস্ট মানুষদের জন্যই আজকের পৃথিবী। যাঁরা বারবার ব্যর্থতা বরণ করে নেওয়ার পরও আশার মাধ্যমে বেঁচে ছিলেন এবং মনের মধ্যে মনোবল সৃষ্টি করে আবারো চেষ্টা শুরু করে ছিলেন।
কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের কাছে পৃথিবীর কোন সাধনাই ব্যর্থ নয়, এর বাস্তব প্রমান হলো!
(Thomas Alva Edison (টমাস আলভা এডিসন)। তিনি তার আবিষ্কার গুলোকে বাস্তব রূপ দিতে গিয়ে হাজার হাজার বার ব্যর্থ হয়েছেন, টমাস তার এই ব্যর্থতার মাঝেই খুঁজে পেয়েছিলেন নতুন নতুন আবিষ্কার উদ্ভাবনের অনুপ্রেরনা।) কালেক্ট লড়াকু.কম
তাঁর পরে একদিন তিনি সফল হয়েছিলেন। কেনো জানেন? কারণ! তিনি আশাবাদী মানুষ ছিলেন। যাঁর জন্য আজকে সফলতার গল্প পড়ি। এবং বিদ্যুতের আলো উপভোগ করি।
আব্রাহাম লিঙ্কন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
তবে শুরুতেই প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন এমন না। জীবনে অনেক মূল্যবান সময় চেষ্টা করেছিলেন কিছু করার জন্য। এবং একসময় তিনি মুচির দোকানেও কাজ করে ছিলেন। তিনি জীবনের ছোট ছোট নির্বাচনে পরাজয় বরণ করে ছিলেন কিন্তু কখনো মনের মধ্যে হতাশাবাদের জন্ম দেননি। আশাবাদী ছিলেন নিজের চেষ্টা ও কর্মের প্রতি, তাই জীবনের ছোট ছোট পরাজয়ের পরও আশার মাধ্যমে বেঁচে ছিলেন। এবং পরবর্তীতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন এবং সে নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। আমেরিকার সর্বকালের সেরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ধরা হয় আব্রাহাম লিঙ্কনকে।
আমেরিকায় দাসদের স্বাধীনতা লাভের পেছনে তাঁর অবদান টাই সবচেয়ে বেশি। কালেক্ট লড়াকু.কম
সইচিরো হোন্ডা! জীবনযুদ্ধে জয়ী এক সৈনিকের নাম সইচিরো হোন্ডা- যিনি বারংবার ব্যর্থতার পরও সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন। অথচ সইচিরো হোন্ডার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। তারপরেও নিজের কর্ম থেকে পিছিয়ে যাননি! হয়েছেন হাজারো ব্যর্থতার পর হোন্ডা মোটর কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। শ্রম ও সাধনার বদৌলতে এ কোম্পানি হয়ে উঠে বিশ্ববিখ্যাত হোন্ডা কোম্পানি। সফলতা তাঁকে দারুণভাবে বরণ করে নেয়। কারণ তিনি আশাবাদী মানুষ ছিলেন নিজের কর্মের প্রতি, যাঁর জন্য কিছু করতে পেরেছিলেন। কালেক্ট লড়াকু.কম
কনোনেল স্যান্ডার্স! জীবনের ৬৫ বছর চলে গেছে ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে অবশেষে ৬৫ বছর বয়সী কনোনেল স্যান্ডার্সের হাতে মাত্র ১৬৫ ডলার ছিল। এবং এই দিয়েই শুরু করেন, এরপর তিনি তাঁর চিকেন রেসিপি বিক্রী করার চেষ্টা করেন। ১০০৯ টি রেস্টুরেন্ট তাঁকে ফিরিয়ে দেয়ার পর একটি রেস্টুরেন্ট তাঁর রেসিপি নিয়ে কাজ করতে রাজি হয়। বাকিটা তো বুঝতেই পারছেন এখন।
তিনি আজকের কেএফসি নামক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ফাস্টফুড চেইনের প্রতিষ্ঠাতা কনোনেল স্যান্ডার্স।কালেক্ট লড়াকু.কম
