ফেইসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে প্রথমে ভালো কথা বলে, তাঁরপর কিছুদিন কথা বলার পর তাঁর সুন্দর ফটো গুলো ফেইসবুক মেসেন্জারে দেয় মহিলা কিংবা অবিবাহিত মেয়েদের।
এক সঙ্গে অনেক বয়স্ক মহিলা কিংবা অবিবাহিত মেয়েদের টাকাওয়ালা দেখে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেয় এবং পরবর্তিতে মেসেজ করে ইনবক্সে, ও তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে, মাস কয়েক পর যখন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলো তারপর ভিডিও কলে শরীর দেখার চর্চা করতে থাকে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি করে। এবং এই ভিডিও কলের শরীর দেখার স্ক্রিন শট নিয়ে মেয়ে কিংবা বয়স্ক মহিলাদের আরো বিভিন্ন ফটো নিয়ে শেষে প্রকাশ করে ধীরে ধীরে তাঁর আসল রূপ। এই ভাবে প্রতারিত করে হাজারো ছেলে হাজারো মেয়েদের বিশ্বাস ও সম্মানকে। ব্ল্যাকমেলের স্বীকার হতে হয় হাজারো মহিলা কিংবা মেয়েদের ইমাম হোসেনের মতো অনেক ছেলেদের কাছে।
একজনের ফ্রেন্ড হয়ে তাঁর ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে ও লাইক কমেন্ট থেকে বেঁচে বেঁচে মেয়ের রিলেটিভ ও পরিবারকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেয় ও হুমকি দেয় টাকা না দিলে তাঁদের পরিবার ও আত্মীয়দের কে ফটো পাঠানোর ও ফেইসবুকে ফটো ভাইরাল করার। অনেকে মান সম্মান ও ইজ্জতের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে টাকা দিয়ে দেয় সাধ্যমত আবার অনেকে নিরুপায় হয়ে বেঁচে নেয় অন্য পথ। মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে সেই ইমাম হোসেন বিভিন্ন রকম।
বয়স্ক মহিলা কিংবা মেয়েরা বিশ্বাস করে সরল মনে সম্পর্ক করতে পারে সেটা দোষের নয়, দোষের সেটা যেটার সুযোগ নিয়ে বিশ্বাস ঘাতকতা করে তাঁদের ব্ল্যাকমেল করাকে। এই রকম পুরুষদের কঠোর হস্তে দমন করা প্রয়োজন, এতে করে দেশের মা বোন ও মেয়েরা হয়রানির স্বীকার হবে না সোস্যাল নেটওয়ার্কে।
নাম বলতে অনিচ্ছুক একজন ব্ল্যাকমেলের স্বীকার ওনার জবানবন্দীতে আমার লেখা।
ছেলের নামঃ ইমাম হোসেন (৩৫) পিতার নামঃ- মফিজুল ইসলাম (৬২) জেলাঃ চাঁদপুর থানাঃ- ফরিদগঞ্জ, চান্দাই পাড়া গ্রামের বেপারী বাড়ী তাঁর-সেখানে বসবাস করে তাঁরা, সে বর্তমানে সৌদি আরবের দাম্মামে থাকে। মোবাইল নম্বরঃ- +966536515316
এই ধরণের ছেলেদের কাছে অপকর্ম ও ব্ল্যাকমেলের স্বীকার না হয়ে আইনের আশ্রয় নেন। একটা অপরাধ ডাকতে গিয়ে আরো অপরাধ সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানাই। মনে রেখো সম্পর্ক করে বিশ্বাস করা দোষের কিছু নয়, বরং যে সম্পর্ক করে সুযোগ নিয়ে বিশ্বাস ঘাতকতা করে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ দাবি করে সেটা দোষের সেটা আইনীয় দণ্ডনীয় অপরাধ। তাঁদের মুখোশ উন্মোচন করে আইনের স্বরপান্ন হওয়ার অনুরোধ জানাই। এতে অপরাধ কমে আসবে।