লেখকঃ– মাহিদুল ইসলাম আল মাহ্দী
লেখার তারিখঃ ১৯–০৮–২০২০ ইংরেজি
কিছু মানুষের মন উড়ন্ত পাখির মতো, পাখি যেমন চায় না কখনো বন্দি খাঁচাতে বসবাস করতে যতই আদর যত্ন ও ভালোবেসে খাঁচাতে যত্নে রাখো, তোমার কাছে যতদিন থাকবে ততদিন তোমার মতো করে চলবে কখনো বুঝতে দেবে না তাঁর কাছে বন্দিত্ব বড়ো অসহায়, যদি একবার খাঁচার দরজা ভুল বসত্ব খোলা থাকে আর সেই পাখি উড়ে চলে যেতে পারে, তবে সেখানেই তোমার গল্প তাঁর কাছেই শেষ, তবে আজ না হয় কাল অন্য খাঁচাতে বন্দি হলে সেই আগের মতো করে অভিনয় করবে তাঁর সেই মনিবের কাছে। পাখিদের মন উড়ন্ত তাঁরা কখনো না’ বন্দি খাঁচাতে আর না’ কোনো গাছের ডালে বেশিক্ষণ বসতে পারে, যদি না সে গাছের ডালে তাঁর সংসার ও স্থায়ী বাসা না থাকে। তারপরেও তারা একটা ডালে স্থায়ী বাসা করতে পারে না ঝড় তুফান অথবা কোনো না কোনো পরিস্থিতির জন্য।
অতিথি পাখির মতো একসময় আসলাম সময় পুড়িয়ে গেলে আবার চলে গেলাম, একটা হৃদয় কে হত্যা করে। এটাই কি সম্পর্ক? এটাই কি সম্পর্কের প্রকারভেদ?
আজ সেই সব মানুষরুপি পোষা পাখিদের নিয়ে গল্প লিখছি, যাঁদের হৃদয় পাখির মতো উড়ন্ত যাঁরা কখনো না একজনের সাথে বেশিদিন রিলেশনশীপ রাখতে পারে, আর না কোনো ধরণের সম্পর্ক,
যদি তাঁকে তোমার ভালো নাই লাগতো তবে তাঁর সঙ্গে কেনো রিলেশন করেছ? আর যদি ভালোই লেগেছিল তবে কেনো আজ রিলেশনশীপ চিহ্ন ও গল্পের ইতি টানছ? আজ সেই সব উড়ন্ত রিলেশনশীপ দেখতে দেখতে বড়োই ক্লান্ত ও বাস্তবিক সেই গল্পের দৃশ্যের সম্মুখীন হতে হতে।
মেয়েরা যখন অন্য বয় ফ্লেন্ড ছেড়ে দিয়ে তোমার সঙ্গে রিলেশনশীপ করবে, তখন মনে হবে পূর্বে এই মেয়ের কোনো বয়ফ্রেন্ড্ ছিলো না, তাঁরা খুব সহজেই একটা ছেলের মন জয় করে মূহুর্তেই জায়গা করে নিতে পারে, তাঁদের ছলনা যুক্ত ভালোবাসা দিয়ে, কেনো তাঁরা করতে পারে জানেন? সৃষ্টিকর্তার পূর্ণতা তাঁদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে তাঁর জন্য, যা একজন পুরুষের মধ্যে নেই!
একটা মেয়ে একটা রিলেশনশীপ চিহ্ন করে আরেকটা রিলেশনশীপ করতে পারে কখনো বুঝতে পারবেন না তাঁদের মনের সেই নিস্তব্ধ কথা গুলো, কখনো বুঝতে পারবেন না তাঁদের প্রকৃত মনের কথা৷
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি একটা পুরুষ কখনো একটা নারী বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত সে কখনো এই প্রাণীদের চিনতে পারবে না, শুধু আবেগে কথা বলতে ও ভালোবাসতে পারবে।
একটা নারী যা করতে পারে তা কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করা যাবে না, বিবাহের পর একটা নারী যদি চায় সে স্বামীকে রেখে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হতে, তা সে করতে পারবে, স্বামীকে ছলনার ভালোবাসায় বন্দি রেখে। দু দিকেই মন জোগিয়ে, স্বামীর কাছে মনে হবে তাঁর স্ত্রীর ভালোবাসার কোনো কমতি নেই।
আবার যদি একটা নারী চায় একটা স্বামীকে পরিপূর্ণ স্বামী ও প্রতিষ্ঠিত স্বামী হিসেবে তৈরী করতে সেটাও নারী করতে পারবে। নারী চাইলে সব কিছুই করতে পারে এই পৃথিবীতে, এই পৃথিবীতে একটা নারী চাইলে গোটা সমাজকে সুসজ্জিত ও আলোকিত করতে পারে, আবার সেই নারী চাইলে সেই সমাজকে কলুষিত ও ধ্বংস করতে পারে তাঁদের হলালহল যুক্ত হৃদয় দ্বারা। তাই একজন নারীর সেই হৃদয়ের নিস্তব্ধ কথা গুলো কোনো পুরুষই বুঝবে না, যদিও সে তাঁর সঙ্গে একি বিছানায় ও একি চাঁদের নীচে থাকে তারপরেও, তবে একটা নারী একটা পুরুষকে খুব সহজেই চিনতে পারে।
অধিকাংশ মানুষরুপি প্রাণীদের কাছে রিলেশনশীপের কোনো ধাপ নেই, যে যখন যাকেই ভালোবাসতে পারে সেটাই তাঁর প্রথম ধাপ, আর এভাবেই চালিয়ে যায় সম্পর্ক। এই সব উড়ন্ত হৃদয়ের কাছে না কোনো সম্পর্ক, আর না কোনো বিবাহ্ বন্ধন কোনো টাই স্থায়ী হয় না।
তাই সম্পর্ক একজনের সঙ্গেই করো যে গল্পের শেষ না হয়, যে সম্পর্ক বিবাহ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে ও একটা সুন্দর সংসার সাজাতে পারে, ভালো আচরণ- বিশ্বাস-শ্রদ্ধা- আত্মমর্যাদা- আত্মসম্মান ও আমানত রক্ষার মাধ্যমে।
সমাপ্ত
ধন্যবাদ লেখা গুলো পড়ার জন্য ও শেয়ার করার জন্য।