জে কে রাওলিং! শুধুমাত্র বই লিখে তাঁর মত ধনী কেউ হতে পারেনি। কিন্তু শুরুটা এতো সহজ ছিলো না। তিনি জীবনে বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর এক প্রকার আত্মহত্যার চিন্তা করেন, কিন্তু ছোট মেয়ের কথা ভেবে সেটি করেননি।
নিজের লেখালেখির প্রতিভাকে জাগ্রত করতে করতে হ্যারি পটারের বইটি লিখতে থাকেন। এভাবেই কেটে যায় দু’টি বছর। ১৯৯৫ সালে একটু একটু করে হ্যারি পটারের প্রথম বইটি লেখা শেষ করেন।
বইটি লেখার উদ্দেশ্যেই ছিল লেখার মাধ্যমে নিজের জীবনের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করা। জে কে রাউলিং তখন তাঁর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। তাঁর লেখা বইটিও ১৪ টি প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়। কিন্তু তারপরেও তিনি আশা ছাড়েন নি আশার মাধ্যমে চেষ্টা করে ছিলেন। যে বইটির লেখা ১৪ টি প্রকাশনা সংস্থা প্রত্যাখ্যান করেছিলো। অবশেষে ১৯৯৬ সালে “ব্লুমসবারি” নামের ছোট একটি প্রকাশনা সংস্থা বইটি প্রকাশ করার জন্য রাজি হয়।১৯৯৭ সালে “হ্যারি পটারের” প্রথম বইটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পুরো বিশ্বে হৈচৈ পড়ে যায়। জে কে রাওলিং অবাক হয়ে দেখেন, এত ব্যর্থতার পরও চেষ্টা করে যাওয়ার সুফল তিনি পেয়েছেন। একে একে আরও বই বের হতে থাকে, সেই সাথে বের হতে থাকে একের পর এক সুপারহিট সিনেমা
২০০৪ সালে জে কে রাওলিং পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সাহিত্যিক হিসেবে শুধুমাত্র বই লিখে বিলিয়ন ডলারের মালিক হন। কালেক্ট লড়াকু.কম
স্টিভ পল জবস, আলবার্ট আইনস্টাইন, সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টেটল, নিউটন, বিল গেটস, জ্যাকমা, নেলসন ম্যান্ডেলা, সেক্সপিয়র উইনস্টন সার্চচিল,টমাস ফুলার, অস্কার ওয়াইল্ড, প্যাসকেল, মার্কাস ইলেরিয়াস, আর্পোড ডুবেই, চিকো জেভিয়ার, জর্জ গ্রসভিল, নেপোলিয়ান সহ ইত্যাদি যাঁরা আজকের বড় বড় ব্যক্তি হয়েছেন এবং যাঁদের ইতিহাস আমরা পড়ি এবং যাঁদেরকে মনীষী বলে জানি এবং মনীষীদের জীবনী পড়ি তখন আমরা অনুপ্রেণা পাই তাঁদের জন্য। এবং তাঁদের জন্য আমরা এই প্লানেট আর্থের সৌন্দর্য সত্যিই ভোগ করছি। কারণ এই প্লানেট আর্থ টা ছিলো একসময় অস্তিত্বহীন ও সৌন্দর্যহীন। যাঁরা পৃথিবীর অস্তিত্ব কে সুন্দর করতে চেষ্টা করেছিলেন হাজারবার ব্যর্থতার পরও তাঁদের জন্যই আমরা এই পৃথিবীর সৌন্দর্য ভোগ করছি কোনো হতাশাবাদ বা নৈরাশ্যবাদ মানুষদের জন্য না।
আশাবাদী মানুষদের জন্যই আমরা আজকের পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করছি।
কেউ শিক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন এবং কেউবা বিজ্ঞানের মাধ্যমে।
এই ভাবে বড় বড় ব্যক্তিদের ব্যর্থতা থেকে সফল হওয়ার অনেক উদাহরণ আমি বলতে পারবো ইতিহাস থেকে, তাঁদের জীবনে বারবার ব্যর্থতা থেকে একসময় সফল হওয়ার ইতিহাস পড়ে নিজে অনুপ্রেরণা পাই এক কঠিন মূহুর্তে এসে।
