the truth author

সৃষ্টিকর্তা চেয়েছেন এই পৃথিবী

সৃষ্টিকর্তা চেয়েছেন এই পৃথিবী-

বলেছেন আমার পৃথিবী আমাকে দাও।

পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলাম তোমাদের

এই পৃথিবীর যত্ন করতে

সৌন্দর্যময় প্রকৃতি গড়ে তুলতে।

কিন্তু তোমরা যুগ যুগ ধরে এই পৃথিবীর মধ্যে ধ্বংস লিলায় মেতে উঠেছে!

তৈরী করছো নিত্যদিন মানুষ মারার যন্ত্র।

কখনো ধর্মের নামে-

কখনো জাতির নামে-

কখনো আবার দেশের স্বাধীনতার নামে-

ধ্বংস করছো আমার এই পৃথিবী।

করছো মানুষ হত্যার নামে ঘৃনিত সব রকমের পাপ।

তোমাদের রাষ্ট্র যন্ত্র-

ধর্ম যন্ত্র-

গোত্র যন্ত্র থেকে দুধের শিশুটিও রক্ষা পাচ্ছে না।

হচ্ছে কোথাও না কোথাও আধুনিক বোমা কিংবা অস্ত্রের দ্বারা মৃত্যু।

জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকির কথা সবারই মনে আছে-

পারমাণবিক বোমার প্রভাব আজও বিশ্বকে অবাক করে দেয়।

সৃষ্টিকর্তা চেয়েছেন এই পৃথিবী।

বলেছেন তুমি এই পৃথিবীর কে?

তৈরী করছো নিত্যদিন মানুষ মারার যন্ত্র।

পারমাণবিক বোমার থেকেও শক্তিশালী তৈরি করছো হাইড্রোজেন বোমা।

তৈরি করছো হাইপারসনিক অস্ত্রের মতো ভয়ঙ্কর সব ধরণের অস্ত্র!

কেউ প্রকাশ্যে তৈরি করছে অস্ত্র-

আবার কেউ তৈরী করছে গোপনে।

সব দেশ একে অপরের থেকে শক্তিশালী হওয়ার লড়াইয়ে মেতে উঠেছে-

আর এই দিকে দিন দিন পৃথিবীটা ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে।

এখন আর আগের মতো এই পৃথিবীতে বৃষ্টি হয় না-

তাই বিভিন্ন দেশ কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় বৃষ্টি ঝড়ানোর উদ্বেগ নিয়েছে-

কিন্ত এটা এই পৃথিবীর প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ!

এর জন্য দায়ী এই পৃথিবীর মানুষেরাই।

আগের মতো এই পৃথিবীর আকাশে পাখি গুলো উড়তে দেখা যায় না

কারণ তারা খুব ভয়ে থাকে

কখন কোন সময় এই পৃথিবীর আকাশে বোমা বিস্ফোরিত হবে তাঁর জন্য।

আমরা মানুষ সব সময় কোনো না কোনো ভাবে প্রকৃতির বিরুদ্ধে কাজ করছি।

কখনো প্রাণী গুলোকে বন্ধি করে-

আবার কখনো প্রাণী গুলোকে হত্যা করে।

কখনো আকাশে

কখনো জমিনে

আবার কখনো পানিতে বোমা বিস্ফোরণ করে আমরা প্রকৃতিকে দূষিত করছি

ও সঙ্গে প্রাণী জগতটিকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলছি।

তাই এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা-

চেয়েছেন এই পৃথিবী।

ধর্মের নামে এই পৃথিবীতে কত কোটি মানুষ হত্যা হয়েছে তাঁর কি বিচার আছে আর না জবাব আছে?

যুদ্ধে বন্ধির নামে অনেক মা-বোন বিধবা ও ধর্ষিতা হয়েছে তাঁর কি জবাব আছে আর না বিচার আছে?

দাস-দাসী প্রথার নামে চলেছিল এই পৃথিবীতে মানুষ বিক্রির বাজার-

দাস-দাসীর প্রতি নির্যাতনের ইতিহাস সবারই জানা আছে আজ।

যুদ্ধ কিংবা নির্যাতনে দেশ ত্যাগ করে বাঁচার তাগিদে ছুটছে মানুষ প্রতিদিন।

মানুষ গুলো খুঁজছে নিত্যদিন এই মানুষের পৃথিবীতে কোথাও কি কোনো শান্তি পাই।

শান্তি নাই রে শান্তি নাই

কোথাও কোনো শান্তি নাই

ঘুরছি আমি শান্তির খুঁজে

হচ্ছি নির্যাতিত নিপিড়িত

জীবনেরি তরে

তারপরেও আশায় আছি

শান্তিরি ভবে

শান্তি আসবে কবে?

জানা কি আছে পৃথিবী তোমার!

শান্তি আসবে কবে?

প্রকৃতি আজ মানুষের প্রতি এতো রাগ এতো প্রতিশোধ এতো ঘৃণা নিয়েও মানুষের মধ্যে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করাচ্ছে!

তবে তা প্রকৃতির ইচ্ছাকৃত সৌন্দর্য নয়-

প্রকৃতির অনিচ্ছাকৃত মলিন সৌন্দর্য আমরা উপভোগ করছি।

এই পৃথিবীতে মানুষের প্রতি প্রকৃতির এতো অভিযোগ-

তাই সৃষ্টিকর্তা চেয়েছেন এই পৃথিবী।

অবুঝ শিশুদের হত্যার কারণ না জানা যতো অভিযোগ-

তাই সৃষ্টিকর্তা চেয়েছেন এই পৃথিবী।

ধর্মের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা ও নিপীড়নের যতো অভিযোগ-

তাই সৃষ্টিকর্তা চেয়েছেন এই পৃথিবী।

আর বলছেন তুমি এই পৃথিবীর কে?

তৈরী করছো নিত্যদিন আমার এই সৃষ্টি ধ্বংসের সব যন্ত্র।

গণতন্ত্রের নামে-

ভাষার নামে-

শরীরের কালো সাদা চামড়ার নামে-

তৈরি করছি আমরা এই পৃথিবীতে অসভ্যতা ও হত্যা!

সৃষ্টিকর্তা সব দেখেছেন।

হত্যা হওয়া ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার অভিযোগ শুনতেছেন সৃষ্টিকর্তা!

তাই সৃষ্টিকর্তা চেয়েছেন এই পৃথিবী।

যদিও সৃষ্টিকর্তা-

সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহের দ্বারা আমাদের বাঁচিয়ে রাখেন এই পৃথিবীতে-

ধ্বংস না করে এই পৃথিবী।

তবে কি কখনো আমরা মানুষ হবো এই পৃথিবীতে?

কখনো কি ভবিষ্যত প্রজন্ম দেখবে এই মানুষের পৃথিবীতে

বৈষম্যহীন ও রক্তাক্তহীন একটা পৃথিবী-

এবং আর্তনাদহীন একটা প্রকৃতি।

জানি না!

তবে ভবিষ্যত প্রজন্ম যেনো একটা বৈষম্যহীন ও সৌন্দর্যময় একটা পৃথিবীতে দেখতে পায়।

সমাপ্ত

Exit mobile version