লেখকঃ– মাহিদুল ইসলাম আল্ মাহ্দী
লেখার তারিখঃ– ২৪–১১–২০২০ ইংরেজি
কিছু কিছু মানুষের ভালোবাসার মধ্যে হয়তো সৃষ্টিকর্তা পূর্ণতা দেননি, তাই জীবনে কিছু কিছু মানুষের ভালোবাসা অপূর্ণ থেকেই যায়, আমরা যাঁদের কে ভালোবাসি, যাঁদের নিয়ে ভালোবাসার গল্প লেখি, তাঁরা আমাদের গল্প পড়ে না, অন্য কেউ আমাদের প্রিয় মানুষটির জন্য লেখা সেই ভালোবাসার গল্প পড়ে।
কিন্তু আমরা চাইলেও সেই প্রিয় মানুষটিকে আমাদের লেখা দেখাতে পারি না, আর না নিজের অনুভূতি টা প্রকাশ করতে পারি, আমার যখন প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে ভালোবাসার গল্প লেখি, এবং ভালোবাসার স্মৃতি মনে পড়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্না করি, সেটা কিন্তু আমাদের ভালোবাসার মানুষটি দেখে না, আমাদের অপ্রাপ্তি ভালোবাসা- আমাদের জীবনে একটাই প্রাপ্তি নিশ্চিত করে আর সেটা হলো নিজের প্রতি আগের মতো বিশ্বাস না করা, আর না কাউকে আগের মতো ভালোবাসতে না পাড়া।
আমি ভালোবাসি, আমি ভালোবাসি, আমি চিৎকার করে বলি আমি এখনো তোমাকে ভালোবাসি, কিন্তু সেই চিৎকার তুমি শুনতে পাও না, আমি তোমায় নিয়ে ভালোবাসার কাব্য লেখি, সেটাও তুমি দেখতে পাও না।
আমাদের প্রাপ্তির জীবনে অপ্রাপ্তি সেটা যদি হয় প্রিয়জন কেড়ে নেওয়া, তাহলে সেই প্রাপ্তি চাঁই না নিয়তির কাছে, আমরা নিয়তির কাছে সেই প্রাপ্তিই চাঁই যাকে আমরা মনে প্রাণে ভালোবাসি তাঁদের যেনো পাই।
যখন আমরা একে অন্যকে ভালোবাসি, তখন পরিবার মেনে নেয় না, আর যখন পরিবার মেনে নেয় তখন পৃথিবী মেনে নেয় না, আর যখন পৃথিবীটাও মেনে নেয়, তখন নিয়তি মেনে নেয় না, এটাই কি নিয়তির খেলা?
সৃষ্টিকর্তা কেনো আমাদের মনে ভালোবাসা সৃষ্টি করলেন? যাকে ভালোবাসার পর বার বার হারাতে হয়! এবং হারানোর ভয় হয়! আমি চাই না নিয়তির কাছে সেই ভালোবাসা, যে ভালবাসা নিয়তির কাছে বার বার হেরে যায়।
আমি চাই এমন ভালোবাসা যে ভালোবাসা প্রকৃতি ও নিয়তি মেনে নিয়ে পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে।
পৃথিবীর কাছে হয়তো তাঁরা খুবি সুখী যাঁরা প্রিয় মানুষটিকে ভালোবেসে বিয়ে করতে পারে, এবং পরিবর্তিতে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সেই ভালোবাসার নিঃস্বকাসন দু’জনার মধ্যে না ঘটে।
ভালোবাসার শব্দকে মূল্যায়ন করতে পারলে হয়তো পৃথিবীর মধ্যে কেউ কারোর থেকে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভোগ করতো না, আর না কেউ বিচ্ছেদের গল্প লিখতো।
প্রাপ্তিই ভালোবাসা, প্রাপ্তিই অর্জন,
বিসর্জন হোক্ সব নোংরা ভালোবাসার গল্প,
অর্জিত হোক্ প্রকৃত ভালোবাসার বন্ধন।
সমাপ্ত
ধন্যবাদ সবাইকে লেখা গুলো পড়ার জন্য ও শেয়ার করার জন্য