যাঁরা হাজারো ব্যর্থতার পর আশাবাদী ছিলেন, আমি সফল হবো-এই কথা বিশ্বাস করে ছিলেন। এবং ব্যর্থতার মধ্যে বসে না থেকে আবারো চেষ্টা শুরু করেছিলেন নিজের লক্ষে! নিজের কর্মের প্রতি মনোবল, ধৈর্য্য ও চেষ্টা সহকারে। এবং আমাদের উপভোগ করতে দিয়েছেন একটা সুন্দর পৃথিবীর সৌন্দর্যটা কে, তাঁদের একাধিক কিংবা হাজারবার ব্যর্থতার পরেও চেষ্টার মাধ্যমে আজকের পৃথিবীর সৌন্দর্য আমরা উপভোগ করতে পারছি! এটাই সত্য।
যাঁরা আশাবাদী যাঁরা চেষ্টা ধৈর্য ও সংগ্রাম করে লক্ষ্যস্থলের প্রতি টিকে থাকতে পারে দিন শেষে তাঁদের ইতিহাস লেখা হয় সফলতার মধ্যে দিয়ে। এবং যাঁরা ব্যর্থ হয় তাঁদের জীবনে অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে অভিজ্ঞতা ছাড়া কেউ কখনো সফলতা অর্জন করতে পারে না। জীবনে ব্যর্থতা থাকবে তবে আপনাকে আশাবাদী হতে হবে আপনার লক্ষে।
আশাবাদী মানুষরা গোটা মানব জাতি এবং একটা পৃথিবীর দূষিত প্রকৃতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারে নিজের সদিচ্ছা ভালো কর্ম ও ধৈর্য সহকারে লক্ষ্যস্থলের প্রতি চেষ্টার দ্বারা।
ব্যর্থতা মানে তুমি জীবনে কোনো কিছু করতে পারবে না তা না, তোমাকে আশাবাদী এবং আশা রাখতে হবে তোমার কর্মে, তুমি পারবে।
মানুষের সব চাইতে বড় শক্তি তাঁর লক্ষে সে আশাবাদী এবং আশা রাখতে পারাটা অর্জন করা।
যদি শক্তিশালী হতে চাও, যদি সুন্দর জীবন উপভোগ করতে চাও, তবে টাকার শক্তি অর্জন নয়, ক্ষমতার শক্তি অর্জন নয়। অর্জন করো আশার। যে আশার দ্বারা তুমি তোমার জীবনের ব্যর্থতা গুলোর মধ্যে বসে না থেকে আশা করতে পারো তুমি পারবে তোমার লক্ষে; এবং উঠে দাঁড়াও নিজের জন্য ও ভবিষ্যত মানুষদের জন্য। শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য, যাতে করে তাঁরা ভবিষ্যতে তোমার জীবনকে অনুসরণ করতে পারে, ব্যর্থতা থেকে আশার মাধ্যমে চেষ্টা করে বেঁচে থাকতে পারে নিজের কর্মে! আপনার জীবনি অনুসরণ করে, এবং সফল হয় সেই চেষ্টায়।
আশাবাদী মানুষরা আশার মাধ্যমে জীবনে অনেক কিছু অর্জন করতে পারে নিজের প্রতিভাকে জাগ্রত করে।
পেসিমিজম মানুষেরা জীবনে অনেক কিছু হারায় নিজে পারবে না মনে করে। আমি পারবো না, আমার দ্বারা কিছু হবে না! এই চিন্তাভাবনায় আপনার আলোকিত প্রতিভাকে প্রতিবন্ধী করে তুলে এবং আপনার জীবনে অন্ধকার নামিয়ে দেয়।
আপনি বড় বড় মনীষীদের জীবনী পড়বেন, বড় বড় দার্শনিকের জীবনী পড়বেন। যাঁদের জীবনী ও যাঁদের ইতিহাস আমরা আজ পড়তেছি তাঁদের জীবনের শুরুটা মোটেই সহজ ছিলো না। কিন্তু তাঁরা আশাবাদী ছিল তাঁদের লক্ষে কর্মের দ্বারা, আমিই আমার লক্ষে সফল হতে পারবো এই বিশ্বাস রেখে বারবার ব্যর্থতা বরণ করে নেওয়ার পরও চেষ্টা করে ছিলেন। যেমনঃ উপরে বর্ণিত অনেক মনীষীদের কথা ও নাম আমি উল্লেখ করেছি এবং এছাড়াও আরো অনেকেই আছেন এই পৃথিবীকে সৌন্দর্য করার পিছনে এবং মানবসভ্যতাকে আলোকিত করার পিছনে।
আশাবাদী মানুষরা শুধু নিজেকে পরিবর্তন করে না, করে একটা পৃথিবীকেও। তাই আপনি আশাবাদী হন; হাজারবার চেষ্টা করার পরও আরো একবার চেষ্টা করেন! কে জানে হয়তো পরবর্তী চেষ্টায় তুমি সফল হতে পারবে তোমার লক্ষে! এই ভেবে চেষ্টা চালিয়ে যাও।
যাঁরা স্বপ্ন দেখে, যাঁরা চেষ্টা করে, যাঁরা নিজের কর্মের প্রতি আশাবাদী হয় নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থা রাখে সে আজ না হয় কাল সফল হবে।
নৈরাশ্যবাদ একটা জীবনকে নষ্ট করেনা, করে ভবিষ্যত প্রজন্মদেরও।
তাই আপনাকে আশাবাদী মানুষ হতে হবে যে কোনো পরিস্থিতিতে আশা রাখতে হবে আপনার লক্ষে। মানুষের মধ্যে নৈরাশ্যবাদ বা হতাশাবাদের জন্ম নেওয়া মানে এই পৃথিবীর সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া এবং জাতি আলো থেকে অন্ধকারে শায়িত হওয়া।
মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁর মধ্যে এবং তাঁর কর্মে আশা জাগ্রত করে চেষ্টা করতে পারাটা।
আশাবাদী মানুষেরা ভবিষ্যতে ইতিবাচক এবং সাফল হবে! নিজের লক্ষ্যে, নিজের কর্মের দ্বারা, সে বিশ্বাস করে বেঁচে থাকে চেষ্টা ও ধৈর্য্যর মাধ্যমে।
আশা এমন একটা শব্দ! যে হতে পারে এবং এ হতে পারাটাই একদিন সফলতা অর্জন করে দেয় নিজের লক্ষ্যের প্রতি চেষ্টার দ্বারা।
মানুষের স্বপ্ন দেখাটা দোষের কিছু নয় কিন্তু সেটা দোষের যে মানুষ স্বপ্ন নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আপনার ঘুমহীন স্বপ্ন আপনাকে অপরিচিত অনেক মানুষদের সাথে পরিচিত করাবে চলার ক্ষেত্রে এবং স্বপ্নকে সফল করার ক্ষেত্রে। যা আপনি ঘুমিয়ে এবং পারবে না মনে করে বসে থাকলে কখনো সেগুলি করতে পারবেন না।
তাই আপনি স্বপ্ন দেখেন যে স্বপ্ন আপনাকে ঘুমাতে দেয় না সফল করার জন্য এবং আশা রাখেন আপনার স্বপ্নে এবং চেষ্টা চালিয়ে যান নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস নিয়ে। এটাই স্বপ্ন! যে স্বপ্ন আপনাকে ঘুমাতে দেয় না যতক্ষণ না আপনি আপনার স্বপ্নে সফল করার জন্য অগ্রসর ও সফল না হন ততক্ষণ পর্যন্ত।
নৈরাশ্যবাদ মানুষদের মধ্যে বিশ্বাস ও চেষ্টা খুবি কম কাজ করে এমনকি করেও না মানবজাতি এমনকি পৃথিবী ও প্রকৃতির উপরও আস্থা রাখতে পারে না। তাই তাঁরা জীবনে তাঁদের লক্ষে চেষ্টা থেকে বঞ্চিত এবং জীবনে একসময় ব্যর্থ হয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। তাঁদের নৈরাশ্যবাদ এবং হতাশাবাদের জন্য।
আমি আশাবাদী মানুষের বন্ধু যদিও সে জীবনে বারবার ব্যর্থ হয় চেষ্টা করার পরেও, এবং আশা রাখে আমি পারবো। কারণ তাঁর ব্যর্থতা ও চেষ্টা থেকে আমি কোনো না কোনো কিছু শিক্ষা অর্জন করতে পারবো। যা নৈরাশ্যবাদ মানুষের থেকে করতে পারবো না।
অবশেষে আমি বলবো মানুষের জীবনে Expectations সব সময় পূর্ণ হবে এমনটা না। তবে তোমাকে তোমার লক্ষে ইতিবাচক ধারণা নিয়ে আশা রাখতে হবে আমি পারবো। জীবনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকার মাধ্যমে একটা বড় শক্তি অর্জন করা যায় নিজের লক্ষে এবং কর্মে। যাঁর দ্বারা আপনি আপনার লক্ষে সফল অথবা সফলতার দ্বার প্রান্তেই যেতে পারবেন।
বলি মোরা একি বাক্যে!
আশা হোক জীবনের চেষ্টার প্রতিটা ক্ষেত্রে।
ইতিবাচক ধারণা থাকুক নিজ কর্মে!
বিলুপ্ত হোক্ নৈরাশাবাদ হৃদয় স্পন্দন থেকে।
হতে হবে মানুষ আমি আশাবাদীর মতো!
সকল কর্মে চিন্তাধারা রাখি ইতিবাচকের মতো।